শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

মাগুরার বিল-বাঁওড় অতিথি পাখির কলতানে মুখর

মাগুরা থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৯ এএম

অতিথি পাখির কলতানে মুখর মাগুরা জেলার ৪ উপজেলার বিল বাওড়। শীত প্রধান দেশ থেকে শিতের তীব্রতার কারণে কয়েক মাসের জন্য আসে বায়ংলাদেশে। আবার শিত কমে গেলে ফিরে যায় আপন দেশে। এসব পাখির আগমনে মাগুরা জেলার বিল বাওড়, নদী নালা, বিল ঝিল মুখরিতে হয়ে ওঠে। স্বচ্ছ জলধারা অতিখি পাখি বেশী পছন্দ করে। শিত পড়ার সাথে সাথে সুদুর সাইবেরিয়াসহ হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে এসব পাখি প্রকৃতির ডাকে ছুটে আসে বাংলাদেশে। আর এদের আগমনে বিল ঝিল নদী নালা মনোমুগ্ধকর হয়ে ওঠে।
মাগুরা জেলার মধুমতি নদীর হরেকেষ্টপুর, ঝামা, কালী শংকরপুর, চর নারানদিয়া, গয়েশপুর কসুন্দি চরসহ বড়বিলা, রুপদার বিল, নালের বিল, বিল ঝলমল, হাবুড়ে দোহা, নাগোর বিল, মহম্মাদপুর বাওড়, ইছামতি বিলে অতিথি পাখি ভিড় জমিয়েছে। বিশেষ করে মধুমতি চরের স্বচ্ছ পানিতে এদের দেখা যায় বেশী। নিরাপদ স্থান হিসেবে এরা দূর্গম চরকে বেছে নেয়। আর এ কারনে কালী শংকরপুর চরে এদের বেশী দেখা যাচ্ছে।

শিকারীদের উৎপাত এবার কম হওয়ায় এরা সাচ্ছন্দে চরে বেড়াচ্ছে নদী নালা বিল বাওড়ে। বিশেষ করে যে সব পাখি এসব এলাকায় আসে তার মধ্যে সরাইল, নাড়োল, শামুকবাংগা, কাচিকাটা, দিঘেড়, রাজ হাঁস, চ্যাগা, প্রধান। এসব অতিথি পাখি দেখার জন্য অনেকে যাচ্ছে বিল বাওড়ে। প্রতি বছরই এসব স্থানে অতিথি পাখি আসে আর কিছু শিকারী পাখি নিধনের জন্য উঠে পড়ে লেগে যায়। এসব বিল বাওড়ের আশে পাশের মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে এসব এলঅকায় অতিথি পাখি আসে। ফাঁদ পেতে ও বন্দুকধারী শিকারিদের হাতে নিহত হয় বেশ কিছু পাখি। যারা বেঁচে থাকে তারা শীত শেষে ফিরে যার আপনালয়ে।
প্রানী বিশেষজ্ঞদের মতে, মূলত অক্টোবরের শেষ ও নভেম্বরের প্রথম দিকে এরা আসে। আবার মার্চ মাসের শেষ দিকে ফিরে যায়। এসব অতিথি পাখি দলবদ্ধভাবে আসে আবার দলবদ্ধভাবে ফিরে যায়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন