শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

মুহুরী গিলছে জনপদ

মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন ছাগলনাইয়া থেকে | প্রকাশের সময় : ২২ জুলাই, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

উজানের ঢলের পানির চাপে ও অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারনে ছাগলনাইয়ার উত্তর পানুয়া গ্রামে মুহুরী নদীর ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ফলে উত্তর পানুয়া গ্রামের শত শত একর ফসলি জমি, বসতবাড়ী গাছের বাগান ও শ্বশ্মানসহ জনপদ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড এ এব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। কৃষি জমি হারিয়ে নিঃস্ব এলাকাবাসী। তারা চান দ্রুত ভাঙ্গন রোধ স্থায়ী ব্যবস্থা। বর্ষা মৌসুমে মুহুরী নদীর স্রোত বেড়ে যাওয়ায় ভাঙ্গন আতঙ্গে দিন কাটাচ্ছে নদী পাড়ের লোকজন। আশ্রয়হীন হয়েছে অনেক পরিবার। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খোন্দকার এনায়েত উল্যাহ, সাবেক সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নুর মোহাম্মদ নুর ইসলাম, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বিশেষ উপদ্রেষ্টা নাজমা আক্তার, স্থানীয় ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ছলিম উল্যাহ ভূঁঞা হুমায়ুন, ব্যবসায়ী সিরাজউদৌলা ভূঁঞা মারুফ, আলিম হোসেন মেম্বার, বাসু হাদি ও মফিজুর রহমানসহ গ্রামবাসীর শত শত একর জমি ইতিমধ্যে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বিশেষ করে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে জেলে পাড়ার বাসিন্দারা।
এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে প্রতি বছর উত্তর পানুয়া গ্রামের মুহুরী নদীর ভাঙ্গন নদীর পশ্চিম পাড়ে নতুন করে চর জাগছে। বাথানিয়া অংশ চরজাগা উত্তর পানুয়া মৌজার খতিয়ান জায়গাগুলো জবর দখলের জন্য ভূমিদস্যুরা মরিয়া হয়ে উঠেছে। জমিগুলো যেন প্রকৃত মালিকের কাছে ফেরত দেয়া হয় এজন্য ক্ষতিগ্রস্থ গ্রামবাসী সরকারের কাছে জোরালো দাবী জানিয়েছেন। এবিষয়ে ছাগলনাইয়া পৌরসভার উত্তর পানুয়া গ্রামের ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ছলিম উল্যাহ ভূঁঞা হুমায়ুন বলেন, আমার ওয়ার্ড মুহুরী নদীর তীরবর্তী হওয়ায় এলাকাবাসী ঝূঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। নদী গর্ভে মানুষের সহায় সম্পদ বিলীন হয়ে যাচ্ছে। নদীগর্ভে বাড়ী ঘর হারিয়ে বস্তু হারা মানুষেল সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে জেলে পাড়ার মানুষগুলো আতঙ্কে এবং অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করছে। গ্রামবাসীর দুঃখ দুর্দশা দেখার যেন কেউ নেই।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন