মশার উৎপাতে নাভিশ্বাস
রাতে মশা দিনে মাছি, এই নিয়ে ঢাকায় আছি। কথাটা যদি প্রবাদ বাক্য হয়ে থাকে, তবে তা বাস্তবতা থেকে নেওয়া। আমরা যারা ঢাকায় বসবাস করি, আমাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা এ বাক্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। আমাদের এখানে শীতের শেষ গরমের শুরুতে মশার উৎপাত শুরু হয়। ঢাকা শহরের মশা নিধনের কর্তৃপক্ষ ঢাকা সিটি কর্পোরেশন। কয়েক বছর আগে মশাবাহিত রোগ প্রথমে ছিল ডেঙ্গু। আর তারই ধারাবাহিকতায় আরও ভয়াবহ রূপ গত বছর আমরা দেখেছি, তাহলো চিকনগুনিয়া। অনেকেই আক্রান্ত হয়েছেন। এবার যথাসময়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া না হলে আরও ভয়াবহ রূপে ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব হতে পারে। আর আমার জানা মতে, সব হাসপাতালে সব ধরনের চিকিৎসা দেওয়ার সেই সুযোগ নেই। তাই মশা নিধন কার্যক্রম সারা বছর চলমান রাখা প্রয়োজন। আমরা কি দেখি, মাঝে মধ্যে বিশেষ করে ব্যক্তি ও এলাকার মূল্যায়নকে প্রাধান্য দিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সেসব এলাকায় মশক নিধন অভিযান পরিচালনা করে। অনেকের সাথে আলাপ করে জানতে পারি, বিভিন্ন এলাকায় মশক নিধনে ঔষধ ছিটানো তাদের নজরে পড়েনি।
এখানে আরো যে কথাটি বলা দরকার, সেটা হলো নাগরিক সচেতনতা, যা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকরি। সরকার বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের একার পক্ষে এ কাজ করা সম্ভব নয় যদি না সাধারণ নাগরিকগণ সচেতন হন। আমাদের নাগরিক সমাজ বা আমরা কতটুকু সামাজিক ও নাগরিক দায়িত্বজ্ঞান সম্পন্ন সেটাও দেখার ব্যাপার। আমরা যারা এ শহরে বসবাস করি যদি আমরা আমাদের নিজ আঙিনা যথা বাসাবাড়ি ও এর আশপাশ সহ নিজের আওতাধীন পরিবেশকে সুন্দর রাখি তবে মশা-মাছির উপদ্রব ও নানা রোগের প্রাদুর্ভাব অনেকটাই কমে যাবে।
হাসান আহম্মদ ভূঁইয়া
রিজেন্ট টাওয়ার, ১৩৩/১ আউটার সার্কুলার রোড, ঢাকা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন