মুনির আহমদ
ভিন্ন সম্প্রদায় বা সংস্কৃতি নিয়ে যৌক্তিক কোনো বিষয় তুলে ধরাও এখন ঝুঁকিপূর্ণ। যত জরুরি কথাই হোক, সাম্প্রদায়িকতার আওতায় আইসিটি অ্যাক্টে লেখক ও প্রকাশকের ওপর নেমে আসতে পারে শাস্তির খড়গ। এ মুহূর্তে কী ভাষায় কোন পদ্ধতিতে বাস্তব অবস্থা তুলে ধরব তা নিয়ে খুবই বিব্রত। জনস্বার্থে কিছু কথা না বলে পারলাম না। দেশের প্রাথমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তকের সিলেবাস থেকে বাদ পড়েছে ইসলাম ধর্মবিষয়ক এবং মুসলিম সংস্কৃতির প্রতি উদ্দীপনামূলক গল্প-রচনা ও কবিতাসমূহ। তার বদলে যুক্ত হয়েছে হিন্দুত্ববাদের প্রতি উদ্দীপনামূলক বিভিন্ন গল্প ও কবিতা। দেশের জনসাধারণের মধ্যে ৯২ ভাগ মুসলিম নাগরিক এবং সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশের জাতীয় শিক্ষাক্রমের সিলেবাস থেকে ইসলাম ধর্ম ও মুসলিম চেতনাবোধ সংশ্লিষ্ট বিষয়ের লেখাসমূহ বাদ দিয়ে তদস্থলে হিন্দুত্ববাদ বিষয়ক লেখাসমূহ প্রবেশ করানো নিয়ে তৈরি হয়েছে অভিভাবক মহলে চরম উদ্বেগ ও বিতর্ক। এ নিয়ে সবার মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে যে, স্কুল-কলেজে বর্তমানে যা পড়ানো হচ্ছে, তাতে মুসলমানদের সন্তানরা শেষ পর্যন্ত প্রকৃত মুসলিম থাকতে পারবে তো!
এর মধ্যে চলতি উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে কৌশলে ইসলামের প্রতি অবজ্ঞা এবং সুচতুরভাবে পীর-মাশায়েখদের চরিত্র হননের চেষ্টায় এই উদ্বেগ আরো গভীর হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, চলতি উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রশ্ন প্রণেতারা মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অপচেষ্টা করেছেন। ইসলাম ও মুসলিম রীতিনীতি, ঐতিহ্য, ঈমান ও আমল নিয়ে আজগুবি মিথ্যা গল্পের অজুহাতে ইসলাম ও পীর-মাশায়েখদেরকে খারাপ ও জঘন্য হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে। অবমাননা করা হয়েছে বিভিন্ন ইসলামী পরিভাষাসহ মুসলিম সংস্কৃতির অংশ দাঁড়ি ও টুপিকে। শুধু তাই নয়, চট্টগ্রাম বোর্ডের প্রশ্নপত্রে রীতিমতো সাম্প্রদায়িক উসকানি দিয়ে এমনভাবে প্রশ্ন সাজানো হয়েছে যে, যাতে মুসলমানকে সন্ত্রাসী এবং হিন্দুদের মহানুভব হিসেবে চিত্রিত হয়। বোর্ডের পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ৯২ ভাগ মুসলিম অধ্যুষিত দেশে কেন ইসলামের বিরুদ্ধে এই উসকানি? বোর্ড পরীক্ষায় এ ধরনের উসকানিমূলক প্রশ্নপত্র তৈরির মাধ্যমে কি মেসেজ দিচ্ছেন শিক্ষা বিভাগের সংশ্লিষ্টরা, এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে অভিভাবক মহলে। দেশের ওলামা-মাশায়েখ, ইসলামী চিন্তাবিদ, অভিভাবকমহল ও শিক্ষাবিদরা মনে করেন, পাবলিক পরীক্ষায় এ ধরনের প্রশ্নপত্র প্রণয়ন কোনো স্বাভাবিক বিষয় নয়। তাদের মতে, দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি এবং সাম্প্রদায়িকতা ও নাস্তিক্যবাদ উসকে দিতেই উদ্দেশ্যমূলকভাবে একটি মহল এই কাজ করেছে।
কথায় আছে, “যদি কোনো জাতিকে পদানত করতে চাও, কাবু করতে চাও অথবা কোনো জাতির ওপর আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে চাও, তবে সবার আগে তাদের শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে আঘাত হানো এবং সেখানে প্রভাব বিস্তার কর”। গত অর্ধযুগের ঘটনাপ্রবাহে এই ধারণা জোরালো হয়েছে যে, বাংলাদেশের শিক্ষা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রেই ইসলামী আদর্শ ও চেতনাবোধের ওপরই সবচেয়ে বড় আঘাত হানা হয়েছে। জাতীয় শিক্ষার নানা পর্যায় থেকে যেমন ইসলামী শিক্ষা ও চেতনাবোধের বিলুপ্তি ঘটানো হয়েছে, তেমনি দেশের সাংস্কৃতিক পরিম-লেও ইসলামের প্রতি হেয়ভাবাপন্ন ও বিজাতীয় আগ্রাসন চলছে দুর্বার গতিতে। যার ফলে বর্তমান আধুনিক শিক্ষিত শ্রেণীর নতুন প্রজন্মের মধ্যে ইসলামের প্রতি অনীহা ভাব, বিদ্বেষ বা ধর্মহীনতার মাত্রা আশংকাজনক হারে পরিলক্ষিত হচ্ছে। এটা দেশ ও জাতির আত্মপরিচয়ের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আমাদের সন্তানদেরকে জাতীয় ও ধর্মীয় পরিচয়ে গড়ে তুলতে চাইলে শিক্ষা ও সংস্কৃতির বিষয়টি উপেক্ষা করার কোনোই সুযোগ নেই।
যদিও এ বিষয়ে সরকার পক্ষের যুক্তি, দেশে সেক্যুলার শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করার জন্যই এহেন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই যুক্তি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এতদিন ধরে বলা হচ্ছিল যে, ধর্মনিরপেক্ষতা মানে যার যার ধর্মকর্ম স্বাধীনভাবে মেনে চলতে পারা। তাহলে স্কুল-কলেজের পাঠ্যবই থেকে বেছে বেছে ইসলামী বিষয়সমূহ বাদ দিয়ে তদস্থলে হিন্দুত্ববাদের ধারণামূলক লেখাসমূহ কেন যুক্ত করা হচ্ছে? মূলত ধর্মনিরপেক্ষতার নামে যে ধর্মহীনতা ও হিন্দুত্ববাদ জাতির ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে, এতদিনকার ওলামা-মাশায়েখ ও ইসলামী নেতৃবৃন্দের সেই অভিযোগই যথার্থ বলে এখন প্রমাণিত হচ্ছে।
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা থেকে ইসলাম ও মুসলিম সংস্কৃতির বিলোপ ও হিন্দুত্ববাদের সংযুক্তির বাস্তবচিত্র প্রতিটি মুসলমানের গা শিউরে ওঠার মতো। দেখে নিন বর্তমানে স্কুল পাঠ্যবই থেকে কী কী বিষয় বাদ দেওয়া হয়েছে এবং কী কী বিষয় যুক্ত করা হয়েছে।
পাঠ্যপুস্তকে বাংলা বই থেকে বাদ দেওয়া বিষয়গুলো হচ্ছেÑ
১) দ্বিতীয় শ্রেণীÑ বাদ দেওয়া হয়েছে ‘সবাই মিলে করি কাজ’ শিরোনামে মুসলমানদের শেষ নবীর সংক্ষিপ্ত জীবন চরিত।
২) তৃতীয় শ্রেণীÑ বাদ দেওয়া হয়েছে ‘খলিফা হযরত আবু বকর’ শিরোনামে একটি সংক্ষিপ্ত জীবন চরিত।
৩) চতুর্থ শ্রেণীÑ খলিফা হযরত ওমর এর সংক্ষিপ্ত জীবন চরিত বাদ দেওয়া হয়েছে।
৪) পঞ্চম শ্রেণীÑ ‘বিদায় হজ’ নামক শেষ নবীর সংক্ষিপ্ত জীবন চরিত বাদ দেওয়া হয়েছে।
৫) পঞ্চম শ্রেণীÑ বাদ দেওয়া হয়েছে কাজী কাদের নেওয়াজের লিখিত ‘শিক্ষা গুরুর মর্যাদা’ নামক একটি কবিতা। যাতে বাদশাহ আলমগীরের মহত্ব বর্ণনা উঠে এসেছে। এবং শিক্ষক ও ছাত্রের মধ্যে আদব কেমন হওয়া উচিত, তা বর্ণনা করা হয়েছিল।
৬) পঞ্চম শ্রেণীÑ শহীদ তিতুমীর নামক একটি জীবন চরিত বাদ দেওয়া হয়েছে। এ প্রবন্ধটিতে মুসলিম নেতা শহীদ তিতুমীরের ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার জন্য সংগ্রামের ঘটনার উল্লেখ ছিল।
৭) ষষ্ঠ শ্রেণীÑ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ লিখিত ‘সততার পুরস্কার’ নামক একটি ধর্মীয় শিক্ষণীয় ঘটনা বাদ দেওয়া হয়েছে।
৮) ষষ্ঠ শ্রেণীÑ মুসলিম দেশ ভ্রমণ কাহিনী ‘নীলনদ আর পিরামিডের দেশ’ নামক মিসর ভ্রমণের ওপর লেখাটি বাদ দেওয়া হয়েছে।
৯) ষষ্ঠ শ্রেণীÑ মুসলিম সাহিত্যিক কায়কোবাদের লেখা ‘প্রার্থনা’ নামক কবিতাটি বাদ দেওয়া হয়েছে।
১০) সপ্তম শ্রেণীÑ বাদ দেয়া হয়েছে ‘মরু ভাস্কর’ নামক শেষ নবীর সংক্ষিপ্ত জীবন চরিত।
১১) অষ্টম শ্রেণীÑ বাদ দেওয়া হয়েছে ‘বাবরের মহত্ত্ব’ নামক কবিতাটি।
১২) অষ্টম শ্রেণীÑ বাদ দেওয়া হয়েছে বেগম সুফিয়া কামালের লেখা ‘প্রার্থনা’ কবিতা।
১৩) নবম-দশম শ্রেণীÑ সর্বপ্রথম বাদ দেওয়া হয়েছে মধ্যযুগের বাংলা কবি শাহ মুহম্মদ সগীরের লেখা ‘বন্দনা’ নামক ইসলাম ধর্মভিত্তিক কবিতাটি।
১৪) নবম-দশম শ্রেণীÑ এরপর বাদ দেওয়া হয়েছে মধ্যযুগের মুসলিম কবি ‘আলাওল’-এর ধর্মভিত্তিক ‘হামদ’ নামক কবিতাটি।
১৫) নবম-দশম শ্রেণীÑ আরো বাদ দেওয়া হয়েছে মধ্যযুগের মুসলিম কবি আবদুল হাকিমের লেখা বঙ্গবাণী কবিতাটি।
১৬) নবম-দশম শ্রেণীÑ বাদ দেওয়া হয়েছে শিক্ষণীয় লেখা ‘জীবন বিনিময়’ কবিতাটি। কবিতাটি মুঘল বাদশাহ বাবর ও তার পুত্র হুমায়ুনকে নিয়ে লেখা।
১৭) নবম-দশম শ্রেণীÑ বাদ দেওয়া হয়েছে কাজী নজরুল ইসলামের লেখা বিখ্যাত ‘উমর ফারুক’ কবিতাটি।
উপরের বিষয়গুলো বাদ দিয়ে নতুন স্কুল পাঠ্যবইয়ে নিচের বিষয়গুলো যুক্ত করা হয়েছেÑ
১) পঞ্চম শ্রেণীÑ স্বঘোষিত নাস্তিক হুমায়ুন আজাদ লিখিত ‘বই’ নামক একটি কবিতা, যা মূলত মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ পবিত্র কোরআনবিরোধী কবিতা।
২) ষষ্ঠ শ্রেণীÑ প্রবেশ করানো হয়েছে ‘বাংলাদেশের হৃদয়’ নামক একটি কবিতা। যেখানে রয়েছে হিন্দুদের ‘দেবী দুর্গা’র প্রশংসা।
৩) ষষ্ঠ শ্রেণীÑ সংযুক্ত হয়েছে ‘লাল গরুটা’ নামক একটি ছোটগল্প। যা দিয়ে কোটি কোটি মুসলিম শিক্ষার্থীকে শেখানো হচ্ছে গরু হচ্ছে মায়ের মতো, অর্থাৎ হিন্দুত্ববাদ।
৪) ষষ্ঠ শ্রেণীÑ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ভারতের হিন্দুদের তীর্থস্থান রাঁচির ভ্রমণ কাহিনী।
৫) সপ্তম শ্রেণীÑ ‘লালু’ নামক গল্পে মুসলিম ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে পাঁঠাবলির নিয়মকানুন।
৬) অষ্টম শ্রেণীÑ পড়ানো হচ্ছে হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থ ‘রামায়ণ’-এর সংক্ষিপ্তরূপ।
৭) নবম-দশম শ্রেণীÑ প্রবেশ করানো হয়েছে ‘আমার সন্তান’ নামক একটি কবিতা। কবিতাটি হিন্দুদের ধর্ম সম্পর্কিত ‘মঙ্গল কাব্য’-এর অন্তর্ভুক্ত, যা দেবী অন্নপূর্ণার প্রশংসা ও তার কাছে প্রার্থনাসূচক কবিতা।
৮) নবম-দশম শ্রেণীÑ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ভারতের পর্যটন স্পট ‘পালমৌ’-এর ভ্রমণ কাহিনী।
৯) নবম-দশম শ্রেণীÑ পড়ানো হচ্ছে ‘সময় গেলে সাধন হবে না’ শিরোনামে বাউলদের বিকৃত যৌনাচারের কাহিনী।
১০) নবম-দশম শ্রেণীÑ ‘সাকোটা দুলছে’ শিরোনামের কবিতা দিয়ে ’৪৭-এর দেশভাগকে হেয় করা হয়েছে, যা দিয়ে কৌশলে ‘দুই বাংলা এক করে দেওয়া’ অর্থাৎ বাংলাদেশকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত হতে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে।
১১) নবম-দশম শ্রেণীÑ প্রবেশ করেছে ‘সুখের লাগিয়া’ নামক একটি কবিতা, যা হিন্দুদের রাধা-কৃষ্ণের লীলাকীর্তন।
১২) প্রাথমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে দেওয়া হয়েছে ‘নিজেকে জানুন’ নামক যৌন শিক্ষার বই।
শিক্ষা আইন পাসে তড়িঘড়ি : জাতীয় শিক্ষাক্রমের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে চলতি মাসের ৩ তারিখে বাংলাদেশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার শিক্ষানীতি-২০১০-এর সুপারিশের আলোকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক শিক্ষা আইন, ২০১৬ প্রণয়ন করা হয়েছে। জনমত যাচাইয়ের জন্য খসড়াটি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। সরকারের তরফে চলতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে দেশবাসীর থেকে মতামত নেওয়া হবে ইমেল মারফত। কার্যত এটাও একটা তামাশা ছাড়া আর কিছু নয়।
সরকার তড়িঘড়ি করে ইসলামবিরোধী শিক্ষানীতি-২০১০-কে শিক্ষা আইন রূপে জারি করার উদ্যোগ নিয়েছে। এ কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে মাত্র ৩ থেকে ১০ এপ্রিল, ২০১৬ পর্যন্ত সময় দিয়েছে মতামত জানানোর জন্য। কিন্তু এত কম সময়ের মধ্যে সাধারণ জনগণের পক্ষ জানা সম্ভব নয়, তার ছেলেমেয়েকে কী পড়ানোর জন্যে ঘটা করে কী আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে? সেখানে কী থাকছে? কিংবা সেটা পড়ে তার ছেলেমেয়ে আদৌ মুসলিম থাকবে কিনা, এ সম্পর্কে যাচাই করার সুযোগও থাকছে না।
দেশ ও জাতি গঠনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর জাতীয় শিক্ষা কার্যক্রম সম্পর্কে সব ইসলামী ও জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ শিক্ষাবিদ ও অভিভাবক মহলকে এখনই গভীরভাবে পর্যালোচনা করে দেখার আহ্বান করছি।
য় লেখক : প্রেস সেক্রেটারি, হেফাজত আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী এবং নির্বাহী সম্পাদক, মাসিক মুঈনুল ইসলাম
সঁহরৎসসর০৯@মসধরষ.পড়স
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন