বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) মোট আবাসিক হল ১৪টি। তারমধ্যে ছেলেদের জন্য ৯টি ও মেয়েদের জন্য ৫টি আবাসিক হল রয়েছে। আবাসিক হলগুলোতে ৫ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রত্যেক হলে খাবারের জন্য ডাইনিং ব্যবস্থা চালু আছে। করোনার আগেও যেমন খাবার কোনমতে সেদ্ধ করে দেওয়া হতো। এখনও তেমনি। এছাড়াও যারা ডাইনিংয়ের খাবার তৈরি করেন তারা খাবারের নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতন না থাকায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে এসব খাবার। তাই খাবারে থাকে না কাক্সিক্ষত পুষ্টিগুণ। যার জন্য বিশাল সংখ্যক এই শিক্ষার্থীদের নিয়মিত খাবারের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল জব্বারের মোড়, কে.আর. মার্কেট, ফসিলের মোড় ও শেষ মোড়ের হোটেলগুলোতে ছুটতে হয়। হয় হলগুলোর তৈরি পুষ্টিহীন খাবার নয়তো বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন হোটেলগুলো থেকে অতিরিক্ত দাম দিয়ে খাবার খেতে বাধ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। আরও দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিকাংশ শিক্ষার্থী নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হওয়ায় দিনে একবেলা খেয়েও দিন পার করতে হচ্ছে। এমতাবস্থায় শিক্ষার্থীদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে সঠিক গুণগতমান সম্পন্ন এবং পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ সুষম খাবারের সুব্যবস্থা করে দিতে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
সাকিবা আক্তার লাবণ্য
শিক্ষার্থী, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন