শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ধর্ম দর্শন

রোজা ঢাল স্বরূপ

এ. কে. এম. ফজলুর রহমান মুন্শী | প্রকাশের সময় : ১ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম

রোজা প্রকৃতই ঢাল স্বরূপ। রোজা পাপাচার কামাচার ও মিথ্যা এবং অশ্লীল কথাবার্তা হতে বেঁচে থাকার মোক্ষম উপায়। এ প্রসঙ্গে হযরত উবাদাহ বিন সামিত (রা:) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা:) কে বলতে শুনেছি তিনি বলেছেন : রোজা মানুষের জন্য ঢাল স্বরূপ, যতক্ষণ পর্যন্ত না উহাকে ভঙ্গ করা হয়। (সংকলনে : নাসাঈ শরীফ; ইবনে মাজাহ শরীফ) বস্তুত : যুদ্ধের ময়দানে সৈন্যরা ঢালের সাহায্যে শত্রæর তরবারী ও অস্ত্রের আঘাত প্রতিহত করে যেমন আত্মরক্ষা করে, তেমনি রোজার সাহায্যে রোজাদার ব্যক্তি তার প্রধান শত্রæ শয়তানের হাত হতে আত্মরক্ষা করে থাকে। ভাঙ্গা ঢালের সাহায্যে যেমন দুশমনের আঘাত প্রতিহত করা যায় না, তেমনি রোজার মাহাত্ম্য ও মর্যাদা এবং এর শক্তি ও প্রভাব নষ্ট করে ফেললে এর দ্বারা রহমত ও বরকত এবং মুক্তি ও নিস্কৃতি লাভ করা যায় না। এ প্রসঙ্গে জনৈক সাহাবী আরজ করে ছিলেন ইয়া রাসূলাল্লাহ! কি কাজ করলে রোজার শক্তি নষ্ট হয়ে যায়? তিনি উত্তরে বলে ছিলেন, মিথ্যা কথা বললেও গীবত করলে। রাসূলুল্লাহ (সা:) আরও বলেছেন : এমন অনেক রোজাদার আছে যাদের রোজায় উপবাস ছাড়া কোন উপকারিতা নেই। সুতরাং রোজাদার ব্যক্তি মিথ্যা কথা বললে, পরের দোষ চর্চা করলে, হারাম মাল ভক্ষণ করলে, পাপ কাজে লিপ্ত হলে রোজার শক্তি ও বরকত নষ্ট হয়ে যায়। কাজেই রোজার শক্তি ও মর্যাদা এবং বরকত অক্ষুন্ন রাখতে হলে রোজাদার ব্যক্তির ছয়টি বিষয়ে যতœবান হওয়া আবশ্যক।

যথা: ১। দৃষ্টিকে সকল প্রকার গুনাহ থেকে হেফাজত করা। শরীয়ত অনুমোদন করে না এরূপ কোন কিছুর প্রতি দৃষ্টি আকৃষ্ট না হওয়া উচিত। বুযুগানে দীন ও অলী আল্লাহগণ বলেছেন : যে বস্তুর প্রতি দৃষ্টি পাত করলে মানুষের মন অন্যদিকে ঘুরে যায়, সেরূপ কোন কিছুর প্রতি নজর না দেওয়া খুবই সমীচীন। 
২। জবানের হেফাজত করা, অর্থাৎ মিথ্যা, গীবত, পরনিন্দা, অশ্লীল কথাবার্তা ও ঝগড়া থেকে বিরত থাকা। 
৩। কানের হিফাজতকরা যেমন গান শোনা এবং গীবত ও অশ্লীল কথাবার্তা শোনা থেকে বিরত থাকা। কেননা, যে কথা বলা অন্যায় তা শোনাও অন্যায়। 
৪। দেহের অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গগুলোকে যাবতীয় ধর্ম বিরোধী কার্যকলাপ থেকে বিরত রাখবে। যেমন হাত দ্বারা অন্যায় ভাবে কোন কিছু স্পর্শ করবে না। পায়ের সাহায্যে পাপের পথে যাতায়াত করবে না ইত্যাদি
৫। হালাল উপার্জনের মাল থেকে সাহ্রী ও ইফতার করা এবং হারাম আহার্য ও পানীয় সর্বাংশে বর্জন করা। 
৬। নিজেকে সংযমী করে গড়ে তোলা, নিজের ভিতরকার পশু শক্তিকে নিস্তেজ করা এবং আত্মার শক্তিকে সতেজ করা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন