শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

রাশিয়া বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৮

ফাইনালে ফ্রান্স

রেজাউর রহমান সোহাগ, রাশিয়া থেকে | প্রকাশের সময় : ১১ জুলাই, ২০১৮, ২:৩২ এএম

বেলজিয়ামের স্বপ্নযাত্রা থামিয়ে তৃতীয়বারের মত বিশ্বকাপের ফাইনালে পা রেখেছে ফ্রান্স। গতকাল সেন্ট পিটার্সবার্গে অনুষ্ঠিত রাশিয়া বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে রেড ডেভিলদের ১-০ গোলে হারায় লেস ব্লরা। আগামী রোববার মস্কোর লুজনিকি স্টেডিয়ামের ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ আজকের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়া-ইংল্যান্ড ম্যাচের জয়ী দল।
১৯৯৮ বিশ্বজয়ীদের হয়ে এদিন একমাত্র গোলটি করেন স্যামুয়েল উমতিতি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে অঁতোয়ান গ্রিজম্যানের কর্নারে পোস্টের কাছ থেকে হেডের মাধ্যমে গোলটি করেন বার্সেলোনা ডিফেন্ডার। এর আগে ২০০৬ বিশ্বকাপে সর্বশেষ ফাইনালে খেলেছিল ফরাসিরা। যে ম্যাচটি ইতিহাসে স্বরণীয় হয়ে আছে ‘জিদানের ঠুসো’র কারণে। ২০ বছর পর আবার তাদের সামনে সুযোগ বিশ্বমঞ্চে নিজেদের দু’বাহু তুলে ধরার।
ব্রাজিলের মত দলকে হারিয়ে ১৯৮৬ সালের পর সেমিফাইনালে ওঠে আসে বেলজিয়াম। ‘কালো ঘোড়া’র তকমা নিয়ে আসর শুরু করে ডি ব্রæইনা-হ্যাজার্ড-লুকাকুদের থামতে হলো শেষ চারে এসে। বলের দখল রেখে প্রতিপক্ষের ডি বক্সে চাপ বাড়িয়েও জাল আবিষ্কার করতে পারেনি তারা। ফরাসিদের জমাট রক্ষণ তো ছিলই শেষ বাধা হিসেবে এক্সেল হুইসেল-টবি অ্যালডানওয়েল্ড-ডি ব্রউনাদের সামনে চীনের প্রাচীর হয়ে ছিলেন গোলরক্ষক হুগো লরিস।
ম্যাচের শুরু থেকেই বলের দখল নিয়ে গোছালো আক্রমণের চেষ্টা করে বেলজিয়াম। কিন্তু মুহূর্তের পাল্টা আক্রমণে ত্রাস ছড়ায় ফ্রান্স। কিলিয়ান এমবাপের গতি বেলজিয়ান রক্ষণকে বার বার আঘাত করতে থাকে। কিন্তু জালের দেখা মিলছিল না। টুর্নামেন্ট জুড়েই গোল মিসের মহড়া দিতে থাকা অলিভার জিরুদের উপর থেকে আস্থা হারাননি কোচ দিদিয়ের দেশম। অবাক করা বিষয় হলো, ছয়টি ম্যাচ খেলে প্রতিপক্ষের পোস্টে কোন শটই নিতে পারেননি আর্সেনাল স্ট্রাইকার। এতকিছুর পরও কোচের আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি তিনি। ফরাসি নাম্বার নাইন সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারলে জয়ের ব্যবধান বাড়তে পারত। ৩৪তম মিনিটে এমবাপের ক্রসে ঠিকমত পা লাগাতে ব্যর্থ হন জিরুদ।
দ্বিতীয়ার্ধেও দারুণ শুরু করে বেলজিয়াম। কিন্তু ৬৪ শতাংশ বলের দখল রেখেও কাজের কাজটিই করতে পারেনি তারা। উল্টো গোল পেয়ে যায় ফ্রান্স। গ্রিজম্যানের কর্নারে স্লাইড হেড করেন উমতিতি। তা সামান্ন ফেলাইনির মাথায় লাগলেও লাগতে পারে। এটি ছিল হেড থেকে করা আসরের ৩২তম গোল। বিশ্বকাপের এক আসরে এর চেয়ে বেশি গোল হয়েছে একবারই, ২০০২ সালে (৩৫টি)। একই সঙ্গে হ্যারি কেইনের (৬ গোল) পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলে সরাসরি অবদান রাখলেন গ্রিজম্যান (৩ গোল, ২ অ্যাসিস্ট)।
পিছিয়ে পড়ার পর ফ্রান্সের রক্ষণকে চেপে ধরেন ডি ব্রুইনা, এডেন হ্যাজার্ড, মার্লন ফেলাইনিরা। কিন্তু কাঙ্খিত জাল আবিষ্কার করতে পারেনি তারা। স্বপ্নের ফাইনালেও পা রাখা হয়নি রবার্তো মার্টিনেজের দলের। গোল খাওয়ার পরও গোলরক্ষক কর্তোয়া দারুণভাবে ফরাসি আক্রমণের সামনে বাধা হয়ে না দাঁড়ালে ব্যবধান বাড়তে পারত।
শনিবার একই মাঠে তৃতীয় স্থান নির্ধরণী ম্যাচে বেলজিয়ামের প্রতিপক্ষ দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ইংল্যান্ড ও ক্রোয়েশিয়ার মধ্যে পরাজিত দল।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
Nayan Nath ১১ জুলাই, ২০১৮, ৩:২৩ এএম says : 0
হারলেও বেলজিয়াম ভালো খেলেছে।
Total Reply(0)
Mohammad Mohiuddin ১১ জুলাই, ২০১৮, ৩:২৪ এএম says : 0
Congratulations Franch
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন