মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের ৩৫ নং গুয়াখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। জানা গেছে, ১৯৪০ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টির ৪ কক্ষ বিশিষ্ট ভবনটি কর্তৃপক্ষ পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছে প্রায় ১০ বছর পূর্বে। সে হিসেবে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হলেও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান। সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের মাথার উপরে ছাদের প্লাস্টার খসে পরে এ পর্যন্ত ১২ জন ছাত্র-ছাত্রী আহতের ঘটনা ঘটেছে। তারপরও কর্তৃপক্ষের কোন নজর নেই। এমন দুরবস্থার চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে স্কুলে গিয়ে দেখা গেছে, মেঝেতে উচু-নিচু গর্ত, রড বের হয়ে মরিচা পরে সরু হয়ে গেছে। জানালা-দরজা ভাঙা। পিলার ও ওয়ালে বড় বড় ফাটল, বৃষ্টি হলে ছাদ চুয়ে পানি পরে। ভবনের অভাবে তারপরও ক্লাস হচ্ছে পরিত্যক্ত ভবনে। বৃষ্টি হলেই তাদের স্কুল ছেড়ে বাড়ি যেতে হয়। বৃষ্টির পানি পড়ে বই খাতা ভিজে যায়। ২’শ জন শিক্ষার্থীর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পরিত্যক্ত ভবনে বাধ্য হয়েই শিক্ষকদের ক্লাস নিতে হয়। বর্তমানে ভয়ে অনেক ছাত্র-ছাত্রী বিদ্যালয়ে আসতে চায় না। তবে বৃষ্টির সময় ছাদ চুয়ে পানি পরার কারণে ক্লাস নেয়া সম্ভব হয়না। তখন ছাত্র-ছাত্রীদের ছুটি দিয়ে দেয়া হয়।’
৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী রুপা আক্তার জানায়, বৃষ্টি হলে আমাদের বই খাতা ভিজে যায়, ক্লাস চলাকালিন ছাদের প্লাস্টার আমাদের ওপর খসে পড়ে কিছু দিন আগে আমাদের কয়েকজন বন্ধু আহত হয়েছিল।
বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মো.আমানউল্লাহ মাষ্টার বলেন, ভবনটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে এবং রুম সংকটের কারনে ঝুকিপুর্ন ভবনেই আমাদের ক্লাস নিতে হয়। খুব দ্রæত আমাদের একটি ভবন প্রয়োজন। পরিচালনা পরিষদের সভাপতি সামছুজ্জামান পনির বলেন, বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের জন্য প্রায় ৭/৮ বছর যাবত যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন জানিয়ে আসছি। ভবনের দূরস্থার চিত্র বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে একাধিকবার প্রচারিত হয়েছে। তারপরও রহস্যজনক কারনে নতুন ভবন হচ্ছে না। এ ব্যাপারে সিরাজদিখান উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ বেলায়েত হোসেন জানান, বিদ্যালয়টি পরিদর্শনে এর সত্যতা প্রমান পেয়েছি। সেখানে একটি নতুন ভবন অত্যন্ত জরুরি। উর্ধ্বতন কতৃপক্ষ বরাবর তালিকা পাঠিয়েছি। বরাদ্দ পেলে কাজ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন