নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের কালাপাহাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা ডিএমপির ‘কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম’ ইউনিটের সদস্য রুবেল মাহমুদ সুমনের লাশ আবারও কবর থেকে উত্তোলন করে ময়না তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ৯ এপ্রিল দুপুরে বাদী পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল মোহসিনের আদালত এ আদেশ দেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী সোলেমান মিয়া জানান, সম্প্রতি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে রুবেল মাহমুদ সুমনের ময়না তদন্ত রিপোর্ট আসে। এ রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় নিহতের শরীরে ৭টি আঘাত রয়েছে। অথচ সুরতহাল রিপোর্টে পুলিশ উল্লেখ করেছে ১৫টি আঘাত। এর মধ্যে ডাক্তার ৮টি আঘাত বাদ দিয়ে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দিয়েছে। এতে পুনরায় ময়না তদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করেছিলাম। আদালত আমাদের আবেদন মঞ্জুর করেছে।
মামলার প্রাধান আসামী কালাপাহাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম স্বপন (বর্তমানে জামিনে রয়েছে) জানান, আমি নিজেও মামলার সুষ্ঠ তদন্ত চাই। আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম না। অথচ আমাকে বলা হয়েছে আমি নিজে গুলি করেছি। আলোচিত এই মামলার বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত পুর্ণরায় লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের নির্দেশ দেন। মামলার বাদী কামাল হোসেন দোষীদের শাস্তি দাবি করেন।
প্রসঙ্গত: ২০১৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর ঈদের আগের দিন কোরবানির পশুর হাটের ইজারার টাকা ভাগবাটোয়ারা ও এলাকায় আধিপত্য নিয়ে বিরোধের জের ধরে উপজেলা কালাপাহাড়িয়ায় ক্ষমতাসীন দলের দুই পক্ষের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষে ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসা ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটে পুলিশ কনস্টেবল রুবেল মাহমুদ সুমন নিহত হন। এঘটনায় নিহতের বড় ভাই মোঃ কামাল হোসেন বাদী হয়ে কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম স্বপন, যুবলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক কালামসহ ৩২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ২০-২৫ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি নারায়ণগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) হাতে ন্যস্ত হয়। ডিবি এপর্যন্ত কালামসহ এ মামলার মোট আটজনকে গ্রেফতার করেছে। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী দিয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন