কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার চন্ডিপাশা ইউনিয়নের ঘাগড়া এলাকার একটি রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গৃহবধুকে গণধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে গতকাল (বুধবার) বিকেলে ধর্ষিতা গৃহবধু নিজে বাদি হয়ে ৮জনকে আসামি করে পাকুন্দিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, সুমন মিয়া তার স্ত্রীকে নিয়ে কটিয়াদী উপজেলা সদরে বাসা ভাড়া নিয়ে ৪ মাস যাবত বসবাস করছেন। ওই গৃহবধুর ছোট ভাই সুমন মুঠোফোনে তার পিতার অসুস্থ্যতার খবর জানায়। খবর পেয়ে গত মঙ্গলবার বিকেল ৬টার দিকে ওই গৃহবধু তার স্বামীকে নিয়ে পাকুন্দিয়া উপজেলার কোদালিয়া গ্রামের পিতার বাড়ির উদ্দেশ্যে কটিয়াদী থেকে বাস যোগে পুলেরঘাট বাজারে এসে নামে। স্বামী সুমন মিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজে কিশোরগঞ্জ চলে যায়। ওই গৃহবধু কোদালিয়া এলাকার প্রতিবেশী মমিনের অটোরিকসায় উঠে। এ সময় অটোরিকসায় আরো কয়েজন যাত্রী ছিল। কয়েকজন যাত্রী পথে নেমে যায়। চালক মমিন অটোরিকসার যাত্রী রুবেল ও গৃহবধুসহ সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে ঘাগড়া এলাকার শাহীন মিয়ার মুরগীর ফার্মের সামনে এসে থামায়। এ সময় রুবেল মিয়া তার কোমড় হইতে একটি ছুরি বের করে ওই গৃহবধুকে মেরে ফেলার ভয় দেখায় । এরপর রুবেল ও মমিন মিয়া গৃহবধুর মুখ চেপে ধরে কোলে তুলে নিয়ে মুরগীর ফার্মের দক্ষিণ পার্শ্বে একটি পেঁপে ক্ষেতে নিয়ে যায়। এ সময় রুবেল ও মমিন মুঠোফোনে তাদের বন্ধুদের ডেকে আনে। প্রথমে মিজান ও পরে অন্যরা পালাক্রমে জোরপূর্বক ওই গৃহবধুকে ধর্ষণ করে তারা পালিয়ে যায়। পরে ওই গৃহবধু কোদালিয়া গ্রামের পিতার বাড়িতে গিয়ে মুঠোফোনে তার স্বামীকে বিষয়টি জানায়। পরে ভিকটিম রাতেই থানায় এসে পুলিশকে জানালে পাকুন্দিয়া থানার ওসি মো. আজহারুল ইসলাম সরকার পিপিএম, ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ মালেক খসরু খাঁন ও আহুতিয়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহাব উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত পাঁচ ধর্ষককে গ্রেফতার করে। পাকুন্দিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আজহারুল ইসলাম সরকার পিপিএম বলেন, ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে পাঁচ ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে। ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন