দেশের লাইফ লাইন হিসেবে খ্যাত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অঘোষিত পরিবহন ধর্মঘট ও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে দেশের আমদানি-রপ্তানিতে ধস নেমেছে। মহাসড়কে মালমালবাহী কেনো ট্রাক চলাচল না করায় লোকসান গুনতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। গত কয়েক দিনের অবরোধে দৈনন্দিন জীবন-যাপন বিঘœসহ দেশের পরিবহন চলাচলেও অচলাবস্থা সৃষ্টি হওয়ার ফলে পণ্য সরবরাহে মারাত্মক বিঘœ ঘটছে। থমকে গেছে দেশের অর্থনীতি। ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা নেমে এসেছে। নিত্যপণ্য পরিবহনে সৃষ্টি হয়েছে অচলাবস্থা।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে নিত্যপণ্যের ট্রাক ঢাকা আসতে না পারায় বাজারের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। দামও বেড়ে যাচ্ছে হু হু করে। তবে কিছু পণ্যবাহী গাড়ি চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসলেও গন্তব্যে পৌঁছতে পারেনি। এসব ট্রাকের একটি বড় অংশজুড়েই রয়েছে বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামাল। জানা গেছে, রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পণ্যবাহী ছোট-বড় ৪০০ থেকে ৫০০ ট্রাক আসে। বর্তমানে ২০ থেকে ৩০টি ট্রাক ঢুকতে পারছে। এগুলো ঢাকার আশপাশের এলাকা থেকে সবজি নিয়ে এসেছে। ব্যবসায়ীরা জানান- দেশের দ্বিতীয় রাজধানী হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম থেকে চাল, ভোজ্যতেল, চিনি, আটা, ময়দাসহ নিত্যপণ্যের বিভিন্ন কাঁচামাল আসে রাজধানীতে।
কুমিল্লার ব্যবসায়ী শামিম হোসেন বলেন, পণ্য ডেলিভারি না হওয়ায় আমাদের ফ্যাক্টরিতে উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ থাকায় প্রতিদিনই লোকসান গুনতে হচ্ছে।
কুমিল্লা জেলা বাস মালিক সমিতির সদস্য তাজুল ইসলাম বলেন, ‘নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুসারে আমরা এ ঘোষণা দিয়েছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন