বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

লড়াইটা লিওয়ানোদোস্কি-সাদিও মানেরও

| প্রকাশের সময় : ১৯ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস ডেস্ক : রাশিয়া বিশ্বকাপে ‘এইচ’ গ্রুপে আজ আরেক ম্যাচে মাঠে নামছে পোল্যান্ড ও সেনেগাল। মস্কোর স্পার্টাক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় শুরু হওয়া এ ম্যাচে পোল্যান্ডকেই ফেবারিট মানা হচ্ছে। ম্যাচটিকে ঘিরে ইতোমধ্যে বেশ উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে ফুটবলপ্রেমীদের মাঝে। দু’দলের দুই তারকা ফরোয়ার্ড রবার্ট লিওয়ানোদোস্কি ও সাদিও মানের ফর্মের কারণেই ভক্তদের মাঝে এই উত্তেজনা। ধারণা করা হচ্ছে- ইউরোপীয়ান ফুটবলের বর্তমান সময়ের অন্যতম দুই সেরা ফরোয়ার্ডের দিকেই তাকিয়ে থাকবে পুরো ফুটবল বিশ্ব। বলা যায়, আজকের লড়াইটা লিওয়ানোদোস্কি-সাদিও মানেরও। সেনেগাল এর আগে একবারই বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেয়েছিল। ২০০২ সালের জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া বিশ্বকাপে এল হাদি ডিওফ দলের অন্যতম মূল খেলোয়াড় ছিলেন। এবার সাদিও মান। তার সম্পর্কে দলটির সাবেক তারকা এল হাদি ডিওফ বলেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি এবারের বিশ্বকাপে সাদিও অন্যতম একজন সেরা তারকা হিসেবে নিজেকে পরিচিত করবে।’ অন্যদিকে বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ের আট নম্বর দল হিসেবে এটি পোল্যান্ডের বিশ্বকাপে অষ্টম অংশগ্রহণ। ১৯৭৪ ও ১৯৮২ সালে তৃতীয়স্থানে থেকে তারা বিশ্বকাপ শেষ করেছিল। কোচ এডাম নাওয়ালকার দল এবারও কিছু একটা করে দেখাতে বদ্ধ পরিকর।
বায়ার্ন মিউনিখের পোলিশ তারকা লিওয়ানোদোস্কি এবার নিয়ে টানা তৃতীয়বারের মত বুন্দেসলিগায় সর্বোচ্চ গোলদাতার কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। এবারের মৌসুমে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় তিনি করেছেন ৪১ গোল। মিশরীয় তারকা মোহাম্মেদ সালাহ ও ব্রাজিলিয়ান রবার্তো ফিরমিনোর সাথে এবারের প্রিমিয়ার লিগে মানে লিভারপুলের আক্রমনভাগে লিওয়ানোদোস্কি ছিলেন অনন্য।
২০১৬ সালের ইউরো ব্যর্থতা কাটিয়ে নিজেকে প্রমানের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছেন তিনি। ওই আসরে কোয়ার্টার ফাইনালে থেকে বিদায় নেয়া পোলিশদের হয়ে লিওয়ানোদোস্কি মাত্র এক গোল করেছিলেন। ২৯ বছর বয়সী এই বায়ার্ন তারকা অবশেষে তার দুর্দান্ত ক্লাব ফর্মকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রমান করতে পেরেছেন। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে পোল্যান্ডের ১০ ম্যাচে তিনি করেছেন রেকর্ড ১৬ গোল। ২০১৬ সালের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি মানসিক কাঠামো নিয়ে তিনি রাশিয়ায় খেলতে এসেছেন বলে স্বীকার করেছেন লিওয়ানোদোস্কি। এ সম্পর্কে তার কথা, ‘আমি নিশ্চিত আমাদের অনুশীলনও বেশ ভাল হয়েছে। সঠিক সময়েই আমি সতেজ ও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছি। বেশ আগে ভাগেই আমি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু করেছিলাম।’ প্রত্যাশার চেয়েও দ্রæত কাঁধের ইনজুরি কাটিয়ে ডিফেন্ডার কামিল গিল্ক দলে ফেরায় তা পোলিশদের আত্মবিশ্বাসকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। এই সেন্টার ব্যাক দলের অন্যতম মূল ভরসা। সেনেগালের সাদিও মানেকে আটকানোর জন্য পুরো দল অনায়াসে তার ওপর নির্ভর করতে পারে।
এদিকে সেনেগাল ২০০২ সালের পারফরমেন্সকে ছাড়িয়ে সামনে এগিয়ে যেতে পুরোপুরি প্রস্তুত। ওই আসরের অধিনায়ক আলিও চিজে বর্তমান জাতীয় দলের কোচ। ২০০২ সালে তৎকালীন চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে ১-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপের অন্যতম বড় অঘটনের জন্ম দিয়েছিল সেনেগাল। আর এতেই বিশ্বকাপের ইতিহাসে তৃতীয় আফ্রিকান দল হিসেবে তাদের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা নিশ্চিত হয়েছিল। এবার রাশিয়ায়ও তারা কিছু একটা করে দেখাতে চায়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন