বগুড়ার আদমদীঘির ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নের দূর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চাটাইয়ের বেড়াই ও নড়বড়ে টিনের ছাউনি, দরজা জানালা নষ্টসহ বিভিন্ন অংশ হেলে জরাজীর্ণ শ্রেণি কক্ষে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে চালানো হচ্ছে শিক্ষাদান কার্যক্রম। যে কোনো মুহূর্তে নড়বড়ে টিনের ঘর ভেঙে প্রাণহানিসহ শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিদ্যালয় ভবন নির্মাণের জন্য স¤প্রতি টেন্ডার হলেও এখনও কাজ শুরু না করায় এই জরাজীর্ণ ভবনেই চালানো হচ্ছে শিক্ষাদান।
জানা যায়, আদমদীঘি সদর হতে ১১ কিলোমিটার দূরে ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চল দূর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থানীয় শিক্ষানুরাগীদের সার্বিক সহযোগিতায় ২০০৪ সালে ৩৩ শতক জমি দান করে চাটাইয়ের বেড়ায় টিনের ছাউনি দিয়ে বে-সরকারি রেজিস্টার প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। শিক্ষার মান উন্নয়নসহ প্রতিষ্ঠানটি যথেষ্ঠ সুনাম কুড়িয়েছে এলাকায়। চাটাইয়ের বেড়ায় ৪ কক্ষ বিশিষ্ট টিনের ছাউনির এই বিদ্যালয়ে ৪ শিক্ষক দেড় শতাধিক ছাত্রছাত্রী রয়েছে। বর্তমান সরকারের আমলে দ্বিতীয় ধাপে এই বিদ্যালয়টি সরকারিকরণ হয়।
বিগত ২০১৪ সালের ২৭ মে রাতের প্রচণ্ড ঝড়ে বিদ্যালয়টির মাটির দেয়ালসহ টিনের ছাউনি উড়ে এবং চেয়ার বেঞ্চ টেবিল ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঝড়ে বিধ্বস্ত হওয়ার পর বিদ্যালয়টি বাঁশের চাটাইয়ের বেড়া দিয়ে জরাজীর্ণ এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে চালানো হচ্ছে শিক্ষাদান। ফলে বিঘ্ন হচ্ছে পরিবেশ। অর্থের অভাবে ভেঙে ও হেলে পড়া বিদ্যালয় কক্ষগুলো এখন পর্যন্ত কোনো সংস্কার করা হয়নি।
প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ জানান, ভবন নির্মাণে জন্য বার বার আবেদন করার পর টেন্ডার আহ্বান করা হলেও কাজ শুরু হয়নি।
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম জানান, ভবন নির্মাণের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে মাপজোক করেছেন, অল্প দিনের মধ্যে কাজ শুরু করার কথা রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন