বরিশালে সংখ্যা গরিষ্ঠ ভোটারদের একটিই প্রশ্ন, ‘ভোট দিতে পারব তো ? ’ বরিশাল সিটি নির্বাচনের মাত্র ৭ দিন বাকি থাকতে প্রচারনা এখন চুড়ান্ত পর্যায়ে। গতকাল পর্যন্ত ভোট কেন্দ্রীক বড় ধরনের কোন গোলযোগের ঘটনা এ নগরীতে না ঘটলেও গ্রেফ্তার আতংক শুরু হয়েছে ২০ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীদের মধ্যে। ইতোমধ্যে জামায়াতের মহানগর আমীর ও যুব দলের কয়েক নেতা-কর্মীকে গ্রেফ্তার করে বিশেষ ক্ষমতা আইনে আটকাদেশ দেয়ায় ভোটের পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সবার কাছেই ভোটের দিনের আগে-পড়ের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। বেশীরভাগ ভোটারের কাছেই ‘কে মেয়র হবেন, তার চেয়েও কেমন ভোট হবে, সে প্রশ্নটিই এখন মূখ্য হয়ে উঠেছে। তবে এ অবস্থাতেই সকলকে আশ্বস্ত করতে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার এক সপ্তাহের মাথায় আগামীকাল আবার বরিশালে আসছেন। তিনি নির্বাচন কমিশন ভবনে ভোট সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বৈঠক করা ছাড়াও সার্কিট হাউজে মেয়র প্রার্থীদের নিয়েও আলাদা বৈঠক করবেন।
এদিকে কলেজ মিলনায়তনে মহাজোটের মেয়র প্রার্থীর নির্বাচনী মতবিনিময় সভামঞ্চে উপস্থিত থাকার অভিযোগে শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল ডা. ভাস্কর সাহাকে কৈফিয়ত তলবের পরে গতকাল বিকেল পর্যন্ত কোন জবাব বরিশালে নির্বাচন কমিশন দফ্তরে পৌছেনি। রিটার্নিং অফিসার ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মুুজিবুর রহমান ৩ দিনের মধ্যে জবাব প্রদানের সময় দিয়ে গত শুক্রবার এক চিঠিতে বিষয়টি সম্পর্কে কৈফিয়ত তলব করেন। বিভিন্ন প্রার্থীর কর্মীরা বাড়ী বাড়ী গিয়ে কেন্দ্রের নাম আর ভোটারদের নম্বর পৌছে দিতে শুরু করেছেন। গনসংযোগের পাশাপাশি প্রার্থীদের ভোট দেয়ার আবেদন সম্বলিত লিফলেটও পৌছে দেয়া হচ্ছে ভোটারদের কাছে।
জামায়াতের চার নেতা-কর্মীকে পুলিশ গ্রেফ্তার করেছে। মহানগর কর্ম পরিষদ সদস্য ও শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন সভাপতি এ্যডভোকেট মো. শাহ আলম, আলেকান্দা সাংগঠনিক থানা সম্পাদক আবদুর রঊফ ছাড়াও মিরাজ ও মুয়াজ নামের দুই কর্মীকে পুলিশ গ্রেফ্তার করেছে। এদের বিরুদ্ধে কোন ওয়ারেন্ট নেই বলেও দলটির পক্ষ থেকে দাবী করা হয়েছে। এর আগে গ্রেফ্তারকৃতদের কয়েকজনকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে আটকাদেশ দেয়া হয়।
মহাজোট প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারনায় গাজীপুর সিটির সদ্য নির্বাচিত মেয়র ও নেতৃবৃন্দ বরিশালে রয়েছেন। এছাড়াও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম-এমপি’ও কয়েক দিন ধরে এনগরীতে ভোটের প্রচারনায় রয়েছেন। অপরদিকে ২০দলীয় জোট প্রার্থী মুজিবুর রহমান সারোয়ারও গতকাল নগরীতে ব্যাপক প্রচারনা চালান। তিনি গতকালও নগরীর বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে গনসংযোগ করার পাশাপাশি কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ভোটের প্রচানায় ছিলেন। সারোয়ারের পক্ষেও ভোটারদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে ভোটার নম্বর সহ কেন্দ্রের ঠিকানা পৌছে দেয়া হচ্ছে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রার্থী মাওলানা ওবায়দুর রহমান মাহবুব ও জাপা প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপসও গতকাল নগরীর বিভিন্ন এলকায় ব্যাপক গনসংযোগ করেন। বাসদ প্রার্থী ডা. মনিষা চক্রবর্তি ও জাপা থেকে বহিস্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী বশির আহমদ ঝুনুও ছুটছেন নগরীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন