‘বিস্ময় বালক’ এমবাপে
যেন টাইম মেশিনের গতিতে চলে গেল একটি মাস। ফুটবলের মাস। বিশ্বকাপের মাস। চার বছরের অপেক্ষায় যে কাক্সিক্ষত অতিথি ঘরে এসেছিল, তাকে বিদায় দিতে কারই বা মন চাইবে! ‘যেতে নাহি দিতে চায়, তবে যেতে দিতে হয়, তবু চলে যায়’ প্রবাদকে তো আর মিথ্যে করে দেয়া যায় না!
৩২টি দলের রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে শুরু। ফেভারিট পতন আর নতুনের চমকেভরা শেষ ষেল, কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল আর স্বপ্নের ফাইনাল পেরিয়ে রাশিয়ায় বিশ্ব পেয়ে গেছে তাদের চ্যাম্পিয়ন। এই ফাইনালে যে দু’দল শিরোপা লড়াইয়ে নেমেছিল সে দলটিরই দুই সেরা তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে আর লুকা মড্রিচের মধ্যেই চলছিল আরেকটি লড়াই- ‘গোল্ডেন বল’র লড়াই। সেই লড়াইয়ে ফরাসি তারকাকে হারিয়ে সেরা ফুটবলারের মুকুট পড়লেন ক্রোয়াট তারকা। টুর্নামেন্ট জুড়ে ক্রোয়েশিয়াকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার সঙ্গে মাঝমাঠ সামলেছেন, আক্রমণের সূচনা করেছেন। দারুণ খেলে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার গোল্ডেন বল জিতেছেন মড্রিচ।
তবে হতাশ হতে হয়নি এমবাপেকেও। সেরা উদীয়মান খেলোয়াড় হয়েছেন বিশ্বকাপ জয়ী ফ্রান্স দলের তরুণ এই ফরোয়ার্ড। দলের জয়ে ফাইনালে এক গোল করেন পিএসজির এই তারকা। এই বিশ্বকাপে শিহরণ জাগানো খেলোয়াড় এমবাপে। অবিশ্বাস্য গতি আর দক্ষতার জন্য নজর কেড়েছিলেন বিশ্বকাপের আগেই। আর বিশ্বকাপে এসে ১৯ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড যেন আরও প্রস্ফুটিত। শেষ ষোলোয় আর্জেন্টিনার বিপক্ষে তার জোড়া গোলের সঙ্গে ওই দৌড়টাকেও মনে রাখতেই হচ্ছে! মাঝমাঠ থেকে স্প্রিন্ট শুরু করা এমবাপেকে কেউ ধরতে পারেনি- এই দৌড়টাই আসলে এমবাপের ‘ব্র্যান্ড’। ৩ গোল করা এ ফরাসি কিশোর ফিরিয়ে এনেছেন পেলের স্মৃতি। ১৯৫৮ বিশ্বকাপে পেলের পর প্রথম ‘কিশোর’ ফুটবলার হিসেবে এবার ন্যুনতম তিনটি গোল করেছেন এমবাপে।
এদিকে, অনেকটা অনুমিতই ছিল- ৬ গোল কার গোল্ডেন বুটের মালিক হয়েছেন ইংল্যান্ডের হ্যারি কেইন। যার তিনটিই তিনি করেছেন পেনাল্টি থেকে। ৪টি করে গোল করে সিলভার ও ব্রোঞ্জ বুটের মালিক যথাক্রমে ফ্রান্সের অাঁতোয়ান গ্রিজমান এবং বেলজিয়ামের রোমেলো লুকাকু। আর সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার গোল্ডেন গ্লোভ জিতেছেন তৃতীয় হয়ে রাশিয়ার আসর শেষ করা বেলজিয়ামের থিবো কর্তোয়া।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন