নাটোরে প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষন ও হত্যা মামলার পৃথক রায়ে ৩ যুবকের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। গতকাল বুধবার দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মাইনুল হক এ ধর্ষন মামলায় আলাল নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন।
নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি শাহাজান কবির জানান, ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সদর উপজেলার জংলী গ্রামের আলাল প্রতিবেশী শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশু কন্যার সাথে খেলা করতে থাকে। এক পর্যায়ে বাড়িতে কাউকে দেখতে না পেয়ে শিশুটিকে ঘরে ঢুকিয়ে ধর্ষণ করে আলাল। শিশুটির চিৎকারে পাশের বাড়ির এক মহিলা ছুটে এলে পালিয়ে যায় আলাল। এ ঘটনায় নির্যাতিতার পিতা বাদি হয়ে আলালকে অভিযুক্ত করে ওই দিন নাটোর সদর থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ আলালকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগ পত্র প্রদান করে। সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বিচারক আলালকে যাবজ্জীবন ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার সাজা দেন। অপরদিকে নাটোর শহরতলীর তেবাড়িয়ার আরমান হত্যা মামলায় আব্দুল আলিম ও সুমন আলী নামে ২ যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ছে আদালত। দুপুরে নাটোরের জেলা ও দায়রা জজ রেজাউল করিম এ রায় দেন। রায়ে অপর ৩ জনকে খালাস দেয়া হয়েছে।
নাটোর জজ কোর্টের পিপি সিরাজুল ইসলাম জানান, ২০১৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নাটোর সদর উপজেলার তেবাড়িয়া গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম বাবুলের ছেলে আরমান আলীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। এর পর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। একদিন পর তার লাশ একই উপজেলার রামনগর এলাকার একটি বাঁশ ঝাড় থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের পিতা বাদি হয়ে ৫ জনের বিরুদ্ধে নাটোর সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। প্রয়োজনীয় আইনী প্রক্রিয়া ও সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বিচারক এ রায় দেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন