চিন্তার একটা শান্ত স্রোত কি বয়ে গেল বেলজিয়ান ফুটবল ভক্তদের উপর দিয়ে? কোস্টারিকার বিপক্ষে বিশ্বকাপের শেষ প্রস্তুতি ম্যাচ। ম্যাচটি অবশ্য আধিপত্য দেখিয়েই জিতেছে বেলজিয়াম। কিন্তু এই জয় নিয়ে ভাবছে না বেলজিয়ানরা। চিন্তার রাজ্যজুড়ে কেবল একটি নাম-এডেন হ্যাজার্ড। তাদের স্বপ্নের সারথী।
ম্যাচ শেষ হতে তখন ২০ মিনিট বাকি। এমন সময় মাঠ থেকে তুলে নেয়া হয় হ্যাজার্ডকে। এসময় চেলসি ফরোয়ার্ডকে স্বাভাবীক মনে হয়নি। কোচ রবার্তো মার্টিনেজ অবশ্য অশ্বস্থ করেছেন, ‘তার পায়ে অল্প আঘাত লেগেছে, একেবারেই সামান্ন। এ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই।’ তবুও চিন্তার বিষয় বৈকি। এর আগে পর্তুগালের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন দলের সেন্টার ব্যাক ভিনসেন্ট কোম্পানি। দলে দুজনেই স্ব স্ব স্থানের সেরা খেলোয়াড়।
বিশ্বকাপে বরাবরই ডাক হর্স হিসেবে আসর শুরু করে বেলজিয়াম। তবে এই বেলজিয়ামকে আরেকটু এগিয়ে রাখতে হচ্ছে। দেশটির সর্বকালের সেরা দল বলা হচ্ছে এটিকে। আসলেই তাই। এই দলে বিশ্ব মানের তারকার অভাব নেই। নিচ থেকে ধরলে গোলপোস্টের দায়ীত্বে চেলসির থিবো কোর্তোয়া। রক্ষণভাগে আছেন টটেনহ্যামের দুই সেন্টার ব্যাক ভার্তোনে এবং অলডারভেইনরেল্ড, যারা যে কোন ধরণের আক্রমণ সামলাতে সক্ষম। চোটমুক্ত থাকলে তাদের মাঝে থাকবেন ম্যানচেস্টার সিটির তারকা কোম্পানি। মাঝমাঠে টমাস মনিয়ে নিজেকে প্রমাণ করে আসছেন আগে থেকেই। গোল বানানো ও করতে সমান পটু তিনি। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে হ্যাটট্রিকও আছে তার। সঙ্গে আছেন সময়ের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার কেভিন ডি ব্রæইন। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে অনেকদিন ধরে প্রমান করে আসা মারুয়ান ফেলাইনিও এই দলে। আর আক্রমণে হ্যাজার্ড-লুকাকুরা তো আছেনই। আছেন মর্তেন্সের মত পরীক্ষিত স্ট্রাইকার। যে দলে এমন সব তারকা সেই দলকে এবার ডাক হর্সের চেয়ে উপরের কাতারে রাখতেই হচ্ছে। এই দলে নেই কেবল একটি জিনিস, তা হলো ঐতিহ্য। এছাড়া বিশ্বজয়ী হওয়ার মত সবকিছুই আছে এই দলে।
বর্তমান সময়টাও ভালো যাচ্ছে বেলজিয়ামের। শেষবারের মত তারা পরাজয়ের মুখ দেখেছিল দুই বছর আগে স্পেনের বিপক্ষে (২-০)। এরপর টানা ১৬ ম্যাচে তারা অপরাজিত। বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে ১০ ম্যাচে ২৮ পযেন্ট, গোল ৪৩টি! শেষ দুই প্রস্তুতি ম্যাচ থেকেও শিষ্যদের কাছ থেকে ভালো ফিডব্যাক পেয়েছেন মার্টিনেজ। পরশু তো তারা আক্রমণের বান বইয়ে দিয়ে কোস্টারিকাকে উড়িয়ে দিয়েছে ৪-১ গোলে। জোড়া গোল করেন লুকাকু, একটি করে নাপোলি স্ট্রাইকার দ্রিয়েজ মার্টেন্স ও বরুশিয়া ডর্টমুন্ড ফুরোয়ার্ড মিখি বাতসুয়াই। প্রথমার্ধে কোস্টারিকা ও রিয়াল মাদ্রিদ গোলকিপার কেইলর নাভাসকে শুশ্রæষা নিতে দেখা যায়।
একই রাতে শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে জয় পায় আফ্রিকার দেশ সেনেগাল। পূর্ব এশিয়ার দেশ দক্ষিন কোরিয়াকে তারা হারায় ২-০ গোলে। কোরিয়ানদের ভাগ্য মন্দই বলতে হয়। দ্বিতীয়ার্ধে তারা পিছিয়ে পড়ে কিম ইয়াং-গংয়ের আত্মঘাতি গোলে। যোগ করা সময়ে পেনাল্টি পেয়ে সেনেগালের হয়ে ব্যবধান দ্বিগুন করেন মুসা কোনাতে।
বেলজিয়াম ৪ : ১ কোস্টারিকা
সেনেগাল ২ : ০ দক্ষিণ কোরিয়া
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন