সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা অর্জন করতে হলে অবশ্যই দেশের সরকারি বেসরকারি খাতকে যৌথভাবে কাজে লাগাতে হবে। কারণ দেশের স্বাস্থ্য খাতে সরকারি খাত যেমন অনেক বিষয়ে সাফল্য অর্জণ করেছে তেমনি বেসরকারি খাতেও অনেক অগ্রগতি হয়েছে। তাই কোন একটি খাতকে বাদ দিয়ে পরিপূর্ণ ভাবে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি অর্জণ করা সম্ভব নয়। গতকাল শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত একটি স্বাস্থ্যনীতি সংলাপে বক্তারা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিষয়ক নীতিমালাগুলো বিশ্লেষণে ‘সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বেসরকারী খাতের ভ‚মিকা ও করণীয়’ শীর্ষক এ স্বাস্থ্যনীতি সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় আইসিডিডিআর,বির স্ট্রেংদেনিং হেল্থ অ্যাপ্লায়িং রিসার্চ এভিডেন্স (শেয়ার) প্রকল্প এ সংলাপের আয়োজন করে ।
বারডেম হাসপাতালের চিফ কনসালটেন্ট প্রফেসর ডা. টি. এ. চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রফেসর রোবায়েত ফেরদৌস। অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন আইসিডিডিআর,বির শেয়ার প্রকল্পের পরিচালক ড. ইকবাল আনোয়ার, স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের কো-অর্ডিনেটর কো-অর্ডিনেশন এ্যান্ড সাপোর্ট সেন্টার ডা. মুশতাক হোসেন, সমাপনী বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক মো. আসাদুল ইসলাম এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল কালাম আজাদ।
বক্তারা বলেন, সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি বাস্তবায়নে কিছুটা সময়ের প্রয়োজন। ভারতের দিকে তাকালে দেখা যাবে, সেখানে ন্যূনতম স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে অনেক সময় লেগেছে। আমাদের দেশেও টাঙ্গাইলের তিনটি উপজেলায় সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি বাস্তবায়নে পাইলট পকল্প চলমান আছে। সেখান থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। এই পাইলট প্রকল্প সফল হলে দেশের সব উপজেলায় এই ব্যবস্থার আওতায় আনা হবে। তারা বলেন, সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে একটি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে, রোগী ও চিকিৎসকের মধ্যে যেন একটি মানবিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাদের মধ্যেকার সম্পর্ক যেন শুধুমাত্র চিকিৎসা দেয়া নেয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকে। রোগী ও চিকিৎসকের মধ্যে মানবিক নির্ভরশীলতা গড়ে না উঠলে সুরক্ষা নিশ্চিত করা কঠিন হবে।
উল্লেখ্য, স্বাস্থ্যনীতি সংলাপ একটি থিংক ট্যাংক, যা বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাত উন্নয়নে মূল প্রতিবন্ধকতাগুলো চিহ্নিতকরণ ও বাস্তবধর্মী সমাধান সম্পর্কে সুপারিশমালা প্রণয়নের চেষ্টা করছে। দেশের বিশিষ্ট স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞ, মানবাধিকার কর্মী, শিক্ষাবিদ, নীতিনির্ধারক ও সুশীল সমাজের সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত এই থিংক ট্যাংকটি ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন