রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

১৫ বছর নাঙ্গলকোট পরিসংখ্যান কর্মকর্তা শূন্য

নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২২ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিসংখ্যান অফিস গত ২ মে থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারি শূণ্য রয়েছে। পরিসংখ্যান অফিসে কর্মকর্তা-কর্মচারি শূণ্য থাকায় এলাকাবাসী সেবা নিতে এসে ফিরে যাচ্ছেন। একজন জুনিয়র পরিসংখ্যান সহকারি দীর্ঘদিন থেকে দায়িত্ব পালন করলেও গত ২ মে থেকে অবসর উত্তর ছুটিতে যাওয়ায় বর্তমানে পরিসংখ্যান অফিস কর্মকর্তা-কর্মচারী শূণ্য রয়েছে। বর্তমানে জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ের উপ-পরিচালকের মৌখিক নির্দেশে অবসর উত্তর ছুটিতে যাওয়া জুনিয়র পরিসংখ্যান সহকারি জয়নাল আবেদীন মাঝে-মাঝে অফিসে এসে দায়িত্ব পালন করেন।
জানা যায়, উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসে উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা, একজন পরিসংখ্যান সহকারি, দুইজন জুনিয়র পরিসংখ্যান সহকারি এবং একজন চেইনম্যানের পদ থাকলেও ২০১১ সাল থেকে একজন জুনিয়র পরিসংখ্যান সহকারি এবং একজন চেইনম্যান নামমাত্র দায়িত্ব পালন করেন। গত ১৫ বছর যাবত উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তার পদ শূণ্য রয়েছে। বিভিন্ন উপজেলার পরিসংখ্যান কর্মকর্তারা মাঝে-মাঝে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন। ২০১১সাল থেকে অধিকাংশ সময় জুনিয়র পরিসংখ্যান সহকারি জয়নাল আবেদীন একাই দায়িত্ব পালন করেন। নামমাত্র একজন চেইনম্যান থাকলেও দীর্ঘদিন অসুস্থতাজনিত কারণে সে গত নভেম্বরে স্বেচ্ছায় অবসরে চলে যান।
জানা যায়, জেলার ১৬টি উপজেলার মধ্যে গত ৫ মাস পূর্বে চৌদ্দগ্রাম, সদর দক্ষিন, চান্দিনা, ব্রাক্ষণপাড়া এবং দাউদকান্দি উপজেলায় পাঁচজন পরিসংখ্যান কর্মকর্তা যোগদান করেন। অবশিষ্ট ১১টি উপজেলায় অতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছেন জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক।
উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসের মাধ্যমে উপজেলার জনসাধারণ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জনসংখ্যান সনদপত্র, নব গঠিত ইউনিয়ন পরিষদের জন্ম নিবন্ধনের সনদপত্র, জিও কোড, জনসংখ্যার তথ্য, আয়তন, মৌজা কোড, উপজেলার মৌলিক তথ্যাবলি, ফসল কর্তনের তথ্যাবলি, কৃষি মজুরির হার, প্রধান ফসলের মূল্য উৎপাদন খরচ জরিপ, বাৎসরিক মৎস্য উৎপাদান, বন জরিপ, ভূমি ব্যবহার ও পরিসংখ্যান তথ্যাবলি জানতে চায়। কিন্তু পরিসংখ্যান অফিস কর্মকর্তা-কর্মচারী শূণ্য থাকায় এলাকাবাসীর পক্ষে এসব তথ্য জানা সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া প্রশাসনিকভাবেও বিভিন্ন তথ্য জানা সম্ভব হচ্ছে না।
নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী অফিসার দাউদ হোসেন চৌধুরী বলেন- গতকাল সোমবার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে একটি তথ্য জানতে চাওয়া হলেও কর্মকর্তা-কর্মচারী না থাকায় লিখিতভাবে তথ্য দেয়া সম্ভব হয়নি। এতে করে প্রশাসনিক কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। তিনি আরো জানান, অতিরিক্ত কাউকে দায়িত্ব প্রদান করা হলে প্রশাসনিক কাজ পরিচালনা করা সম্ভব হবে।
জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোস্তফা আশরাফুজ্জামান বলেন-অন্য কোন উপজেলা থেকে কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হবে এ ধরণের কোন উপায় নেই। ইতোমধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পরিসংখ্যান তদন্তকারী এবং জুনিয়র পরিসংখ্যান সহকারি পদে লোক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ঢাকায় তাদের প্রশিক্ষণ চলছে। আশা করছি আগামী সপ্তাহের মধ্যে একজনকে পদায়ন করা সম্ভব হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন