মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ০৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

টার্কি পালনে স্বাবলম্বী

কাশিয়ানী থেকে হাফিজুর রহমান হাফিজ | প্রকাশের সময় : ২১ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

টার্কি মুরগি পালন করে সফলতা পেয়েছেন গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার খায়েরহাট গ্রামের স্কুলশিক্ষক মো. মনিরুজ্জামান শেখ। শিক্ষকতার পাশাপাশি ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে মাত্র পাঁচটি টার্কি মুরগি দিয়ে ‘মেগা টার্কি খামার’ নাম দিয়ে শুরু করেন টার্কি পালন। এখন তার খামারে প্রায় অর্ধশতাধিক টার্কি মুরগি রয়েছে। টার্কি মুরগি বিক্রি ও বাচ্চা ফুটিয়ে বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন তিনি। স্কুলশিক্ষক মনিরুজ্জামানের মেগা টার্কি মুরগির খামার এবং সাফল্য দেখে আশপাশের অনেক বেকার যুবকরা টার্কি পালনে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। মনিরুজ্জামান টার্কির পাশাপাশি কবুতরও পালন করছেন।

মনিরুজ্জামান উপজেলার খায়েরহাট গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে এবং কাশিয়ানী জিসি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের বাংলা শিক্ষক। মনিরুজ্জামান শেখ বলেন, ‘আমি স্কুলের ডিউটি শেষ করে সারাদিন বাসায় বসে থাকতাম। বেতনের টাকা দিয়ে ভালোমতো আমার দুই মেয়ে ও স্ত্রী নিয়ে সংসার চলত না। সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হতো। পরে কিছু কবুতর পালন শুরু করি। এতে সফলতা আসলে পাশাপাশি পাঁচটি টার্কি মুরগি পালন শুরু করি। টার্কির বয়স ছয়-সাত মাস যেতে না যেতেই ডিম দিতে শুরু করে।’ এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। সেই পাঁচটি টার্কি মুরগি থেকে এখন প্রায় অর্ধ-শতাধিক টার্কি মুরগি রয়েছে তার খামারে। এখন তিনি বাণিজ্যিকভাবে টার্কি মুরগি ও কবুতর পালন করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন।
টার্কি ছয় মাসের মধ্যে ডিম দিতে শুরু করে। এরা ঠান্ডা-গরম সব সহ্য করতে পারে। তাই টার্কি পালনে লাভ বেশি। টার্কি মুরগি দানাদার খাবারের চেয়ে সাধারণ পোকা-মাকড়, প্রাকৃতিক খাবার কচুরিপানা, কলমি শাক, বাঁধাকপি, ঘাস এসব বেশি পছন্দ করে বলে জানান মনিরুজ্জামান। কাশিয়ানী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আব্দুল মালেক বলেন, টার্কি পালন করে সহজেই স্বাবলম্বী হওয়া যায়। তাই যারা টার্কি পালন করছেন, তাদেরকে রোগবালাই সম্পর্কে সচেতনসহ সব ধরনের সহযোগিতা করছি।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন