শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

বিরল রোগে আক্রান্ত মেধাবী শিক্ষার্থী জিনাত

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৩ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

মেধাবী শিক্ষার্থী মোসাঃ ফাতিমা জিনাত মিম। সে এক বিরল রোগে আক্রান্ত। তার দু’চোখ, দু’কান, নাক ও নাভী দিয়ে ক্ষনে ক্ষনে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের পাচঁজুনিয়া গ্রামের মামুন হাচান’র একমাত্র সে কন্যা সন্তান। ২০১৬ সালের ৪ আগষ্ট প্রথম বারের মত হঠাৎ করে ডান চোখ দিয়ে রক্ত ক্ষরন ও প্রচন্ড বমি হয়। এর ফলে সে জ্ঞান হাড়িয়ে ফেলে। এ অবস্থা দেখে তার পিতা দেশের ক্ষ্যাতনামা ডাক্তারদের সরনাপন্য হন তিনি। চিকিৎসায় উন্নতি না হয়ে একই ভাবে ৭ মাস পর তার ডান নাক, ডান কান, নাভী ও মুখ দিয়ে ক্রমান্যয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। ঔষুধ কোম্পানিতে চাকরি করে একমাত্র কন্যা সন্তানের চিকিৎসা ব্যয়ের অর্থ যোগান দিতে না পারায় জিনাতের পিতা দিশেহার হয়ে পরেছেন।
জিনাতের বাবা মামুন হাচান জানান, ডাক্তাররা বলেছে হিমোল্যাক্রিয়া (heamolacria) নামের একটি বিরল রোগে তার একমাত্র কন্যা আক্রান্ত। তার তথ্যমতে সাড়া বিশ্বে এ রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা মাত্র ১৩ জন যার মধ্যে একজন মৃত্যুবরন করেছে। বাংলাদেশে বিরল এ রোগের একমাত্র ভিকটিম জিনাত। তিনি বলেন, তার যতটুকু সমর্থ ছিল তা সব কিছু ব্যয় করে ওর চিকিৎসা করিয়েছি। জিনাত ছোট বেলায় নানা বড়ী থাকার সুবাদে গলাচিপা গার্লস সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেনীতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি লাভ করেন। এর পর হাইস্কুল থেকে অষ্টম শ্রেনীতে জি পি এ-৫ পায়। ২০১৬ সালে একই বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জি পি এ-৫ পেয়ে জিনাত নারায়নগঞ্জ সরকারী মহিলা কলেজে ভর্তি হয়ে লেখা পড়া শুরু করে।
মেধাবী শিক্ষার্থী জিনাত বলেন, ডাক্তার বলেছে দ্রুত সম্ভব আমাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ নিয়ে যেতে। এ দেশে এ রোগের কোন চিকিৎসা নেই। তবে আমি বাঁচতে চাই। কলাপাড়া হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল আফিসার ডাক্তর জুনায়েত খান লেলীন জানান, এ রোগটি খুবই রেয়ার। চিকিৎসাও ব্যয়বহুল। তবে ভালোমানের চিকিৎসা নেই বলে তিনি জানিয়েছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন