বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসলামী প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন : সুন্নত নামাজ সব সময় ছেড়ে দিলে কী ধরনের গুনাহ হয়?

রাহাত আহমেদ,
ইমেইল থেকে।

প্রকাশের সময় : ১৩ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০৯ এএম

উত্তর : সুন্নত নামাজ দুই প্রকার। ০১. সুন্নতে মুআক্কাদাহ, ২. সুন্নতে জায়েদাহ। সুন্নতে জায়েদাহ ছেড়ে দিলে গুনাহ হয় না। এটি মুস্তাহাবের মতো। পড়লে সওয়াব, না পড়লে গুনাহ নেই। যেমন আসরের আগের চার রাকাত সুন্নত। সুন্নতে মুআক্কাদাহ অর্থ যেসব সুন্নত নামাজ নবী করিম সা. কখনোই ছাড়েননি। এর মর্যাদা প্রায় ওয়াজিবের মতো। যা ছাড়লে গুনাহ হয়। এসব সুন্নত ছাড়লে গুনাহ কী ধরনের হয় এ প্রশ্নের আগে এসব পড়লে সওয়াব কী পরিমাণ হয় তা ভাবা দরকার। কারণ, গুনাহর ভয়ে নামাজ পড়ার চেয়ে বা সওয়াবের জন্য তা আদায় করার চেয়ে বেশি গুরুত্ব এ জন্যই দিতে হয় যে, নবী করিম সা. সারাজীবন এসব নামাজ এত গুরুত্ব দিয়ে কেন পড়লেন। পাঁচ ওয়াক্তের সাথে যে জরুরি সুন্নত নামাজগুলো রয়েছে সে সম্পর্কে নবী করিম সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি পাঁচ ওয়াক্তের সুন্নতে মুয়াক্কাদাহগুলো নিয়মিত আদায় করবে, তার জান্নাতে প্রবেশের ক্ষেত্রে বাধা কেবল তার মৃত্যু। এ জন্যই দুনিয়ার সব সাহাবি, তাবেয়ি, তাবে তাবেয়ি ও সকল পরহেজগার বান্দারা এসব সুন্নত নিয়মিত জীবনভর পড়েছেন। তবে কোনো কারণবশত মাঝে মধ্যে এসব সুন্নত ছুটে গেলে কাজা করতে হয় না। কঠিন কোনো গুনাহও হয় না। কিন্তু পড়ার মধ্যে যে ফজিলত রয়েছে কোনো বুদ্ধিমান মানুষ ইচ্ছা করে এসব ছাড়তে পারেন না। হাদিস শরিফে এমনও এসেছে, হাশরের দিন বান্দার ফরজ নামাজে কিছু ত্রুটি থাকলে তা অন্যান্য নামাজ থেকে পূরণ করা হবে। অতএব, ফরজ ছাড়াও সব সুন্নত ও যথাসম্ভব অধিক নফল নামাজ নিজের আমলনামায় রাখা প্রত্যেকেরই কর্তব্য।
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতাওয়া বিশ্বকোষ।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (9)
জাহিদ ১৩ আগস্ট, ২০১৮, ৩:৫২ এএম says : 1
উত্তরটি শুনে খুব ভালো লাগলো
Total Reply(0)
নাবিল আহমেদ ১৩ আগস্ট, ২০১৮, ৩:৫৩ এএম says : 2
এত সুন্দরভাবে দলীলসহ বিষয়গুলো উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ
Total Reply(0)
শামীম ১৩ আগস্ট, ২০১৮, ৫:৫২ এএম says : 1
হুজুর কে অনেক ধন্যবাদ প্রশ্নের সুন্দর জবাব দেওয়ার জন্য
Total Reply(0)
১৩ আগস্ট, ২০১৮, ১২:৩৮ পিএম says : 1
ma sha Allah
Total Reply(0)
১৩ আগস্ট, ২০১৮, ১২:৫১ পিএম says : 1
ধন্যবাদ
Total Reply(0)
Arshad Abdullah ১৩ আগস্ট, ২০১৮, ৫:৪৯ পিএম says : 1
সুন্দর জবাব। জাজাকাল্লাহ খায়ের।
Total Reply(0)
nurahmed ১৭ আগস্ট, ২০১৮, ৯:৫৫ পিএম says : 0
Khuv valo laglu
Total Reply(0)
Humayun Kabir ২১ আগস্ট, ২০১৮, ৯:০৯ এএম says : 0
Could not agree on this. There is a difference between sunnah and Fardh. Only Fardh is compulsory and it would be a sin if not observed. Sunnah is recommended and but not compulsory. There should not be any sin if sunnah is not observed, otherwise there would be no difference between fardh and sunnah. In Islam there are five categories of task 1. compulsory (Fadh) 2. Recommended (sunnah/mujtahab) 3. Optional 4. Discouraging (Makruh) and Forbidden (haram)
Total Reply(1)
২৫ আগস্ট, ২০২১, ৫:৪৬ পিএম says : 0
আব্দুল্লাহ খান ফয়েজী ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৯:৪২ এএম says : 0
আলোচনা টিতে সুন্নাত ছলাতের যথাযথ গুরুত্ব ফুটে উঠেছে। আল্লাহ আমাদেরকে সুন্নাত ছলাতের গুরুত্ব উপলদ্ধি ও সুন্নাত সম্পর্কে সচেতন হওয়ার তৌফিক দিন।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন