চাঁদপুর জেলা তাবলীগ জামাতের ওয়াজহাতি জোড় রোববার রাতে সম্পন্ন হয়েছে। এ সময় হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লির উপস্থিতিতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ তাবলিগ জামাতের আমির মাও. জোবায়ের আহমদ (কাকরাইল)।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, তাবলীগ জামাত কোরআন ও হাদিসের নির্দেশনা মোতাবেক ওলামায়ে কেরামের পরামর্শের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়। এখানে ব্যক্তিগত স্বার্থ ও ইসলাম বিরোধীদের সাথে আঁতাতের কোনো সুযোগ নেই। কোরআন-হাদিসের কোনো মনগড়া ব্যাখ্যা মেনে নেয়া যাবে না। শুরায়ি নেজামকে উপেক্ষা করে কোনো ব্যক্তির মতাদর্শ বাস্তবায়নকারীরা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে। বিশ্বব্যাপী সমাদৃত তাবলীগ জামাত নিয়ে বিধর্মীদের চক্রান্তে বিতর্ককারীদের সম্পর্কে অবশ্যই সজাগ থাকতে হবে। ওলামায়ে কেরামের পরামর্শের ভিত্তিতেই বাংলাদেশে বিশ্ব ইজতেমা পরিচালিত হবে।
বিশাল ওয়াজহাতি জোড়ে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কাকরাইলের মুরব্বি মাও. আব্দুর বার, উজানির পীর মাও. আশেক এলাহী, মহাপরিচালক মাও. মাহবুবে এলাহী, নাজেম মাও. আবদুর রহমান. ফুলছোঁয়ার পীর মুফতি আবু সাইদ, প্রখ্যাত মুফাসসির মুফতি মুশতাকুন্নবী, জামেয়া রাহমানিয়া ঢাকার অধ্যক্ষ মুফতি হিফজুর রহমান, মুহাদ্দিস মাও. মাহফুজুর রহমান, মুফতি শফিকুর রহমান প্রমুখ।
ওয়াজহাতি জোড়ে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ ওচমান গনি পাটওয়ারী। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, সকল ভেদাভেদ ভুলে ইসলামপন্থীদের এক কাতারে শামিল হতে হবে। দেশ ও জাতির স্বার্থে যারা ইসলামের প্রচার প্রসার করেন, সরকার অবশ্যই তাদের সাথে আছেন।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মুফতি সিরাজুল ইসলাম, মাও. লিয়াকত হোসাইন, মাও. জাফর আহমদ, মাও. খাজা আহমদ, মাও. মুনির হোসাইন, মাও. আবুল হাসানাত, মাও. কবির আহমেদ, মাও. হাবিবুর রহমান, নূরুল আমিন, মাও. এমদাদ উল্লাহ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন