রাজধানীর বাড্ডায় ডিবি পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত দুই যুবকের মধ্যে একজনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তার নাম মাহবুব আলম অমিত (৩০)। বাবর নাম মো. ফিরোজ আহমেদ। বাড়ি মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মীরের হাওলা গ্রামে।গতকাল সন্ধ্যার আগে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) মর্গে এসে নিহতের বাবা ফিরোজ হোসেন ও স্ত্রী যুথী বেগম লাশ শনাক্ত করেন।
এদিকে, নিহত অপরজনের বিস্তারিত পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি। ঢামেক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। তবে, ডিবি পুলিশ বলছে, পরিচয় শনাক্তের বিষয়টি তাদের জানা নেই। নিহত অমিতের বাবা ফিরোজ আহমেদ জানান, স্ত্রী যুথী ও দুই সন্তানকে নিয়ে মিরপুর ১১ নম্বর সেকশনের সাংবাদিক কলেনিতে থাকতেন অমিত। রাজধানীর একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতেন বলেও তিনি জানান। স্ত্রী যুথী বেগম জানান, গত পরশুদিন সন্ধ্যায় বাসা থেকে অফিসের উদ্দেশ্যে বের হন অমিত। এরপর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে অপরিচিত একটি মোবাইল নাম্বার থেকে তাদেরকে ফোন করে জানানো হয়, অমিতের লাশ ঢামেক মর্গে আছে। পরে ময়না তদন্ত শেষে স্বজনরা অমিতের লাশ নিয়ে যান। অমিতের নামে কোনো মামলা ছিলোনা বলে স্বজনরা দাবি করেন। পরিচয় শনাক্তের বিষয়ে ডিবি উত্তর বিভাগের ডিসি মশিউর রহমান বলেন, এখন (সন্ধ্যা ৭টা) পর্যন্ত পরিচয় শনাক্ত ও লাশ হস্তান্তরের বিষয়টি জানা নেই। তবে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।
এর আগে বাড্ডা থানার এসআই শহিদুল আলম নিহত দুটি লাশেরই সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন। প্রতিবেদনে অমিতের বুক, পেট ও পিঠে মোট ১৯টি রক্তাক্ত ছিদ্র আর নুরুলের ১২ টি ছিদ্র রয়েছে বলে প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন।প্রসঙ্গত গত বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে বাড্ডার সাঁতারকুলের প্রজাপতি গার্ডেন এলাকায় বন্দুকযুদ্ধে নুরুল ইসলাম ওরফে কিলার সানি (২৮) ও অমিত ওরফে কিলার দাদা (৩৫) নামে দু’জন নিহত হয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের নাম জানানো হলেও নুরুল ইসলামের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি। নিহত দু’জন বাড্ডার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন হত্যায় জড়িত ছিল বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন