১৯৯৪ সাল থেকে প্রতিটা বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে নূন্যতম গ্রæপ পর্ব পার হয়েছে মেক্সিকো। দক্ষিণ কোরিয়াকে বিদায় করে দিয়ে এবারো সেই ধারা অব্যহত রাখার শক্ত দাবি জানিয়ে রাখল উত্তর আমেরিকার দলটি। এশিয়ার দলকে ২-১ গোলে হারিয়েছে রাফায়েল মার্কুয়েজের দলটি। প্রথম ম্যাচে তারা হারিয়েছিল বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানিকে।
কয়েরকটা দিন বেশ মন খারাপের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন কার্লোস ভিলা। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে জার্মানির বিপক্ষে জয়ের দিন দাদাকে হারান তিনি। এরপরও ঠান্ডা মাথায় পেনাল্টি থেকে প্রথম গোলটি করে বুঝিয়ে দেন কোন চাপ নিয়ে মাঠে নামেননি ২৯ বছর বয়সী লস অ্যাঞ্জেলস ফরোয়ার্ড। ১৭ জুন ২০১০ সালের পর এই প্রথম বিশ্বকাপে পেনাল্টি থেকে গোল করলেন কোন মেক্সিকান। ডি বক্সে বল জং হিউনসোর হাতে লাগলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সুইডেনের বিপক্ষেও পেনাল্টি দুর্ভাগ্যে একমাত্র গোলে হেরেছিল দক্ষিণ কোরিয়া। এটি ছিল চলতি বিশ্বকাপের মাত্র ২৮ ম্যাচের ১৪তম গোল, গেল ব্রাজিল বিশ্বকাপে মোট পেনাল্টির চেয়ে যা একটি বেশি।
প্রথমার্ধে বল বেশি ছিল মেক্সিকোর পায়ে। তবে পাল্টা আক্রমণে গোলের সহজ সুযোগ তৈরী করে দক্ষিণ কোরিয়া। বেশ কয়েকবার মেক্সিকো রক্ষণে আতঙ্ক ছড়ান ২৫ বছর বয়সী টটেনহ্যাম ফরোয়ার্ড সন হিউন-মিন। কিন্তু জালের দেখা পাননি। সুযোগ হাতছাড়া করেন মিগুয়েল লিউন ও হিরভিং লোজানোও।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণে শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। গোলের একাধিক সযোগ তৈরী করে দুই দলই। কিন্তু কখনো ডিফেন্ডারদের দারুণ ক্লক আবার কখনো গোলকিপারের অসাধরণ দক্ষতায় জালের দেখা মিলছিল না। কিন্তু ৬৬তম মিনিটে হাভিয়ের হার্নান্দেসকে আর আটকে রাখা যায়নি। দারুণ এক পাল্টা আক্রমণ থেকে দেশের হয়ে ৫০তম গোল করেন ওয়েস্ট হ্যাম স্ট্রাইকার। ম্যাচের যোগ করা সময়ে ডি বক্সের বাইরে থেকে দর্শনীয় বাঁকানো শটে ব্যবধান কমান সন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন