চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান সহকারী রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে উক্ত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী ও স্বাস্থ্য সহকারীরা গত ২ মাস আগে সিভিল সার্জন বরাবর একটি অভিযোগ পত্র দাখিল করলেও তার বিরুদ্ধে এখনও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি কর্তৃপক্ষ। ৪০ জন স্বাস্থ্য সহকারীর স্বাক্ষর করা অভিযোগপত্রে জানা গেছে ওই প্রধান সহকারী নানা অজুহাতে যেমন প্রত্যয়নপত্র, শান্তি বিনোদন ভাতা, ছুটির দরখাস্ত, বর্ধিত বেতন, ভিটামিন এ ক্যাম্পেইনসহ বিভিন্ন কাজে তার কাছে গেলে সে নানা ভাবে অর্থ দাবি করেন। এমনকি তিনি প্রকাশ্যে ঘুষও দাবি করেন। তিনি কর্মচারীদের বলেন টাকা না দিলে কোন কাজ হবেনা। তার প্রকাশ্যে ঘুষ গ্রহনের বিষয়টির কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে নানা প্রকার হুমকি দেয়া হয়। এছাড়া তার অপকর্মগুলো জেলা সিভিল সার্জন ও স্থানীয় জাতীয় সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা বিশ্বাসকে অবহিত করা হলে সে মৌখিক ভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করে পার পেয়ে যায়। তার ক্ষমার বিষয়টি বর্তমান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ সালাউদ্দিন আহমেদ এর সত্যতা স্বীকার করেছেন। অভিযোগে বলা হয়েছে এর আগেও সে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় কর্মরত অবস্থায় একই ধরনের অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে কর্তৃপক্ষ তাকে অন্যত্র বদলি করে। এছাড়াও ইতিপূর্বে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার, নার্স ও কর্মচারীরা তৎকালীন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ জাহাঙ্গীর আলমের মাধ্যমে সিভিল সার্জনকে একটি অভিযোগ পত্র দাখিল করলে তিনি তা ওই প্রধান সহকারীকে রক্ষার্থে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেননি বলে অভিযোগ করা হয়। এদিকে তার আচরনে অতিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দ্রæত তার প্রত্যাহার দাবি করেছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রধান সহকারী রেজাউল করিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন। তার বিরুদ্ধে সিভিল সার্জনকে করা অভিযোগগুলো ষড়যন্ত্রের অংশ বলে দাবি করেন। অভিযোগ প্রসঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিভিল সার্জন ডাঃ সাইফুল ফেরদৌস মোহাম্মদ খাইরুল আতাতুর্ক এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কর্মচারীদের করা অভিযোগ পত্র প্রাপ্তির বিষয়টি স্বীকার করে জানান, বিষয়টি রাজশাহী বিভাগীয় উপ-পরিচালককে অবহিত করা হয়েছে। তিনি এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন বলে জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন