গারো পাহাড়ের অত্যন্ত ব্যস্ততম প্রধান সড়কসহ গ্রামীণ রাস্তাগুলো ব্যবহার করে অবৈধভাবে মালামাল পরিবহনকারী ’পাওয়ার টিলার’ বেপরোয়াভাবে উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে প্রবেশ করে মালামাল পরিবহন করলেও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা অদৃশ্য শক্তির ইশারায় নীরব দর্শকের ভ‚মিকা পালন করছে। জমি চাষাবাদে ব্যবহারের এসব পাওয়ার টিলারের মাধ্যমে মালামাল পরিবহনের জন্য আলাদা ট্রলার সংযোজনের মাধ্যমে বিটিআরসির কোনো প্রকার পারমিট ছাড়াই অবৈধ এসব যানবাহন অত্যন্ত দাপটের সাথেই ঝিনাইগাতীর প্রধান সড়কসহ সকল ব্যস্ত সড়কপথে অবৈধ কাঠ, ডুম লাকড়ি, অবৈধ বালু, পাথর, ইট, সিমেন্ট, রড, ধান-চাল, সবজি ইত্যাদি মালামাল পরিবহন করছে।
জানা যায়, সাধারণ যানবাহনকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ব্রেক-গিয়ারসহ অন্যান্য যন্ত্রাংশ থাকলেও পাওয়ার টিলারে তা নেই। ফলে এসব ‘যান’ চলে প্রতি মুহূর্তে দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে। এ ছাড়া এসব পাওয়ার টিলারের বিকট শব্দে পরিবেশেরও মারাত্মক দূষণ ঘটছে। গোটা উপজেলায় যানবাহণ চলাচলে কোনো নিয়ন্ত্রণ না থাকায় স্কুল-কলেজগামী ছাত্রছাত্রীদের নিরাপদে চলাচলও মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে। ফলে অভিভাবক হয়ে পড়েছে শঙ্কিত। কখন না জানি শুনতে হয়, তাদের কোনো সন্তান দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। কৃষক নেতা শালচুড়া গ্রামের সরোয়ারদি দুদু মন্ডল, ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন, রাংটিয়ার আ. রহমান মাস্টার, ব্যবসায়ী সিদ্দিকুর রহমান, মিজানুর রহমান মিজান, অটোরিকশা চালক ডেফলাই গ্রামের আবুল কাশেম, বন্দভাট পাড়ার রুস্তম আলী প্রমুখ জানান, এসব বেআইনি যান বেপরোয়াভাবে চলাচলের কারণে এবং উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় তারাও ভীতসন্ত্রস্ত! অভিজ্ঞমহলের ম,ে বিষয়টি পুলিশ বাহিনীর দেখা জরুরি। জানা যায়, সবাইকে ম্যানেজ করেই চলছে এসব অবৈধ যানবাহন। ফলে মাঝে মধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটলেও তা সবার জানা সত্তে¡ও দ্রুত মিটমাট করে ফেলা হয় এবং এসব যানবাহনের চালকরা থেকে যাচ্ছে অধরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন