শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সম্পাদকীয়

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ১২ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

শারীরিক শিক্ষায় জোর দিন
আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা দৈহিক ও মানসিক বিকাশের ওপর সমান গুরুত্ব আরোপ করেছে। দেশের মানবসম্পদকে সঠিকভাবে বিকশিত করা এবং আজকের শিশুকে আগামী দিনের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার দায়িত্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওপর ন্যস্ত। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রথম কাজ হলো শিশু শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত বিকাশ সাধন। এর মধ্যে শিক্ষার্থীর শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক দিক অন্তর্ভুক্ত। দ্বিতীয়টি হলো, শিক্ষার্থীর জৈবিকসত্তাকে রূপান্তর করা। এর মধ্যে শিশুর চারিত্রিক ও মূল্যবোধের উন্নতি এবং সামাজিক বিকাশ অন্তর্ভুক্ত করা। শিক্ষার্থীর সর্বাঙ্গীণ বিকাশের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শারীরিক শিক্ষার প্রয়োজন হয়। শারীরিক শিক্ষা শিক্ষার্থীর গতিশীল কাজের জৈবিক প্রয়োজন পূরণ করে। শিক্ষার্থীর দৈহিক গঠন সুন্দর ও মজবুত করে। শারীরিক সক্ষমতা ও কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, খেলাধুলার কৌশল শেখার মাধ্যমে খেলাধুলায় পারদর্শিতা অর্জন করে এবং সুস্থ দেহ গড়ে তোলে। শিশুর মানসিক ও বুদ্ধিমত্তার ভিত গড়ে তোলে। পড়াশোনার একঘেয়েমি দূর করে। শিক্ষার্থীর চারিত্রিক গুণাবলির বিকাশ ঘটায় এবং আত্মসচেতনতা, আত্মনির্ভরতা, আত্মোপলব্ধি ও আত্মসম্মান বাড়িয়ে তোলে। আমাদের দেশে যে হারে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ জটিল ও কঠিন রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে, তা থেকে মুক্তি পেতে হলে ব্যাপক হারে শারীরিক শিক্ষার প্রচলন করতে হবে। শারীরিক শিক্ষা এবং খেলাধুলার প্রধান উদ্দেশ্য হলো শিশুদের সর্বাঙ্গীণ উন্নয়ন, যা শিক্ষার উদ্দেশ্য-লক্ষ্য পূরণ করে।
হাসিনা খাতুন হাসি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

পানি সমস্যার সমাধান হোক
গ্রীষ্মকাল আসতে না আসতেই ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় পানি সংকট দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে পল্লবী ১১নং সেকশন; সি ব্লকে পানির স্তর নেমে যাওয়ায় পাম্পে পর্যাপ্ত পানি উঠছে না। ঢাকা ওয়াসার অদূরদর্শিতা ও ভুল পরিকল্পনার কারণেই আজকের এই পানি সংকট। বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। তাই আমাদের সুপেয় পানির উৎস হওয়া উচিত ছিল নদী। কিন্তু সহজলভ্য নদীর পানি ব্যবহারের পরিবর্তে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ কী কারণে ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তা বোধগম্য নয়। ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় একের পর এক গভীর নলকূপ বসিয়ে পরিবেশকে বিপন্ন করা হয়েছে। এখন হাজার ফিট গভীরে গিয়েও পানি পাওয়া যাচ্ছে না। পাকিস্তান আমলে সিদ্ধিরগঞ্জ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট পল্গ্যান্ট ছাড়া স্বাধীনতার ৪৭ বছরে দেশে আর একটাও ওয়াটার ট্রিটমেন্ট পল্গ্যান্ট স্থাপন করা হয়নি! স¤প্রতি সাভার ও মাওয়ায় দুটি নদীর পানি পরিশোধনাগার নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সাভার পানি শোধনাগারের কাজ শেষ হলেও তা এখনও চালু করা হয়নি। পদ্মা নদীর পানি শোধনাগারের কাজ কবে শেষ হবে; তা কেউ বলতে পারে না। পদ্মা ব্রিজের স্প্যান বসাতে গিয়ে জানা গেছে, পদ্মার নিচ দিয়ে অরেকটি পদ্মা বহমান আছে। সেখানে রয়েছে পানির অফুরান মজুদ। তাই এখান থেকে পানি শোধনাগারে নেওয়া যেতে পারে। ঢাকার চারদিকে এত নদনদী থাকতে ঢাকাবাসী পানির কষ্টে ভুগবে- এটা মেনে নেওয়া যায় না। তাই ভয়াবহ লোডশেডিংকবলিত দেশের বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধান করে সরকার যে কৃতিত্ব দেখিয়েছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। অনুরূপভাবে নদীর পানি পরিশোধন করে সরকার ঢাকার পানি সমস্যারও সমাধান করবে- এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
মো. আলী হায়দার
পল্লবী, ঢাকা

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন