রাজধানীজুড়ে দেদারছে চলছে খোঁড়াখুঁড়ি। নগরীর এমন কোনো সড়ক বা অলিগলি নেই, যেখানে খোঁড়াখুঁড়ি চলছে না। এরমধ্যে দুয়েকটি সড়ক দিয়ে কোন রকম চলাফেরা করা গেলেও অনেক রাস্তায় এখন চলাচল কষ্টসাধ্য। সিটি কর্পোরেশন ড্রেনেজ ব্যবস্থার কাজ, মেট্টোরেলের কাজ, ওয়াসা, তিতাস, ডেসকোসহ সবাই মিলে প্রতিদিনই কোনো না কোনো সড়ক, অলিগলি খুঁড়ছে। আজ এই প্রতিষ্ঠান কাটছে তো কাল কাটছে আরেক প্রতিষ্ঠান। এমনকি এক প্রতিষ্ঠান কাজ শেষ করে চলে যাওয়ার পরদিন আরেক প্রতিষ্ঠান এসে নতুন করে খুড়ছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের এমন সমন্বয়হীনতায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন রাজধানীবাসী। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রশাসনের ব্যর্থতা বা দুর্বলতার জন্যই নগরীর এই বেহাল দশা।
বাপার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, নগর পারিকল্পনাবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব ইনকিলাবকে বলেন, জুন মাস কেন্দ্রীক আমাদের জাতীয় বাজেট ঘোষণার কারণে অর্থ ছাড়ের বিষয়টি এখানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নতুন বাজেটের আগে পূর্ব অর্থবছরের কাজ সম্পন্ন করে অর্থ ছাড় করে নেয়ার একটি তাগাদা থাকে। তাই নিষেধ থাকার পরও বর্ষা মৌসুমে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি ও মেরামতের কাজ করতে হয় বলে সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে বলা হয়ে থাকে। তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট দফতরের এ যুক্তির বাইরে যে বিষয়টি লক্ষ্যনীয় সেটি হলো, বর্তমানে রাজধানী শহরে যে সমস্ত উন্নয়ন কাজ চলছে তার সঠিক তত্ত¡াবধায়ন ও সমন্বয় হচ্ছে না। কর্তৃপক্ষের সঠিক তত্ত¡াবধায়ন ও সমন্বয় থাকলে সড়কের এই বেহল দশা হতো বলে আমার মনে হয় না।
খোঁড়াখুঁড়ির ব্যপারে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে নেই কোন তদারকি। ঠিকাদাররেরা যে যেমন খেয়ালখুশি মত কাজ করছে। একটু বৃষ্টিতেই কাদা-পানিতে একাকার হয়ে রাস্তায় চলাচলের উপায় থাকে না। রাস্তার মাঝখানে যখন তখন বিকল হয়ে যাচ্ছে গাড়ি। প্রতিনিয়তই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। অফিস আদালত ও কর্মমুখি মানুষ এবং স্কুল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা সকাল বেলায় ঘর থেকে বের হয়েই পড়ছে চরম ভোগান্তিতে। নগর জুড়ে অসহনীয় যানজটে পড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। আবার কোথাও বা যানবাহনেরে সঙ্কটে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। সামান্য বৃষ্টি হলে ইচ্ছা থাকলেও ময়লা, কাদা-পানি ও খানাখন্দে ভরা রাস্তায় পায়ে হাঁটা সম্ভব হয় না। আবার রোদ উঠলে বাতাসে ধুলা-বালি উড়ে চোখ-মুখ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। নিশ্বাসের সাথে ধুলা-বালি নাক দিয়ে শরীরে প্রবেশ করে শ্বাসকষ্ট ও এজমাসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে নগরবাসী।
শুষ্ক মৌসুমে রাজধানীতে উন্নয়ন কাজের জন্য বিভিন্ন সেবদানকারী সংস্থাকে রাস্তা কাটার সীতিম পরিসরে অনুমোদন দেয়ার কথা থাকলেও এ জন্য রয়েছে কঠোর নিয়ম নীতি। এ নিয়ম নীতি তদারকি করার মূল দায়ীত্বে রয়েছে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন। প্রতি বছর ৩১ মে’র মধ্যে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির কাজ শেষ করার নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রীর কার্যলয় থেকে থাকলেও এটাও কার্যকর হচ্ছে না। মে মাসের দশ তারিখ পার হয়ে গেলেও এখনও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়কে চলছে খোঁড়াখুড়ি। ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন গত বছর যে কাজ শুরু করেছিলো সে কাজও এখন পর্যন্ত শেষ করতে পারেনি। তার উপর এ বছরও তারা আরও প্রায় ৪/৫ শতাধিক সড়ক মেরামতের কাজ একসাথে শুরু করেছে। দুই সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, এ সব কাজ শেষ হতে আরও অন্তত ৫/৬ মাস সময় লেগে যেতে পারে।
গত কয়েকদিন ধরে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন এলাকার চলমান উন্নয়ন কাজ সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উন্নয়ন কাজের নেই কোন সুনির্দিষ্ট তদারকি। ঠিকাদারেরা যে যেমন খেয়াল খুশিমত কাজ করছে। যে কারণে সুনির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হচ্ছে না। এতে নগরবাসী পড়েছে চরম দুর্ভোগে।
রাজধানীর প্রণকেন্দ্র খোদ মতিঝিলেই গত চার মাসের অধিক সময় সড়ক ও ফুটপাত খুঁড়ে ড্রেন নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। গত বেশ কিছুদিন ধরে মতিঝিলের মূল সড়ক দ্বীপে সৌন্দর্য বর্ধনের (বিউটিফিকেশন) কাজ চলছে। এছাড়াও মতিঝিলের আশেপাশের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও অলি-গলিগুলোতে কোন না কোন উন্নয়ন সংস্থা ড্রেন, স্যুয়ারেজ কিংবা অন্য কোন কাজের জন্য খুঁড়ে কিংবা বড় বড় পাইপ সড়কের উপর এলোমেলোভাবে রাখা হয়েছে। এতে পুরা মতিঝিল এলাকা এখন কার্যত অচল হয়ে আছে। এ চিত্র শুধু মতিঝিলেরই নয়। পল্টন, শাহবাগ, নবাবপুরসহ সারা রাজধানীজুড়েই এখন এমন চিত্র।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অঞ্চল-৫ এর মানিকনগর বিশ্বরোড থেকে বালুর মাঠ সড়কে গত ৬ মাসে ৩ বার কার্পেটিং করেছে। বর্তমানে রাস্তাটির অবস্থা এমন আকার ধারন করেছে যে, কোন সুস্থ্য মানুষ এ রাস্তা দিয়ে দুবার যাতায়াত করার পর হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না। এছাড়াও রাস্তাটির বেশ কয়েক স্থানে ম্যানহোলের উপর ¯øাপ ব্যবহার করতে হয়। সেই ¯øাপের দশাও করুন। এ ¯øাপগুলো কি ইট-সিমেন্ট দিয়ে তৈরি, নাকি কাদা-মাটি দিয়ে তৈরি। তা নিয়েও জনমনে প্রশ্নের দেখা দিয়েছে। ম্যানহোলের মুখে ¯øাপ বসিয়ে যাওয়ার দুয়েক দিনের মাথায় এগুলো ভেঙ্গে ঝুরঝুরে মাটির মত হয়ে দেবে যায়। এতেকরে এই পথ দিয়ে চলাচলকারিদের বিড়ম্বনার শেষ নেই। প্রতিদিন দেড় কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পথেই বসে থাকতে হয়।
খিলগাঁও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অঞ্চল-২-এর কার্যালয়ের সামনের সড়কটির মাঝপথে গর্ত খুঁড়ে রাখা হয়েছিল ২ সপ্তাহের বেশি। প্রথম দফায় ম্যানহোলের ঢাকনা ভেঙে যাওয়ায় ৫ দিন পর মেরামত করা হয়। এর মধ্যে রাস্তার দুই পাশে বাঁশের বেরিকেড দিয়ে রাস্তাটি বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। দায়সারাভাবে মেরামত কাজ শেষ করে চলে যাওয়ার পর আবারো তা ভেঙে যায়। ৩ দিন ওই অবস্থায় রাখার পর স্থানীয় কাউন্সিলর ফের মেরামতের উদ্যোগ নেন। কোনোরকম তা শেষ হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে সড়কটি। শুধু তাই নয়, ওই গর্তের আশপাশে রয়েছে আরো অসংখ্য গর্ত। সামান্য বৃষ্টি হওয়ায় পুরো রাস্তাটি এখন কাদায় ভরা। ওই এলাকার বাসিন্দাদের এখন চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, তিলপাপাড়া মসজিদ থেকে শুরু করে গোড়ান পর্যন্ত পুরো সড়কটিতেই এখন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। রাস্তা সংস্কারের কোনো উদ্যোগ আমরা দেখছি না। কিন্তু কয়েক দিন পর পর দেখা যায়, রাস্তা খুঁড়ে পানির লাইনের কাজ করে ওয়াসা। ওয়াসা কর্তৃপক্ষ কাজ করে চলে যাওয়ার পরপরই দেখা যায় বিদ্যুৎ, এরপর গ্যাসের লাইনের কাজ করে যান কর্মীরা। প্রত্যেকটি সংস্থাই রাস্তা কেটে কাজ করে। ঠিকমতো সেটি আর মেরামত করে না। কোনো রকম মাটি ফেলেই তারা চলে যায়। আর ভোগান্তি পোহাতে হয় আমাদের। বৃষ্টি এলেই ওইসব গর্ত পানিতে ভরে যায়। তৈরি হয় কাদা।
গুলিস্থান থেকে নবাবপুর রোডের অচল অবস্থা গত একমাস ধরে। ড্রেনেজের জন্য চলছে খোঁড়াখুড়ি। রাস্তার উপর বড় বড় রিং কালভার্ট ফেলে রাখা হয়েছে। নবাবপুর রোডের মেশিনারিজের পাইকারী বাজার। এ রাস্তার ভয়াবহ অবস্থার জন্য এলাকার ব্যবসায়ীদের ত্রাহি অবস্থা।
শাহজাহানপুর থেকে ফকিরাপুল পর্যন্ত মূল সড়কটি প্রায় ১ মাসের বেশি সময় ধরে কেটে রাখা হয়েছে। বনশ্রী, খিলগাঁও, গোড়ান, মাদারটেক, সবুজবাগ, মুগদা, তিলপাপাড়ার লাখ লাখ মানুষের চলাচল এই পথ দিয়ে। অথচ প্রায় ১ মাসের বেশি সময় পাইপ বসানোর জন্য রাস্তাটির অর্ধেক অংশ কেটে রাখা হয়েছে। ঢিলেঢালাভাবে পাইপ বসানোর কাজ শেষ হলেও এখনো কাটা রয়েই গেছে সড়কটি। ফলে এক সাইড দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। এতে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। খিলগাঁও থেকে দৈনিক বাংলা যাওয়ার পথে ১০ মিনিটের রাস্তা অতিক্রম করতে সময় লাগে ১ থেকে দেড় ঘণ্টা। বিড়ম্বনা এড়াতে খিলগাঁও রেলগেট থেকে দৈনিক বাংলা, গুলিস্তান, পল্টন, প্রেসক্লাবের পথে পায়ে হেঁটেই চলাচল করতে দেখা গেছে অনেককে।
ঢাকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কটিও কেটে রাখা হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। এখানেও বড় বড় পাইপ বসানোর কাজ চলছে। রাস্তাটির অর্ধেক অংশ ব্যবহৃত হচ্ছে না। বাকি অর্ধেক রাস্তা দিয়ে ধীরগতিতে যানবাহনগুলো চলছে। ফলে যানজটেরও সৃষ্টি হচ্ছে।
কেটে রাখা হয়েছে পুরান ঢাকার রথখোলা সড়কটি। রায়সাহেব বাজার মোড় থেকে রথখোলা পুরো সড়কটিও কেটে রাখা হয়েছে। ড্রেনের জন্য পাইপ বসানোর কাজ চলছে সেখানে। রাস্তা কেটে রাখা হয়েছে সিপাহিবাগ, দক্ষিণ মেরাদিয়া, ভুঁইয়াপাড়া, বনশ্রী, গোড়ানসহ বিভিন্ন এলাকায়।
বাসাবো থেকে মাদারটেক মূল সড়কটি প্রায় ৪ মাস ধরে কেটে রাখা হয়েছে পাইপ বসানোর জন্য। কিছু কিছু এলাকায় পাইপ বসানো হলেও বেশিরভাগ এলাকায় তা বসানো হয়নি। ফলে সকাল ও বিকেল এমনকি অনেক রাত পর্যন্ত এই সড়কটিতে যানজট লেগেই থাকে। তার উপর ড্রেনের পানি উপচে পড়েছে রাস্তায়। কাদা সৃষ্টি হওয়ায় সড়কের অবস্থা এখন বেহাল। এ এলাকার মানুষ বিশেষ করে স্কুলগামী শিশু ও অভিভাবকদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। অফিস ও কর্মমুখী মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই।
স্থানীয় বাসিন্দা মোস্তফা সরওয়ার বলেন, দীর্ঘ প্রায় ৮ মাস ধরে বাসাবো, মাদারটেক, মুগদা, মানিকনগর, কদমতলা এলাকার বাসিন্দারা কি যে ভোগান্তিতে আছি, তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। রাস্তাঘাটের অবস্থা এতটাই খারাপ, এ এলাকার মানুষের শান্তি কেড়ে নিয়েছে। মহিলা ও শিশুরা নেহায়েত প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হন না। তার ওপর গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে কাদা-পানিতে একাকার অবস্থা। রাস্তায় চলাচলের উপায় নেই। আর যানজটের ভোগান্তির তো শেষ নেই।
নবিয়াবাদ এলাকার বাসিন্দা ইমরান হোসেন মোল্লাহ বলেন, বাসাবো মূল সড়ক থেকে শুরু করে মাদারটেক যাওয়ার পথে পুরো সড়কটির অবস্থা একেবারে বেহাল দশা। এ পথ দিয়ে চলাচলকারী মানুষ প্রতিদিন মেয়র ও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের গালিগালাজ করতে শোনা যায়।
এছাড়া পাটোয়ারী গলি, ওয়াহাব কলোনি, বাজার গলি, মাদারটেক চৌরাস্তা, বিদ্যুৎ অফিসের সামনে, সরকারপাড়া মসজিদ, ইস্টার্ন হাউজিংয়ের বিল্ডিং, কদমতলা সড়ক, নন্দীপাড়া ব্রিজ, মায়াকানন, কমিশনার গলি- প্রতিটি অলিগলি খুঁড়ে রাখা হয়েছে। সড়ক কেটে কাজ করা হচ্ছে আজিমপুরের বেশ কিছু এলাকায়। এ এলাকার বাসিন্দা আরিফুর রহমান জানান, প্রায় দেড় মাস ধরে বিভিন্ন সড়ক কেটে রাখা হয়েছে। সড়ক কেটে রাখা হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটির নতুন ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডেও। স্থানীয় রায়েরবাগ, মুজাহিদ নগর, মোহাম্মদবাগ, শনির আখড়ার আংশিক, জোড়াখাম্বা এলাকায় প্রায় ১ বছর ধরে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি ও ড্রেনেজের কাজ চলছে।
ঢাকা উত্তরের মোহাম্মদপুর, শেখেরটেক, বাসস্ট্যান্ড, মিরপুর, পল্লবী, কাফরুলের বেশ কিছু এলাকা, উত্তরা, রামপুরা, বাড্ডা, গুলশান, বনানী, তেজগাঁও, তেজতুরী পাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় চলছে সড়ক খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। এরই মধ্যে বেশ কিছু কাজ শেষ হলেও বর্ষার মধ্যে পুরো কাজ শেষ হওয়া নিয়ে রয়েছে নানা সংশয়।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলাল বলেন, বেশ কিছু এলাকায় রাস্তার কাজ চলমান রয়েছে। তবে এই মুহূর্তে মেট্রোরেলের জন্য বাংলামোটর থেকে মতিঝিল পর্যন্ত সড়কে রাস্তার কাজ চলছে। আর যেসব এলাকায় কাজ চলছে, সেগুলো জুনের আগেই শেষ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আশা করছি, তা শেষ হবে। তবে নতুন করে কোনো প্রতিষ্ঠানকে রাস্তা কাটার অনুমতি দেয়া হচ্ছে না। বাসাবো-মাদারটেক-খিলগাঁও এলাকার সমস্যা সম্পর্কে তিনি বলেন, এই এলাকার সমস্যা নিয়ে আমরা অবগত। তবে কোথায় যেন কি একটা সমস্যা আছে। যার জন্য কাজ শেষ করতে সময় লাগছে। বর্ষার আগে এগুলোও শেষ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন