কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে আলসালেহ্ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অবৈধভাবে জোর পূর্বক কোচিং করানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। কোচিং না করলে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয় থেকে বের করে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন শিক্ষকরা। উপজেলার পার্শ্ববর্তী সাদিপুর গ্রামের আলসালেহ্ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরদের অবৈধভাবে জোরপূর্বক নিজ বিদ্যালয়ে কোচিং করানোর অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রোববার স্কুল চলাকালে সরোজমিনে গেলে আলসালেহ্ মাধ্যমিক বিদ্যালেয়ের শিক্ষার্থীরা জানায়, ‘আমরা বিদ্যালয়ে আসলে প্রধান শিক্ষিকার নির্দেশে সহকারী শিক্ষক রাশেদুল ইসলাম আমাদের কোচিং করানোর জন্য চাপ দেন। কোচিং করতে না চাইলে আমাদের বিদ্যালয় থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। আমরা বিদ্যালয় থেকে বের হতে চাইলে আমাদের শরীর থেকে পোশাক খুলে রেখে যেতে বলেন, কারন এই পোশাক বিদ্যালয়ের দেওয়া। আমরা তখন বলি স্যার পোশাক বাড়ী থেকে খুলে নিয়ে আসছি। তখন স্যার বলেন, না এখনি খুলে দাও’। বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা আরো জানায়, প্রধান শিক্ষিকা সাবিনা ইয়াসমিনের নির্দেশে গনিতের শিক্ষক রাশেদুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের সাথে সর্বদা খারাপ আচরন করেন। এনিয়ে একজন অভিভাবক ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান। ওই অভিভাবক আরো বলেন ‘আমরা গরিব মানুষ। ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠায় লেখা-পড়া শেখার জন্য, এভাবে স্কুলের স্যারেরা কোচিং করার জন্য চাপ দিলে আমাদের পক্ষে ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া বন্ধ করে দেয়া ছাড়া উপায় খাকবে না’। অভিভাবকদের অভিযোগ, তার মেয়ে আজ (শনিবার) কোচিং করতে চাইনি বলে শরীর থেকে পোশাক খুলে রেখে যেতে বলেছে শিক্ষক রাশেদুল ইসলাম।
তবে এসব বিষয়ে আলসালেহ্ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সাবিনা ইয়াসমিন এসব ঘটনা মিথ্যা বলে দাবি করে বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হয়েছে। আশে-পাশে প্রায় বিদ্যালয়ে কোচিং চলছে কিন্তু আমরা করতে চেয়েছি তাহলে দোষের কি বলে উল্টো প্রশ্ন করেন’। প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে জোর পূর্বক কোচিং বাবদ ৬০০ টাকা করে নিয়ে ১ঘন্টা কোচিং করানোর বিষয়ে প্রধান শিক্ষিকা বলেন, গণিত ক্লাসে বিভিন্ন রকম অংক আছে ছাত্র-ছাত্রীরা বুঝতে পারেনা বলে কোচিংয়ের মাধ্যমে বোঝানো হয়।
জোরপূর্বক কোচিংয়ের বিষয়ে দৌলতপুর মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নাজমুল হক বলেন, কোচিং করানো সরকারী ভাবে কোন নিয়ম নেই এবং নিজ বিদ্যালয়ের শিক্ষক বিদ্যালয়ে কোচিং করাচ্ছে এটা অন্যায়।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তৌফিকুর রহমান বলেন, আমিও এমন অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন