সোমবার, ২৭ মে ২০২৪, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

মামলা নয়, ভাবনায় শুধুই এশিয়া কাপ

মুখ খুললেন মোসাদ্দেক

মো: শামসুল আলম খান | প্রকাশের সময় : ২৮ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০২ এএম

সদ্য তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী সামিয়া শারমিন উষা’র ১০ লাখ টাকা যৌতুকের অভিযোগে মামলার পর উল্টো তাঁর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের তারকা ক্রিকেটার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তিনি বলেছেন, ‘দুইটি কারণে আমি সামিয়াকে ডিভোর্স পাঠিয়েছি। প্রথম কারণ, আমার সঙ্গে সংসার করতে চাইলেও আমার মা-ভাইয়ের সঙ্গে এক ছাদের নিচে থাকতে চাইতো না। আরেকটি কারণ ও (সামিয়া) আমার মায়ের গায়েও হাত তুলতো। আমাদের বিচ্ছেদের ভয়ে মা সব লুকিয়ে রাখতো।’ মোসাদ্দেক বলেন, ‘ডিভোর্সের ১০ দিন পর আমার বিরুদ্ধে যৌতুকের অভিযোগ আনা রীতিমত হাস্যকর। মূলত দেশের মানুষের চোখে আমাকে এবং আমার পরিবারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতেই এমন বানোয়াট অভিযোগ করা হয়েছে। ডিভোর্স পেপারস পাওয়ার পরও এতোদিন তারা কোন রিঅ্যাকশন দেখায়নি, কিছু বলেওনি। অথচ আজ বলছে আমি ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেছি। এটা নির্লজ্জ মিথ্যাচার ছাড়া কিছুই নয়।’ রোববার সন্ধ্যায় ঢাকার উদ্দেশ্যে ময়মনসিংহ শহরের কাঁচিঝুলি গোলাপজান রোডের নিজ বাসা ছাড়েন মোসাদ্দেক। গতকাল দুপুরে মোবাইল ফোনে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তরুন এই অলরাউন্ডার।
বছর ছয়েক আগে পারিবারিকভাবেই নিজের জীবন সঙ্গী হিসেবে খালাতো বোন সামিয়া শারমিন উষাকেই বেছে নেন মোসাদ্দেক হোসেন। প্রথম দিকে সম্পর্কটা ভালো টিকলেও বছর দেড়েক যাবত মনোমালিন্য ও তিক্ততা শুরু হয়। এর কারণ সম্পর্কে মোসাদ্দেক বলেন, ‘আমার স্ত্রী চাইতো আমি তাকে নিয়ে আলাদা থাকি। আমার মা, ভাইদের সঙ্গে সংসার করতে চাইতো না। আমার মা’র সঙ্গে প্রায় সময়েই বেয়াদবিও করতো। আমি যখন দেশের বাইরে ট্যুরে খেলতে গিয়েছি তখন আমার মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে তাঁর শরীরে হাত পর্যন্ত তুলেছে সে। আমাদের সংসার টিকানোর স্বার্থে মা মুখ খুলেনি। ওর মতো মেয়ের সঙ্গে আর যাই হোক সংসার করা সম্ভব নয়। তাই আমি ১০ দিন আগেই ওকে ডিভোর্স দিয়েছি।’
দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে মোসাদ্দেক বলেন, ‘আমাদের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন ভাইয়ের সঙ্গে গত ১৫ আগষ্ট আমাদের দু’জনেরই (সামিয়া) সমঝোতার জন্য বসার কথা ছিল। আমি আগ্রহী থাকলেও মূলত ওর (সামিয়া) অনিচ্ছার কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। পরে আমি তাকে ডিভোর্স পাঠিয়েছি।’ মিচ্যুয়াল ডিভোর্স প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মোসাদ্দেক বলেন, ‘আমাদের বিয়ের কাবিননামা ছিল ৩ লাখ টাকা। কিন্তু তাঁরা আমার কাছে ২০ লাখ টাকা দাবি করেছে। এই টাকা দেইনি বলেই ডিভোর্স পেপার পাঠানোর পর তারা আমার বিরুদ্ধে কেইস করেছে মনগড়া, মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ এনে’, দাবি সৈকতের।
এশিয়া কাপের অনুশীলন ক্যাম্প শুরুর মাত্র একদিন আগে স্ত্রী’র দায়ের করা যৌতুকের মামলায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন মোসাদ্দেক। তবে তাঁর প্রধান লক্ষ্য সব ভুলে খেলায় মনোনিবেশ করা। এই বিষয়ে মোসাদ্দেক বলেন, ‘আমি খেলাতেই মনোসংযোগ ধরে রাখতে চাই। দেশের জন্য নিজের সেরাটাই উপহার দিতে চাই।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন