পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে সরকারি চার্জ (ট্যারিফ) পরিশোধ না করে গত বুধবার রাতে বন্দরের গেট ভেঙে পণ্য খালাস করেছে ভুটান থেকে আমদানি করা পাথর বোঝাই ১০৩ ট্রাক। এর আগে ৫/৬ দিন যাবত গাড়ি বোঝাই বিভিন্ন মালামালসহ ট্রাক আটকে ছিলো বন্দর এলাকায়, ফলে ওই কয়েকদিন অচল ছিলো বন্দরটি। গাড়ি আটকে রাখা আর পণ্য খালাস ঘটনা কেন্দ্র করে বন্দরে সৃষ্টি হয় ক্ষোভ ও উত্তেজনা। বন্দর এলাকায় তান্ডব সৃষ্টি করে সিএণ্ডএফ ও ট্রাক চালকরা। পূর্বের প্রায় আড়াই কোটি টাকা সরকারি চার্জ বাকি রয়েছে ৮-১০ জন সিএণ্ডএফ এজেন্টদের কাছে। আবারও চার্জ বাকি রেখে পণ্য খালাস করার চেষ্টা চালায় তারা। বন্দর কর্তৃপক্ষ বাধা দিতে গেলে হামলা করে তাদের ওপর। ভয়ে স্থলবন্দরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা নিজেদের নিরাপত্তার অভাবে রাতারাতি স্থলবন্দর ত্যাগ করে অন্যত্র চলে যতে হয়। এরই প্রেক্ষিতে জরুরী ভিত্তিতে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ৩ ঘন্টার এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় পুলিশ সুপার, বিজিবি সিও, কাস্টমসের ডিসি, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, আমদানি-রফতানিকারক ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তবে সিএণ্ডএফদের ডাকা হলেও তারা কেউ উপস্থিত ছিলেন না। বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর পরিস্থিতি সাভাবিক রাখতে ও নিয়ম অনুযায়ী সকল কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বন্দরের সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান জেলা প্রশাসক। আলোচনা সভায় ঘটনা পর্যবেক্ষনের লক্ষে ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।
ল্যান্ডপোর্র্টের ম্যানেজার মামুন সোবহান জানান, ১২/১৩ জন সিএন্ডএফ এজেন্ট তাদের ২ কোটি ৪৭ লাখ ৯৪ হাজার ৭৪০ টাকা বকেয়া রেখেছে। আগের টাকা বকেয়া রাখতে পারে কিন্তু এখন নগদ টাকা জমা দিলে মালামাল লোড আনলোড করা হবে। নগদ টকা জমা প্রদান করা সরকারি নিয়ম।
ব্যবসায়ী সাইদুর রহমান জানান, আমরা লোড-আনলোড এর টাকা পরিশোধ করি। পোর্ট কর্তৃপক্ষ আনলোড করে দিচ্ছে কিন্তু লোড করে দিচ্ছে না। লোড-আনলোড এর সুবিধা পোর্ট কর্তৃপক্ষ দেয়ার জন্য চার্জ আমাদের কাছ থেকে ঠিকই নেয় কিন্তু লোডিং এর সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ায় আমরা ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। আমাদের দাবি লোডিং এবং আনলোডিং সুবিধা দিলে আমদানি-রপ্তানিতে এ পোর্ট ব্যাবহারে সরকার রেকর্ড পরিমান রাজস্ব আদায় করতে পারে।
এ বিষয়ে কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকতা জাকির হোসেন তাহের জানান, গত মঙ্গলবার বিকেলে ভুটানের শ্রমিক (ড্রাইভার/হেলপার) পোর্টে হৈ চৈ করতে থাকে। এটা সিএন্ডএফের বিষয় আমাদের করার কিছু নেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন