যে ব্যক্তি কোন রোজাদারকে ইফতার করা সে সেই রোজাদারের সমান সওয়াব লাভ করবে। কিন্তু তাতে মূল রোজাদারের জন্য নির্দিষ্ট সওয়াবের পরিমাণ সামান্যতমও হ্রাস পাবে না।
এ প্রসঙ্গে হযরত যায়েদ ইবনে খালিদ জুহানী (রা:) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ (সা:) ইরশাদ করেছেন : যে লোক একজন রোজাদারকে ইফতার করাবে, তার জন্য সেই রোজাদারের মতই সওয়াব লিখা হবে। কিন্তু তাতে মূল রোজাদারের সওয়াব হতে এক বিন্দুও কম করা হবে না। (নাসাঈ, তিরমিজী, ইবনে মাজাহ)। হযরত সালমান আলফারেসী (রা:) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলূল্লাহ (সা:) ইরশাদ করেছেন : যে ব্যক্তি কোন রোজাদারকে কিছু হালাল জিনিস খাওয়ায়ে ও পান করায়ে ইফতার করা ফিরিস্তাগণ রমজান মাসের সমস্ত সময় ধরে তার প্রতি রহমত বর্ষণ করেন এবং জিব্রাঈল (আ:) লাইলাতুল কদরে তার জন্য রহমতের দোয়া করেন। (তাবরানী, ইবনে হাব্বান) তাবরানীর বর্ণনার শেষাংশে একথার উল্লেখ আছে যে, জিব্রাঈল (আ:) কদরের রাতে তার সাথে মুসাফাহা করেন। ফলে তার দিল নরম হয়, এবং তার অশ্রæধারা প্রবল বেগে প্রবাহিত হয়। এই কথার পর রাসূলুল্লাহ (সা:)-এর কাছে জিজ্ঞাসা করা হয় যে, ইফতার করানোর মত যার কাছে কিছুই নাই সে কি করবে? উত্তরে রাসূলুল্লাহ (সা:) বললেন : সে এক মুঠু খাবার দিয়ে ইফতার করাবে। এক লোকমা রুটি বা খাদ্য বস্ত না থাকলে কি করা যাবে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন : এক চুমুক দুধ দিয়ে ইফতার করাবে। আর তাও না থাকলে পান করার পানি দিয়েই ইফতার করাবে।
মোটকথা ইফতার করানে ওয়ালা ব্যক্তির যাই তাওফিক জোটে তা দিয়েই রোজাদারকে ইফতার করানোর মাঝে অসংখ্য ও অগনিত সওয়াব নিহিত আছে। এ ব্যাপারে সকলেরই উচিত সচেতনতার সাথে এই সওয়াব লাভের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা। কেননা, এতে রোজার সওয়াব পরিপূর্ণ লাভ করার পাশাপাশি অতিরিক্ত পুণ্য লাভের সৌভাগ্য ও নসীব হয়। আল্লাহ পাক আমাদেরকে সেই সৌভাগ্য দান করুন। আমীন !
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন