ঢাকার আশুলিয়ার পলাশবাড়ী এলাকায় মমতাজ উদ্দিন হাসপাতালে টনসিল অপারেশন করতে গিয়ে এক রুগীনীর মৃত্যু হয়েছে। উত্তেজিত জনতা ও নিহতের স্বজনদের কবল থেকে রক্ষা পেতে পালিয়ে গেলেন চিকিৎসক, নার্স, আয়াসহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
নিহত লাইলী বেগম (৩৩) আশুলিয়ার ডেন্ডাবর নতুন পাড়া এলাকার বাসিন্দা মুদি দোকানী আবুল কাশেরে স্ত্রী। বৃহস্পতিবার রাতে এঘটনার পর পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন। নিহতের স্বামী আবুল কাসেম অভিযোগ করে বলেন, বৃহস্পতিবার বিকালে লাইলী গলার টনসিলের সমস্যার কারনে মমতাজ উদ্দিন হাসপাতালের কর্মরত নাক কান ও গলা রোগ বিশেষঞ্জ চিকিৎসক মোদ্দাচ্ছির মাহমুদের কাছে গেলে তিনি পরীক্ষানিরিক্ষা করে জানায়, টনসিল ইনফেকশন হয়ে গেছে রোগীর কন্ডিশন খুবই খারাপ। দ্রæত অপারেশন না করলে রোগী মারা যাবে। পরে সন্ধ্যায় এ্যানেসথেশিয়া ডাক্তার এমদাদুল ইসলাম এসে রোগীকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে অজ্ঞান করেন।
অপারেশনে ১৫ থেকে ২০ মিনিট সময় লাগার কথা থাকলেও দীর্ঘ ২ঘন্টা হলেও রোগীকে অপারেশন থিয়েটার থেকে বের করা হচ্ছেনা দেখে রোগীর স্বজনরা উদ্বিগ্ন হয়েপড়েন। তখন রোগীর আত্মীয় স্বজনরা দেরীর কারন জানতে চাইলে কর্তব্যরত এক চিকিৎসক ধমকের সুরে আমাদের অপেক্ষা করতে বলেন। তিনি আরও জানান, কয়েক ঘন্টা পর চিকিৎসক মোদ্দাচ্ছির মাহমুদ জানায়, রোগীর অবস্থা ভাল নয় তাকে দ্রæত এ্যাম্বুলেন্স যোগে ঢাকায় নিয়ে যান। তখন আমাদের সন্দেহ হলে জোরপূর্বক অপারেশন থিয়েটারে প্রবেশ করে রোগীকে মৃত্যু অবস্থায় দেখতে পাই।
এসময় উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে অবস্থার বেগতিক দেখে সকল চিকিৎসক, নার্স, আয়াসহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শক করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেন। নিহতের স্বামীর অভিযোগ, হাসপাতালের মালিক মোখলেছুর রহমানের সন্ত্রাসী বাহিনী আমাদের হুমদি দিচ্ছে। নিতহ লাইলী বেগমের রিফাত, রাফি ও রিদম নামের ৩টি পুত্র সন্তান রয়েছে।
আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল আউয়াল জানান, লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। তিনি বলেন, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতা ডা. আমাজাদুল হক জানান, ঘটনাটি আমরা জেনেছি, আজ (শনিবার) এঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তবে মমতাজ উদ্দিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে কাউকে পাওয়া যায়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন