বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ২২ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

পানির অপচয় রোধ করুন
পরিকল্পনামাফিক পানি ধরে না রাখতে পারার কারণে আমাদের দেশে, বিশেষ করে বড় বড় নগরে প্রচুর পানি নষ্ট হচ্ছে। অথচ পৃথিবীর কত দেশেই না মানুষ পানি ধরে রাখে আর তা সুষ্ঠুভাবে ব্যবহার করে। পানি কোনোভাবেই অপচয় হতে দেয় না তারা। ঢাকা নগরীতে দেখা যায়, ডেভেলপাররা ফ্ল্যাট বানানোর নামে, বাড়িওয়ালারা পানি ছাড়ার সময়, ফ্লোর ও রাস্তায় গাড়ি ধোয়ার কাজে পানি ঢালেন তো ঢালেন! একসময় দেখা যায় রাস্তা পর্যন্ত পানিতে তলিয়ে গেছে। নগরীর কিছু লোক এভাবে নিয়মিত পানির অপচয় করেই যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগ তাদের হাতেনাতে ধরে যদি জরিমানার ব্যবস্থা করত, তাহলে তারা বুঝত পানির অপচয় করা ঠিক নয়। অন্তত সচেতন তো হতো। এদিকে কর্তৃপক্ষ যদি দায়িত্ব এড়িয়ে চলার দপ্তর হয়, তাহলে পানির অপচয় রোধ ঠেকানো কোনো দিনই সম্ভব হবে না। প্রত্যেকের উচিত পানির অপচয় বন্ধ করে এর সঠিক ব্যবহার শেখা।
লিয়াকত হোসেন খোকন,
রূপনগর, ঢাকা।

শব্দদূষণের বিষয়ে সচেতনতা দরকার
শব্দ অবাঞ্ছিত নয়, নিঃশব্দ মানুষ নিয়ে সভ্যতার কথা ভাবাও সম্ভব নয়। কিন্তু শব্দ নির্দিষ্ট মাত্রা পর্যন্তই মানুষের জন্য প্রযোজ্য। মাত্রার বেশি হলে যা হয় তার নাম শব্দদূষণ। এর কারণে আধুনিক মানবসভ্যতা ধুঁকছে। শহর এলাকায় শব্দের উৎস গাড়ির হর্ন, মাইক, বিমান, কলকারখানা, জেনারেটর, ঘন জনবসতি প্রভৃতি। শব্দদূষণের মাত্রা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে শহরের নীরব এলাকা বলে চিহ্নিত স্থানেও শব্দমাত্রা ঠিক থাকে না। হাসপাতাল অধ্যুষিত অঞ্চলকে সাধারণত চিহ্নিত করা হয় সাইলেন্ট জোন হিসেবে। এখন সেসব এলাকায়ও শব্দমাত্রা নিয়ন্ত্রিত রাখার ব্যবস্থা নেই। ফলে রোগীরা হাসপাতালে এসে সুস্থ হওয়ার বদলে আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে। স¤প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, তীব্র কর্কশ শব্দের ফলে মাতৃগর্ভস্থ শিশু জন্মানোর পর বিকলাঙ্গ, জড় বুদ্ধিসম্পন্ন কিংবা মূক ও বধিরও হতে পারে। কারখানার শ্রমিকদের প্রতি তিনজনের মধ্যে একজনকে নিউরোসিস রোগে আক্রান্ত হতে দেখা গেছে। এর মূল কারণ হলো একনাগাড়ে তীব্র শব্দযুক্ত পরিবেশে অবস্থান। এই রোগে আক্রান্ত ৪০ শতাংশ শ্রমিক কঠিন মাথার যন্ত্রণায় ভোগে। শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সরকারি উদ্যোগ বা আইন প্রণয়নের পাশাপাশি বেসরকারি সংগঠন ও সংবাদমাধ্যমে নিয়োজিত ব্যক্তিদেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে, বিশেষ করে যারা শিশু, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ নিয়ে কাজ করছেন। সবার আগে মানুষকে শব্দের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।
জাকির আজাদ
হোসেন মঞ্জিল, শাসনগাছা, কুমিল্লা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন