শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্যবসা বাণিজ্য

এসডিজি অর্জনে প্রয়োজন আঞ্চলিক প্ল্যাটফর্ম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ২১ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

পৃথিবীর প্রায় একচতুর্থাংশ মানুষের বাস দক্ষিণ এশিয়ায়। এ অঞ্চলে দারিদ্র, ক্ষুধা ও অপুষ্টির প্রবণতা তুলনামূলক বেশি। দারিদ্র বিমোচনে রয়েছে বিদ্যুত, জ্বালানী, দক্ষ মাসবসম্পদ আর অবকাঠামোর অভাব। এ অবস্থায় দক্ষিণ এশিয়াকে বাদ দিয়ে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন সম্ভব নয়। এসডিজির লক্ষ্য পূরণে সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তিখাত ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার ভ‚মিকা রয়েছে। বিভিন্ন দাতা সংস্থার পাশাপাশি এসডিজি অর্জনে আঞ্চলিক সহায়তার বিষয়টিও সমান গুরুত্বপূর্ণ। তবে বর্তমান বাস্তবতায় দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সংস্থা সার্ক খুব বেশি কার্যকর হচ্ছে না। এ অবস্থায় দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়নে নতুন আঞ্চলিক প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলার প্রস্তাব দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) আয়োজনে এক সেমিনারে এ সব বিষয় উঠে এসেছে।

গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে দক্ষিণ এশিয়ায় এসডিজি : নতুন কাঠামোর সন্ধানে শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। দুই দিনের সেমিনারের উদ্বোধনীতে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উগদেষ্টা ড. গওহর রিজভী। সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ইউএস-এসক্যাপের দক্ষিণ এশিয়া পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলের প্রধান ড. নগেশ কুমার, জার্মানভিত্তিক সংস্থা ফ্রিডরিক এবার্ট স্টিফটুং (এফইএস) বাংলাদেশ অফিসের আবাসিক প্রতিনিধি টিনা ব্লম। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

গওহর রিজভী বলেন, সব পক্ষের সঙ্গে সমন্বয় কয়ে সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজ করার সামর্থ্য ও ইচ্ছার উপর এসডিজির প্রতিটি লক্ষ্য অর্জণ নির্ভর করে। একক কোনো সংস্থা বা মন্ত্রণালয়ের কাজে লক্ষ্য পূরণ হবে না। সবগুলো মন্ত্রণালয়কে সম্মিলিতভাবেই কাজ করতে হবে। এ লক্ষ্য পূরণে বাংলাদেশের বিদ্যুত ও জ্বালানী খাতে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। দক্ষ মানব সম্পদেরও অভাব রয়েছে। তিনি এসডিজি অর্জনে সার্কের বিকল্প হিসেবে কার্যকর কিছু গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

দেবপ্রিয় বলেন, বৈশ্বিক পরিস্থিতির সঙ্গে মিলিয়ে আমাদের সামনের দিকে এগুতে হবে। আর এর জন্য নতুন জ্ঞানের দরকার, নতুন বিশ্লেষণের দরকার। নতুন জ্ঞান এবং বিশ্লেষণ নিয়ে নীতিনির্ধারকদের নতুন কর্মপন্থার অনুসন্ধান করতে হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন