নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ওসমান গণি (৩৮) নামে ৫ মামলার এক আসামি নিহত হয়েছেন।
র্যাবের দাবি, নিহত ওসমান গণি মাদক বিক্রেতা। তার বিরুদ্ধে নাটোর জেলার বিভিন্ন থানায় মাদক ও চাঁদাবাজিসহ অন্তত পাঁচটি মামলা রয়েছে। নিহত ওসমান উপজেলার গুরুমশইল গ্রামের মৃত মনসুর আলীর ছেলে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন র্যাবের দুই সদস্য।
মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার বাহিমালি এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থল থেকে ৭ দশমিক ৬২ বিদেশি পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি ভর্তি ম্যাগাজিন, পিস্তলের গুলির খালি খোসা, সাদা পলিথিনের প্যাকেটে রক্ষিত বাদামি রঙের ৪১০ গ্রাম হেরোইন, নগদ এক হাজার ৪১০ টাকা, চার্জার লাইট, দুটি গ্যাসলাইট, মোবাইল ফোন, দুটি ডার্বি সিগারেটের প্যাকেট এবং বিভিন্ন কালারের সাতটি স্যান্ডেল উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-৫ এর নাটোর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর শিবলী মোস্তফা জানান, রাতে বাহিমালি মোড়ে কিছু লোকের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে র্যাবের একটি টহল দল সেখানে যায়। একপর্যায়ে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে কয়েকজন দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়া হলে তারা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। পরে ঘটনাস্থলে অজ্ঞাতনামা একজনকে আহতাবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। বাকিরা পালিয়ে যান।
আহত যুবককে উদ্ধার করে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় র্যাবের দুই সদস্য সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মনজুর আহমেদ ও কনস্টেবল এনামুল হক আহত হন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
পরে বড়াইগ্রাম থানার ওসি দিলীপ কুমার দাস নিহত যুবকের নাম ওসমান নিশ্চিত করেন।
ওসি জানান, নিহত ওসমান জেলার অন্যতম শীর্ষ মাদক বিক্রেতা হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে নাটোর জেলার বিভিন্ন থানায় মাদক ও চাঁদাবাজিসহ অন্তত পাঁচটি মামলা রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন