রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

অবাধে চলাফেরা করছেন করোনা আক্রান্তরা

পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

পুঠিয়া (রাজশাহী) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৪ জুন, ২০২১, ১২:০০ এএম

পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের অবাধে চলাফেরার অভিযোগ উঠেছে। গত এক সপ্তাহ থেকে এ অবস্থা চলছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা নিতে আশা রোগী ও তাদের স্বজনদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা গিয়েছে।

পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২৪৫ জন এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। গত এক সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে পুঠিয়া উপজেলায় করোনায় আক্রন্ত হচ্ছেন ৬ থেকে ৭ জন। গত শনিবার ১২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। গত সপ্তাহে নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় করোনায় আক্রন্ত হয়েছে শতকরা ৩০-৩৫ শতাংশ।

গতকাল রোববার পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, কোন ধরনের স্বাস্থ্যবিধি না মেনে সাধারণ মানুষের সাথে করোনার নমুনা নিয়ে অবাধে চলাচল করেছে অনেকেই। এতে করে করোনায় আক্রান্তের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। করোনায় আক্রান্ত রোগীরা প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সকলের সাথেই টিকিট কাউন্টারে টিকিট সংগ্রহ করছে। পরে তারা লাইনে দাড়িয়ে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে তাদের করোনার উপসর্গের কথা জানালে চিকিৎসক তাদের করোনার পরীক্ষা করার জন্য লিখে দেন। তবে করোনার নমুনা সংগ্রহ করার জন্য অলাদা বুথ রয়েছে সেখানে করোনার নমুনা দিয়ে তারা আলাদা থাকলেও পরীক্ষার ফলাফল নিতে তাদের আবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভিতরে ল্যাবে সকল সাধারণ রোগীদের সাথে পরীক্ষার ফলাফল নিতে যাচ্ছেন। ফলাফলে করোনায় পজেটিভ হলে তারা ব্যবস্থাপত্র ও ওষুধ একই প্রক্রিয়ায় সাধরাণ রোগীদের সাথে সম্পন্ন করতে হয়। এসময় স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই করোনা রোগীরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিভিন্ন স্থানে ঘুরছেন অবাধে। এতে করে করোনা রোগীদের সংস্পর্শে আশা সাধারণ মানুষেরা করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবানা দেখা দিয়েছে বলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আশা একাধিক রোগীদের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও মাক্স পড়া সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার বালাই নেই এখানে।

বিষয়টি কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা না নিলে পুঠিয়া উপজেলাবাসীকে এর মাশুল গুনতে হবে বলে সচেতন মহলের অভিমত। এ বিষয়ে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাক্তার আব্দুল মতিন বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা চিন্তভাবনা করছি। কি ভাবে এর একটি সঠিক সমাধান আনা যায় এ নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন