শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী বিশ্ব

পাকিস্তানের সামরিক সহায়তা স্থায়ীভাবে বন্ধের কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্য পাকিস্তানের উপর চাপ আরও বাড়ানোর অংশ হিসেবে আরো বেশ কিছু নতুন সিদ্ধান্তের ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা করছে ট্রাম্প প্রশাসন। ফরেন পলিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। আমেরিকান এই প্রকাশনার তথ্য অনুযায়ী, হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তারা পাকিস্তানের নন-ন্যাটো মিত্রের মর্যাদা কেড়ে নেয়া, সামরিক সহায়তা স্থায়ীভাবে বন্ধ করা এবং পাকিস্তানের সরকারী কর্মকর্তাদের জন্য ভিসা বন্ধের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা করছে।
তবে, ম্যাগাজিনে এটাও দাবি করা হয়েছে যে, এই প্রস্তাবে যে সব সিদ্ধান্তের কথা ভাবা হছে, সেগুলোর মাত্রা নিয়ে ওয়াশিংটনের নিজস্ব পরিমন্ডলে বিতর্ক শুরু হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিছু কর্মকর্তা এবং সামরিক কর্তা ব্যক্তিরা আগ্রাসী সিদ্ধান্তের পক্ষে আছেন, বাকিরা সাবধানে অগ্রসর হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। ট্রাম্পের মন্ত্রিসভায় চলমান রদবদলের মধ্যে এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হলো। পররাষ্ট্র নীতি বিশেষজ্ঞ জন বল্টোনকে সমপ্রতি ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজর এবং সাবেক সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (সিআইএ) ডিরেক্টর মাইক পম্পেওকে রেক্স টিলারসনের জায়গায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
এই পরিবর্তিত নেতৃত্ব ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে ট্রাম্পের মতকে সমর্থন করতে পারে। ফরেন পলিসির প্রতিবেদনে এমনটাই ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। হোয়াইট হাউজের বর্তমান এবং সাবেক ডেপুটিদের উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বড় ধরনের এই সব সিদ্ধান্তের মধ্যে পাকিস্তানের সেই সব সরকারী ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের ভিসা না দেয়ার সিদ্ধান্তও রয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে নেতিবাচক কর্মকান্ড চালানোর অভিযোগ রয়েছে। পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে ট্রাম্প প্রশাসনের এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, “ওই অঞ্চলে মার্কিন সেনা এবং স্বার্থ রক্ষার জন্য যা করা দরকার, তা করতে আমরা প্রস্তুত।” এই প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে যে পাকিস্তানের ব্যাপারে আমেরিকান নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন হতে যাছে, যেখানে পূর্ববর্তী প্রেসিডেন্ট পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শক্ত পদক্ষেপ নেয়ার ব্যাপারে দ্বিধাদ্বেদ্ব ছিলেন। এমনটাও শোনা যাছে যে, পাকিস্তানের সামরিক সহায়তা স্থায়ীভাবে বাতিল করলে অত্যাধুনিক অস্ত্রাদি পাওয়া পাকিস্তানের জন্য আরও কঠিন হয়ে যাবে। এতে আফগান সীমান্তবর্তী এলাকায় সন্ত্রাস-বিরোধী যুদ্ধও
ক্ষতিগ্রস্থ হবে। এতে সেখানে জঙ্গি তৎপরতা আরও বাড়তে পারে এবং পারমানবিক শক্তিধর দেশটি অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে।
কাবুলের শান্তি প্রক্রিয়ার জন্যও পাকিস্তান গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সেখানে খুব সামান্যই অগ্রগতি হয়েছে মার্কিন বাহিনীর। এখন তারা সসম্মানে সেখান থেকে সরে আসতে চাছে। জানুয়ারিতে কাবুলে দুটো ভয়াবহ হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে তালেবানরা। পাকিস্তানকে দেয়া সামরিক সহায়তা বাতিলের ঘোষণা দিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প টুইট করার কিছু দিন পরেই এই হামলা হয়েছে। এ কারণে এ বিষয়টির সুরাহা আরও জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সূত্র: সাউথ এশিয়ান মনিটর।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন