রাশিয়া বিশ্বকাপে ‘ডি’ গ্রæপের শেষ ম্যাচটি ছিল আর্জেন্টিনার জন্য বাঁচা-মরার লড়াই। মঙ্গলবার রাতে অনুষ্ঠিত এ ম্যাচে আফ্রিকান ঈগল খ্যাত নাইজেরিয়াকে হারাতে না পারলে বিশ্বকাপের প্রথম পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হবে আর্জেন্টাইনদের। অন্যদিকে ম্যাচ ড্র করতে পারলেই শেষ ষোল’তে জায়গা পাবে নাইজেরিয়া। এমন সমীকরণে মাঠে নেমে জ্বলে উঠলো আর্জেন্টিনা। গ্রæপের আগের দু’টির চেয়ে নাইজেরিয়া ম্যাচে দেখা গেল যেন অন্য এক আর্জেন্টিনাকে। আক্রমণাতœক ফুটবল উপহার দিয়ে অধিনায়ক লিওনেল মেসি ও ডিফেন্ডার মার্কোস রোহো’র নজরকাড়া গোলে ২-১ ব্যবধানে নাইজেরিয়াকে হারিয়েই নক আউট পর্ব নিশ্চিত করে আর্জেন্টিনা। এমন জয়ে উল্লসিত গোটা বিশ্ব। বিশ্বের কোটি কোটি আর্জেন্টাইন সমর্থকদের মতো মেসিদের জয়ে উচ্ছসিত ছিলেন বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীরাও। বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় ম্যাচটি শুরু হলে মধ্যরাতের কারণে এমনিতেই ঢাকার রাস্তা অনেকটাই ফাকা ছিল, তারওপর আর্জেন্টিনার খেলা থাকায় প্রায় সুনসানই ছিল রাজধানীর বড় বড় সড়কগুলো। তবে বলা যায় ঢাকার প্রতিটি পাড়া-মহল্লা ছিল সরব। রাস্তার মোড়ে মোড়ে বড় পর্দায় খেলা দেখানোর কারণে এসব পাড়া-মহল্লার অনেক আর্জেন্টিনা সমর্থকই গভীর রাতেও বাড়ির বাইরে ছিলেন। একটু পর পর তারা মুহূর্মুহূ করতালিতে করে তোলেন এলাকা। ম্যাচের শেষ বাঁশি বাঁজার সঙ্গে সঙ্গে মেসিদের ২-১ গোলের জয়ে বাঁধভাঙ্গ উল্লাসে ফেটে পড়েন বাংলাদেশের আর্জেন্টাইন সমর্থকরা। রাতের নিস্তব্দতা ভেদ করে তারা গগনবিদারী চিৎকারে আকাশ-বাতাস এক করে ফেলেন। মেসি-মেসি ধ্বনিতে রাতের সব নীরবতা কেটে যায়। মূহূর্তে আর্জেন্টিানার পতাকা হাতে মিছিল বের করে ফেলেন এই সমর্থকরা। ঢাকার অনেক রাস্তায় দেখা যায় এই মিছিল। দেখ মনে হয়েছে- যেন বাংলাদেশ নয়, আর্জেন্টিনার কোন শহর এটা। মতিঝিল থেকে ডেমরা, ধানমন্ডি, গুলশান, বনানী, উত্তরা, মিরপুর থেকে সাভার এবং ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয় এলাকা সহ প্রায় সব এলাকার চিত্র ছিল একই রকম। আর্জেন্টিনা আর মেসি-মেসি ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে প্রতিটি এলাকা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন