রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্কে পাঁচ নতুন অতিথি

এম এ মতিন, শ্রীপুর (গাজীপুর) থেকে : | প্রকাশের সময় : ২৫ জুলাই, ২০১৮, ১২:০৪ এএম

গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে এসেছে নতুন অতিথি। ক্রাউন ফ্রিজেন্ট অ্যাভিয়ারিতে ডিম থেকে ফুটেছে মুয়ূরের কয়েকটি বাচ্চা। নজরে রাখা হচ্ছে বাচ্চাগুলিকে। ঘাসের ফাঁকে ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে। এদিকে বেশ কিছু ডিম থেকে পার্কের ইউকিউভেটরেও বাচ্চা ফুটাচ্ছে জানিয়েছে পার্ক কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি নেচারালভাবে পাঁচটি বাচ্চার জন্ম হলেও কয়েকদিন হলো চোখের সামনে পড়ছে।
জানা যায়, কক্সবাজারের ডুলাহাজরা সাফারি পার্ক ও বিভিন্ন সময় চোরাকারবারিদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া বিশ-পঁচিশটি ময়ূর সাফারি পার্কের ক্রাউন ফ্রিজেন্ট অ্যাভিয়ারিতে ছাড়া হয়। বেশ কয়েকবার বাচ্চা ফুটিয়েছে এ পার্কেই। এখানে সাদা ময়ূরসহ আশিটি ময়ূর রয়েছে। ওপরে নেট দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে ময়ূরগুলোকে। বেশ কিছু ময়ূর প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এক সময় এ অঞ্চলের শাল গজারি বনে মিলবে ময়ূর এমন প্রত্যাশা সকলের।
ওয়াইল্ড লাইফ জুনিয়র স্কাউট জাহাঙ্গীর আলম জানান, পার্কে এখন ছোট ৫টি বাচ্চা রয়েছে। ইউকিউভিটরে ফুটেছে বড় ২৫টি বাচ্চা। তিনি বলেন, ময়ূর সাধারণত সাপ খায়। তবে ঘাস, ফুলের রেণু, ভুট্টা, গমসহ বিভিন্ন শাক খেতে দেওয়া হয়। ওয়াইল্ড লাইফ সুপার ভাইজার আনিসুর রহমান বলেন, ময়ূর এ দেশে প্রকৃতিতে অনেক অগেই বিলুপ্ত হয়ে গেছে। ভারতের জাতীয় পাখি ও মায়ানমারের জাতীয় প্রতিক এটি। প্রজননকালে দুই পুরুষ ময়ূর সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। নারী ময়ূরীকে আকর্ষণ করাতে পেখম মেলে পুরুষ ময়ূর। তিন থেকে পাঁচ কেজি ওজন হয়ে থাকে। ১৮-২০ মাসে প্রাপ্ত বয়ষ্ক হয়। সাধারণত ৫-৬ ডিম দেয় ময়ূরী। বর্ষাকাল প্রজনন মৌসুম। ২৫ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে ময়ূর।
পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম জানান, অল্প কয়েক দিন হলো এ পার্কে যোগদান করেছি। সম্প্রতি সাদা সিংহ ও মযূর বাচ্চা দিয়েছে। এতে পার্কটি আকর্ষণীয় হবে। দর্শনার্থীরা আরো বেশি আনন্দ উপভোগ করবে এ পার্কে ঘুরতে এসে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন