রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

বিএনপি-জামায়াত মাদরাসার কোনো উন্নয়ন করেনি

আলোচনা সভায় শিক্ষামন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

বিএনপি-জামায়াত সরকারের সময়ে মাদরাসা ও মাদরাসা শিক্ষার কোন উন্নয়ন হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেন, আমি ৯ বছর সারাদেশে ঘুরে বেড়াচ্ছি, কোথাও কেউ দেখাতে পারেনি যে বিএনপি-জামায়াত সরকার কোন একটি মাদরাসার বিল্ডিং করেছে। কোথাও তারা একটা ইটও লাগাতে পারে নাই। আমরা ইতোমধ্যে প্রায় দেড় হাজার মাদরাসা তৈরি করে দিয়েছি। তাদের (মাদরাসা শিক্ষার্থীদের) মধ্যে একটা পরিবর্তন এসেছে। গতকাল (শনিবার) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপকমিটি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মাদরাসা শিক্ষার ক্ষেত্রে হতো একমুখী শিক্ষা। একমুখী শিক্ষা মনে এই নয় যে সবাই একই বই পড়বে। একমুখী শিক্ষা মনে সার্বিক ক্ষেত্রে আমাদের যে মৌলিক বিষয়গুলি সেগুলোকে ঠিক রেখে অবশ্যই বৈচিত্র্য থাকবে। কেউ চিকিৎসক হবে, কেউ আলেম হবে, কেউ ইঞ্জিনিয়ার হবে, মানে ম‚লধারাটা ঠিক থাকবে। কিন্তু সেখানে আমরা কী পেলাম? তাদের বইয়ের মধ্যে আমাদের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধুর কোনও ছোঁয়াই নাই। আমার সন্তান পৃথিবীর উল্টা ইতিহাস পড়ছে। সেখানে আমরা শুরুতেই এসব ঠিক কাজ হতে নিয়েছি।
সরকার মাদরাসার উন্নয়নে ভ‚মিকার রাখছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আমাদের এখানে অনেক ধারার মাদরাসা আছে। আমাদের মাদরাসা বোর্ডের অধীনে আলিয়া মাদরাসাকে আমরা সমর্থন দেই, বেতন দেই, বিল্ডিং দেই। আমরা ইতোমধ্যে প্রায় দেড় হাজার মাদরাসা তৈরি করে দিয়েছি।
বিএনপি-জামাতের সমালোচনা করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ইলেকশনের সময় আসলে দেখবেন তারা কী নিয়ে আসে? গত ইলেকশনে তারা নিয়ে আসলো আল্লাহর আইন আর সৎ লোকের শাসন। তারা বলছে- নৌকা মার্কায় হাসিনাকে ভোট দিবা না, তাহলে মাদরাসা থাকবে না।
কারিগরি শিক্ষার অগ্রাধিকারের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, কারিগরি শিক্ষা নিয়ে আমরা চরমভাবে হতাশ ছিলাম। যা পড়ানো হয়, এই পড়ায় চাকরি হবে না। মোট শিক্ষার্থীর এক শতাংশ পড়ে কারিগরি শিক্ষায়। ইউরোপে ৬৫ শতাংশের কম না যারা কারিগরি শিক্ষায় যায়, আর বাকিরা উচ্চ শিক্ষায় যায়। তো এই এক শতাংশ নিয়ে আমরা কী করবো? আমরা ব্যাপকভাবে ড্রাইভ দিলাম, দিয়ে দেখলাম অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের কারিগরি পড়াতে চান না। তারা মনে করেন- তাদের ছেলে কারিগর বা মিস্ত্রি হবে নাকি! তারা মনে করেন- তাদের ছেলের বড় ডিগ্রি লাগবে। তখন ধারণা ছিল, বড় ডিগ্রি থাকলেই শিক্ষিত, বড় চাকরি পাওয়া যাবে। আমাদের শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বেশি। তারা যে চাকরি চায়, সেই চাকরি তো এই শিক্ষা দিয়ে মেলে না, তাদের দক্ষতা থাকা লাগবে। আমাদের দেশ থেকে ডিগ্রি নিয়ে বিদেশ যাচ্ছে কিন্তু তিন ভাগের এক ভাগ বেতনে চাকরি পাচ্ছে। আবার যারা ফিলিপাইন থেকে যাচ্ছে, তারা বেশি বেতন পাচ্ছে। কারণ হলো দক্ষতা। আমরা ক্যাম্পেইন করলাম, যার ফলে এখন কারিগরিতে শিক্ষার্থী বেড়েছে সাড়ে তিন গুণ।’
এসময় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান ড. আব্দুল খালেক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (প্রশাসন) ড. মুহাম্মদ সামাদ প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন