কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে অসুস্থ গরুর মাংস খেয়ে গৃহবধূসহ অন্তত ১৫ জন এ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত হয়েছে। উপজেলার সদর ইউনিয়নের পচামাদিয়া গ্রামে এ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলেছে।
গতকাল শনিবার দুপুরে আশিস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও পচামাদিয়া গ্রামের বাসিন্দা আমিনুজ্জামান মজনু স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, ১০-১২ দিন আগে পচামাদিয়া গ্রামের কামাল হোসেনের অসুস্থ গরু একই এলাকার লাভলু কসাই জবাই করে গ্রামবাসীর মাঝে বিক্রয় করে। লাভলু কসাইয়ের জবাই করা গরুর মাংস খেয়ে পচামাদিয়া গ্রামের গৃহবধুসহ অন্তত ১৫জন এ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এদের মধ্যে সোহেল (২২), গৃহবধু তাছলিমা খাতুন (২৪), সুমি (২৩), মনি (২০), ফরিদা পারভীন (৫০), টুনুয়ারা খাতুন (৪৫), লাভলু কসাই (৪২), জনি (৩০), কামরুল (২৭) ও কামাল (৩৮) দৌলতপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বাঁকীরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত সোহেলের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এবিষয়ে দৌলতপুর প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কাজী নজরুল ইসলাম জানান, পচামাদিয়া গ্রামে জবাই করা অসুস্থ গরুর মাংস খেয়ে অনেকে এ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন