সহ¯্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি অর্জনে ভবিষ্যৎ প্রজন্মে বিনিয়োগ এবং অতিদারিদ্র দূরীকরণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে ব্র্যাক। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ব্র্যাকের বার্ষিক প্রতিবেদন ২০১৭-এর প্রকাশনা অনুষ্ঠানে সংস্থাটির শীর্ষ কর্মকর্তারা একথা জানান।
রাজধানীর মহাখালীতে, ব্র্যাক সেন্টার মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ডা. মুহাম্মাদ মুসা বলেন, বাংলাদেশের সহ¯্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি অর্জনে সরকারের সহায়ক সংস্থা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে ব্র্যাক। দারিদ্র্য বিমোচনে ব্র্যাক ২০০২ সাল থেকে অতিদরিদ্র কর্মসূচির মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছে। ২০১৭ সালে অন্তত ৭৫ হাজার পরিবার এই কর্মসূচির সহায়তায় স্থায়ীভাবে অতিদারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে। এর পাশাপাশি, রোহিঙ্গা সঙ্কটে ৬ লাখেরও বেশি মানুষকে মানবিক সহায়তা দিয়েছে ব্র্র্যাক। এই কর্মসূচি এখনও চলমান।
ডা. মুসা আরও বলেন, ব্র্যাকের ভবিষ্যৎ কর্মকৌশলে আটটি বিষয়ে আরও জোর দেওয়া হবে, যথা অতি দারিদ্র্য দূরীকরণ, দরিদ্রদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, তরুণদের দক্ষতা প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান, কার্যকর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, জেন্ডার সমতা, দরিদ্রবান্ধব নগর উন্নয়ন, সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা ও পুষ্টি, এবং পরবর্তী প্রজন্মে বিনিয়োগ।
তরুণদের দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ে বক্তব্য রাখেন সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন পরিচালক আসিফ সালেহ। এ সময় ব্র্যাকের অন্যান্য পরিচালক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আসিফ সালেহ বলেন, ২০১৭ সালে প্রায় ৩৪ হাজার তরুণ-তরুণীকে দক্ষতা প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান বিষয়ে সহায়তা দিয়েছে ব্র্যাক। এছাড়াও, ২০১৭ সালে সারাদেশে ব্র্যাকের প্রায় ৪৪ হাজার স্কুল ও শিক্ষাকেন্দ্রে ভর্তি হয়েছে ৩৮ লাখের বেশি শিশু এবং কিশোর-কিশোরী।
তিনি আরও বলেন, প্রতি বছর নতুন ২২ লাখ তরুণ-তরুণী শ্রমবাজারে প্রবেশ করছে। বিশ্বব্যাংকের মতে, এদের মধ্যে ৪১ শতাংশের যথাযথ শিক্ষা ও উপযুক্ত প্রশিক্ষণ নেই। তাই আগামী দিনে ব্র্যাক ২০২০ সাল নাগাদ শ্রমবাজারে আসা ৪ লাখ মানুষকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করছে। #####
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন