যৌতুক প্রথা বন্ধ করুন
দিনের পর দিন যৌতুকের মাত্রা বেড়েই চলছে। যৌতুক এক ধরনের সামাজিক ব্যাধি। এ ব্যাধিতে পুরো সমাজ তথা দেশ আক্রান্ত। এক শ্রেণির যুবক বিয়ে করে মোটা অঙ্কের টাকা যৌতুক হিসেবে দাবি করে। যদি কনেপক্ষের বাড়ি থেকে যৌতুকের টাকা না আসে, তাহলে স্ত্রীর ওপর স্বামী, ননদ, শাশুড়ি মিলে নানা ধরনের শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার শুরু করেন। অশ্লীল গালাগাল করেন। বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। দেশে নারী নির্যাতন ও যৌতুকের জন্য আইন থাকা সত্তে¡ও নারীসমাজ কেন আজ স্বামীর অত্যাচারের শিকার হচ্ছে? নারীদের সম্মান রক্ষার্থে যৌতুক প্রথা ও নারী নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। যৌতুক গ্রহীতাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ যৌতুক নেওয়ার সাহস না পায়।
মকবুল হামিদ
চাঁদপুর।
যানজটের নিরসন চাই
ঢাকার কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর আর শাহবাগের যানজট নতুন বিষয় নয়। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন অজস্র যানবাহন চলাচল করে। চলাচল করে অসংখ্য মানুষ। প্রতিদিনই এই জায়গাগুলোতে যানজটের সৃষ্টি হয়। শুধু যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং দুটি রাস্তার সংযোগস্থল হওয়ার কারণেই যে এই যানজট, তা নয়। পথের ওপর মানুষের নেমে আসা এবং সিগন্যাল অমান্য করার প্রবণতাও যানজটের অন্যতম কারণ। অফিস সময়ে তীব্র যানজটে ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর, শাহবাগ আর ওই দিকে বিজয় সরণি পর্যন্ত এলাকাগুলোতে হেঁটে চলাচল করাও কষ্টকর হয়ে ওঠে। যানজটের কারণে এসব এলাকার দোকানগুলো সমস্যার মধ্যে পড়ে। গাড়ির হর্নের প্রাবল্যে গোটা এলাকা যেন কাঁপতে থাকে। এর সুরাহা চাই।
লিয়াকত হোসেন খোকন,
ঢাকা
মেধাবীদের সঙ্গী হোন
আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার খরচ চালিয়ে নিতে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংক ‘শিক্ষাবৃত্তি’ দিচ্ছে। বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের তারা গরিব বা দরিদ্র বলে প্রচার করে, যা খুবই লজ্জাকর ও অপমানজনক। গরিব কেউ নিজের থেকে হয় না। এটি সমাজের আর্থিক বৈষম্যের জন্য হয়ে থাকে। আমাদের সমাজে এ শব্দগুলো নেতিবাচক হিসেবে ব্যবহূত হয়।
যারা বৃত্তি প্রদান করছে তারা তো গরিব বা দরিদ্র হওয়ার কারণে বৃত্তি দিচ্ছে না। বৃত্তি দিচ্ছে শিক্ষার্থীর পড়াশোনার আগ্রহ ও মেধা বিচার করে। পড়াশোনার আগ্রহ নেই এবং রেজাল্ট খারাপ, কিন্তু গরিবÍএমন কাউকে তারা বৃত্তি দিচ্ছে না। আর্থিক বিষয়টিই চূড়ান্ত নির্ণায়ক নয়। তাহলে কেন তাকে গরিব-দরিদ্র বলে প্রচার করা হচ্ছে? নিশ্চয়ই এটা আয়োজনের ভুলমাত্র। নেতিবাচক শব্দগুলো ব্যবহার না করে ‘মেধাবীদের অগ্রযাত্রায় সঙ্গী হওয়া’ বা অন্য কোনো শব্দ ব্যবহার করার দাবি জানাচ্ছি।
জাকির সোহান,
মধুবাজার, ধানমন্ডি, ঢাকা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন