শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আদিগন্ত

কার্যকর ওআইসি চাই

প্রকাশের সময় : ২১ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

জালাল উদ্দিন ওমর
গত ১৪-১৫ এপ্রিল তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে ওআইসির ১৩তম শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং তুরস্ক আগামী দুই বছরের জন্য ওআইসির সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। সম্মেলনে মুসলিম দেশের নেতারা মুসলিম বিশে^র সমস্যা সমাধানে নিজেদের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন এবং এ সম্মেলনের মাধ্যমে নিজেদের মধ্যকার সমস্যা সমাধানের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। আমরা আশা করব, ওআইসি এবার সত্যি সত্যিই মুসলিম বিশে^র কল্যাণে কাজ করুক এবং ওআইসির নেতৃত্বে মুসলিম বিশে^র সমস্যাগুলো দূরীভূত হোক। আমরা আরো আশা করি, ওআইসির নেতৃত্বে মুসলিম দেশগুলো ঐক্য, উন্নয়ন, শান্তি এবং প্রগতির পথে এগিয়ে যাবে এবং বিশ^ব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ওআইসি কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। তার জন্য কার্যকর একটি ওআইসি চাই, ওআইসিতে দক্ষ নেতৃত্ব চাই এবং চাই ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর মাঝে ঐক্য, ভাতৃত্ব এবং সংহতি। যুুদ্ধ বন্ধ করে শান্তি এবং সংঘাত বন্ধ করে সমঝোতার জন্য আজ ওআইসিকে কাজ করতে হবে। তাহলেই কেবল ওআইসি তার কাক্সিক্ষত উদ্দেশ্য পূরণে সফল হবে। ওআইসি তার অতীতের ব্যর্থতাকে কাটিয়ে উঠুক এবং ভবিষ্যতে বিশ^ব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠায় একটি গতিশীল সংগঠনে পরিণত হোক, এটাই বিশ^ মুসলিমের আশা এবং প্রার্থনা।
মুসলিম দেশগুলোর সমস্যা সমাধান এবং মুসলিম দেশগুলোকে শান্তি, উন্নয়ন এবং প্রগতির পথে এগিয়ে নেওয়ার মহৎ উদ্দেশ্যে ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন বা ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা বা ওআইসি। কিন্তু প্রতিষ্ঠার চার যুগ পূর্তি হলেও, এই দীর্ঘ পথপরিক্রমায় মুসলিম দেশগুলোর সমস্যা সমাধানে ওআইসি কোনো ভূমিকা পালন করতে পারেনি।
আর তাই ওআইসির উপস্থিতি সত্ত্বেও, মুসলিম দেশগুলো আজ যুদ্ধ, সংঘাত, হানাহানি এবং মারামারিতে বিপর্যস্ত। মুসলিম বিশে^র সর্বত্রই আজ হতাশা আর দুর্দশা। ঐক্যের পরিবর্তে অনৈক্যই আজ মুসলিম দেশগুলোর প্রতিচ্ছবি। আয়নায় দেখলেই মুসলিম দেশগুলোর এই বিবর্ণ ছবি সহজেই দেখা যায়। সৌদি আরব এবং ইরান মুসলিম বিশে^র দুটি প্রভাবশালী দেশ। অথচ দেশ দুটির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বৈরিতা চলছে এবং বর্তমানে দেশ দুটির মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কও বিচ্ছিন্ন। আর এই বৈরিতার কারণে মুসলিম বিশ^ বছরের পর বছর ধরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ দ্বন্দ্বের কারণে ওআইসি কখনো গঠনমূলক কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি। মুসলিম দেশগুলোর অনৈক্যের পরিণতি কী তা কয়েকটি উদাহরণ দিলে পরিষ্কার হবে। ৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনিরা ইসরাইলের হাতে নির্যাতিত হয়ে আসছে। কয়েক লাখ ফিলিস্তিনি বছরের পর বছর ধরে বিভিন্ন দেশের শরণার্থী শিবিরে জীবনযাপন করছেন। অনেক ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরেই জন্মগ্রহণ করেছেন, শরণার্থী শিবিরেই বড় হয়েছেন এবং শরণার্থী শিবিরেই মৃত্যুবরণ করেছেন। এখানকার রাজনীতিও সৌদি-ইরান দুই মেরুতে বিভক্ত। হামাসকে সমর্থন দিচ্ছে ইরান আর পিএলওকে সমর্থন দিচ্ছে সৌদি আরব। ফলে ফিলিস্তিনিরা ইসরাইলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে পারছে না। ফলে ফিলিস্তিনিরা বিজয় অর্জন করেনি। আফগানিস্তানে ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে গৃহযুদ্ধ চলছে। সেখানকার রাজনীতিও আজ সৌদি আরব এবং ইরান দ্বন্দ্বে বিভক্ত। ফলে আফগানিস্তানে গৃহযুদ্ধ এখনো বন্ধ হয়নি।
পঁচিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে সোমালিয়ায় গৃহযুদ্ধ চলছে। এই যুদ্ধে সোমালিয়া আজ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ চলছে। প্রেসিডেন্ট আসাদের পক্ষে আছে ইরান, আর আসাদবিরোধী পক্ষকে সমর্থন করছে সৌদি আরব। যুদ্ধে যুদ্ধে সিরিয়া আজ শেষ। ইতোমধ্যে তিন লাখ সিরিয়ান মারা গেছেন, আর চল্লিশ লাখ সিরিয়ান উদ্বাস্তু হয়েছেন। ইয়েমেনেও আজ গৃহযুদ্ধ চলছে। সেখানেও একপক্ষে আছে সৌদি আরব আর একপক্ষে আছে ইরান। গৃহযুদ্ধে ইতোমধ্যে ইয়েমেনও ধ্বংস হয়েছে এবং ৬০ হাজার ইয়েমেনি মারা গেছে। মিসরের বর্তমান শাসক সিসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিচ্ছে সৌদি আরব। ব্রাদারহুডকে ক্ষমতাচ্যুত করতে সৌদি আরব ব্যাপক তৎপরতা চালায়। অপরদিকে ব্রাদারহুডকে সমর্থন করে ইরান। মুসলিম দেশগুলোর মধ্যকার দ্বন্দ্বে মুসলিম দেশগুলো যখন বহুদাবিভক্ত, তখন সা¤্রাজ্যবাদীরা কৌশলে মুসলিম দেশগুলোকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। আফগানিস্তান, ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়া ও ইয়েমেন তার সর্বোৎকৃষ্ট উদাহরণ। যুদ্ধে যুদ্ধে লিবিয়াও আজ শেষ। মিয়ানমারের শাসকরা আরাকানের মুসলমানদের ওপর বছরের পর বছর ধরে নির্যাতন চালাচ্ছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য তাদের সাহায্য করার সময় এবং শক্তি আজ মুসলিম দেশগুলোর নেই। কারণ তারা নিজেরা নিজেরাই ঝগড়া-বিবাদে ব্যস্ত।
মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে ভাতৃত্ব, ঐক্য এবং সংহতি সবচেয়ে বেশি থাকার কথা থাকলেও তারা আজ বহুদাবিভক্ত। বৃহত্তর স্বার্থকে বাদ দিয়ে তারা আজ ক্ষুদ্র স্বার্থের দ্বন্দ্বে জড়িত। এই দ্বন্দ্বে মুসলিম দেশগুলো আজ বিপর্যস্ত। ইরাক, আফগানিস্তান, সিরিয়া, লিবিয়া, ইয়েমেন সব দেশেই যুদ্ধরত পক্ষগুলো মুসলিম। এই যুদ্ধে যারা মরছে তারা সবাই মুসলিম। যা কিছুই ধ্বংস হচ্ছে সবই মুসলমানদের সম্পদ। এসব যুদ্ধ বন্ধে ওআইসির কোনো ভূমিকা নেই। এই সুযোগে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, রাশিয়া এবং চীনসহ অস্ত্র বিক্রেতারা দেদারসে অস্ত্র বিক্রি করছে। একদিকে মুসলমানদের টাকায় অস্ত্র ব্যবসায়ীরা লাভবান, অপরদিকে সেই অস্ত্রের আঘাতে মারা যাচ্ছে মুসলমানরাই এবং মুসলমানেরই ঘরবাড়ি সব ধ্বংস হচ্ছে। বিশে^র শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলো যুদ্ধরত দুই পক্ষকেই অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সামরিক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। মুসলিম দেশগুলো হয়ে উঠেছে পশ্চিমা বিশে^র দাবা খেলার স্থান। মুসলিম দেশগুলোতে পশ্চিমারা যুদ্ধের নতুন নতুন ফ্রন্ট লাইন খুলছে। ফলে আত্মঘাতী এই যুদ্ধ বন্ধ না হয়ে অবিরাম গতিতে এগিয়ে চলছে। এই আত্মঘাতী যুদ্ধই মুসলমানদের ধ্বংস করছে। এ কারণেই মুসলমানরা শক্তিশালী না হয়ে দিন দিন দুর্বল হচ্ছে এবং বহির্বিশে^ মুসলমানদের প্রভাব-প্রতিপত্তি বৃদ্ধি না পেয়ে বরং কমছে। অন্যের সমস্যা সমাধানের সুযোগ, ক্ষমতা এবং দক্ষতা মুসলিম দেশের শাসকদের নেই। তারা কীভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকবে সে প্রচেষ্টাতেই সবসময় ব্যস্ত এবং নিজেদের ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করার কাজে ভিনদেশের সহযোগিতা চায়। এ কারণে ফিলিস্তিন এবং মিয়ানমারের নিপীড়িত নির্যাতিত মুসলমানদের পক্ষে দাঁড়ানোর সময় এবং ক্ষমতা মুসলিম দেশের রাজা-বাদশাহদের নেই। আর মুসলমানদের এই অনৈক্যই পশ্চিমাদের শক্তি। এই সুযোগে পশ্চিমারা নিজেদেরকে শক্তিশালী করেছে এবং মুসলিম দেশগুলোর ওপর প্রভাব বিস্তার করেছে এবং মুসলিম দেশগুলোর নিয়ন্ত্রক হয়ে বসে আছে।
মুসলিম দেশগুলোর মাঝে আজ যে দ্বন্দ্ব তা আজ নিজেদেরকেই দূর করতে হবে এবং ওআইসিকেই এ জন্য উদ্যোগ নিতে হবে। দুঃখজনক হলেও সত্য, আজকের বিশে^ যত গৃহযুদ্ধ সব মুসলিম দেশেই। যত উদ্বাস্তু এবং শরণার্থী সবাই মুসলিম। বর্তমান বিশে^ প্রায় এক কোটি মানুষ শরণার্থী শিবিরে বসবাস করে। দুঃখজনক হলেও সত্য এদের প্রায় শতভাগই মুসলিম। এমনকি আমাদের দেশে আটকে পড়া পাকিস্তানিরাও মুসলিম। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই এসব পাকিস্তানি বাংলাদেশের রিফিউজি ক্যাম্পে মানবেতর জীবনযাপন করছে। এই সমস্যাটিও এখনো সমাধান হয়নি এবং তারা পাকিস্তানে ফেরত যেতে পারেনি।
প্রকৃতপক্ষে মুসলিম দেশগুলোর সমস্যার সমাধান মুসলিম দেশগুলোকেই করতে হবে। এই সমস্যার সমাধান মুসলমানদেরকেই করতে হবে। তার জন্য মুসলমানদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ক্ষুদ্র স্বার্থ বাদ দিয়ে বৃহত্তর স্বার্থের জন্য মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আল্লাহ, রাসূল (সা.), কোরআন, নামাজ, রোজা, হজ, যাকাত কোরবানিÑ সবই এক হওয়া সত্ত্বেও মুসলমানরা আজ এক নয়। মুসলিম সমাজ আজ হাজারো গ্রুপে বিভক্ত। চলছে হিংসা, হানাহানি, মারামারি, যুদ্ধ এবং বিগ্রহ। অথচ ঐক্য, ভ্রাতৃত্ব, সাম্য এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করা ইসলামের মৌলিক শিক্ষা। মানবকল্যাণ ইসলামের প্রধান শিক্ষা হলেও মুসলমানদের কারণেই মুসলমানরা আজ ঘরবাড়ি ছাড়া, দেশ ছাড়া এবং তারা আজ শরণার্থী। অনেকে বলে মুসলিম দেশগুলোর মধ্যকার অনৈক্য এবং দ্বন্দ্বের জন্য পশ্চিমারা দায়ী। একইভাবে ফিলিস্তিন, আফগানিস্তান, সোমালিয়া, সিরিয়া, লিবিয়া, ইয়েমেনসহ মুসলিম দেশগুলোর সমস্যার জন্য পশ্চিমারা দায়ী এবং পশ্চিমারাই এসব সংকট সৃষ্টি করেছে। কিন্তু এ কথার সাথে আমরা পুরোপুরি একমত নই। কারণ মুসলিম দেশের শাসক এবং রাজনীতিবিদরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকতেন এবং নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাতে লিপ্ত না হতেন, তাহলে পশ্চিমারা সাত সমুদ্র তের নদী পার হয়ে মুসলিম দেশে এসে তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারতেন না। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার কোনো দরকার তো মুসলিম দেশগুলোর নেই। আর গাদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যুত এবং হত্যা করার পর তো লিবিয়ায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পায়নি। বরং দেশটি ধ্বংস হয়ে গেছে। বিভিন্ন উপদলীয় গ্রুপে বিভক্ত হয়েছে এবং তাদের মধ্যে যুদ্ধ চলছে, যাতে কেবল মুসলমানরাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে মুসলিম দেশগুলোর মাঝে ঐক্য এবং সংহতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। নিজেদের মধ্যে যেসব সমস্যা আছে তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। সৌদি আরব এবং ইরানের মধ্যে যে দূরত্ব রয়েছে তা আলোচনায় বসলে অবশ্যই দূর হবে। একইভাবে মুসলিম দেশগুলোর মাঝে যে অনৈক্য, দূরত্ব এবং সমস্যা, তা আলোচনায় বসলেই দূর করা সম্ভব। মুসলিম বিশে^র প-িত ব্যক্তিগণকে আজ মুসলিম দেশগুলোর ঐক্যের জন্য উদ্যোগ নিতে হবে। মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে বিদ্যমান অনৈক্যকে দূর করতে হবে এবং ঐক্য ও সংহতি সৃষ্টি করতে হবে। পবিত্র কাবা শরিফের ইমামের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের ইসলামিক প-িতগণকে আজ এগিয়ে আসতে হবে। সারা বিশে^র ইসলামিক প-িতগণকে নিয়ে মুসলিম দেশগুলোর মধ্যকার বিভেদ দূর করার জন্য একটি বিশেষজ্ঞ পরিষদ গঠন করুন। আর ওআইসিকেই আজ এই উদ্যোগটা নিতে হবে। কাবা শরিফের ইমামের পিছনে সৌদি আরব এবং ইরানসহ সব মুসলিম দেশের রাজা-বাদশাহ এবং সব দেশের মুসলমানরা নামাজ পড়েন। আর সৌদি আরব এবং ইরানের মাঝে দূরত্ব বাড়লে সেই দূরত্ব অন্যান্য মুসলিম দেশেও ছড়িয়ে পড়ে। এতে মুসলমানদেরই কেবল ক্ষতি হবে এবং দেশ দুটির মধ্যকার দ্বন্দ্বের কারণে ইতোমধ্যে বিশ^ মুসলিমের অনেক ক্ষতি হয়েছে। অতএব আর বাড়াবাড়ি নয়। মুসলিম দেশগুলোর মাঝে আজ যেসব সমস্যা রয়েছে, তা নিরসনে এখনই আলোচনায় বসুন এবং নিজেদের মধ্যে ঐক্য, ভাতৃত্ব এবং সংহতি প্রতিষ্ঠা করুন। মুসলিম দেশগুলোকে আজ একে অপরের প্রতিপক্ষ না হয়ে, একে অপরের সহযোগী হতে হবে। একের কল্যাণে অপরকে এগিয়ে আসতে হবে। মুসলিম দেশগুলোকে কমন লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করতে হবে এবং তা অর্জনে একযোগে কাজ করতে হবে। মনে রাখতে হবে ঐক্যেই শক্তি এবং ঐক্যেই শান্তি ও সমৃদ্ধি। তা না হলে মুসলিম দেশে দেশে চলমান গৃহযুদ্ধ চলতেই থাকবে। মুসলমানরা প্রতিনিয়ত ধ্বংস হতেই থাকবে, যেটা কারো কাম্য নয়। আর এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে এবং শান্তি, উন্নয়ন ও প্রগতির পথে এগিয়ে যেতে হলে মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে ঐক্য, সংহতি এবং ভাতৃত্বের কোনোই বিকল্প নেই। তাই এবার আমরা একটি কার্যকর ওআইসি চাই।
য় লেখক : প্রকৌশলী ও কলামিস্ট
ড়সধৎথপঃম১২৩@ুধযড়ড়.পড়স

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
rabiul islam ২১ এপ্রিল, ২০১৬, ১:০৭ পিএম says : 0
পবিত্র কাবা শরিফের ইমামের নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের ইসলামিক প-িতগণকে আজ এগিয়ে আসতে হবে। সারা বিশে^র ইসলামিক প-িতগণকে নিয়ে মুসলিম দেশগুলোর মধ্যকার বিভেদ দূর করার জন্য একটি বিশেষজ্ঞ পরিষদ গঠন করুন। আর ওআইসিকেই আজ এই উদ্যোগটা নিতে হবে
Total Reply(0)
Md.Harun ১৮ মার্চ, ২০১৯, ৭:৩২ পিএম says : 0
thats all right
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন