শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

বিএনপি-জামায়াত নীরব আ.লীগ সরব

সাতক্ষীরা-৩ : দেবহাটা আশাশুনিতে বইছে নির্বাচনী হাওয়া

আবু হেনা মুক্তি | প্রকাশের সময় : ১১ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

এক সময় গোটা সাতক্ষীরায় জামায়াত বিএনপি’র প্রভাব থাকলেও সাতক্ষীরা-৩ আসনটি এখন আওয়ামী লীগের দখলে। সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডা: আ ফ ম রুহুল হক এমপি’র ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ নির্মাণ ও ব্যাপক উন্নয়নসহ বিএনপি জামায়াতের বলায় থেকে গত ১০ ধরে আমজনতাকে নৌকার পক্ষে আনার চেষ্টা চলছে। সুযোগ বুঝে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও ঘর গোছাতে ব্যস্ত। এই আসনটিতে জাতীয় পার্টির একসময়কার প্রভাব এখন আর নেই।
সূত্রমতে, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে দৌড়ঝাপ পরিলক্ষিত হচ্ছে বেশি। বিএনপি জামায়াত মাঠে নেই বললেই চলে। তবে ভেতরে ভেতরে জামায়াতের সাংগঠনিক কাজ নানা কলাকৌশলে হচ্ছে বলে বিজ্ঞজনদের অভিমত। এই মুহুর্তে জামায়াত বিএনপি দলের সম্ভাব্য প্রার্থী দলের মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রে লবিং শুরু করেছে। তবে দলের হাই কমান্ড দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থীদেরকে এখনো মাঠে নামাতে পারেনি। তাদের কোন নূন্যতম প্রচার প্রচারণাও নেই।
সাতক্ষীরা ০৩ আসনটিতে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং দলের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ডাঃ আ ফ ম রুহুল হক এমপি এক প্রকার চূড়ান্ত। তিনি টানা ৫ বছর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রী থাকায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ স্থাপন, তার নির্বাচনী এলাকায় নার্সিং ইন্সিটিউট, প্যারামেডিকেল কলেজসহ নানা উন্নয়ন করেছেন। চলতি ৪ বছরে দেবহাটা কালিগঞ্জ আশাশুনিতে ব্যাপক দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়েছে। এছাড়া নিয়মিত উঠোন বৈঠকসহ দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। নির্বাচনী মাঠ গোছাতে রাতদিন কাজ করে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে নিজ এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করে মানুষের নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছেন। প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড মানুষের কাছে পৌছে দিচ্ছেন। দলীয় মনোনয়ন পেলে এবারও তিনি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।
এছাড়া একজন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি তার ব্যক্তিগত কয়েকজন অনুসারীর কাছে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে মতামত প্রকাশ করেন এবং গত সারদীয় পূজার সময় কয়েকটি মন্দির পরিদর্শন করেন। এসময় ৪-৫টি স্থানে তার কয়েকটি প্যানা লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু তাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর কিম্বা দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার কোন ছবি নেই। দলের শীর্ষ কর্ণধর এবং প্রতিষ্ঠাতার ছবি যার প্রচারে স্থান পায়নি তিনি কিভাবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী তা রীতিমীত পলিটিক্যাল মহলে হাস্যকর। অপরদিকে দলের শীর্ষ এক নেতার নাম সম্প্রতি দেবহাটার পারুলিয়া ফেয়ার মিশনের একটি ওয়াজ মাহফিলে অতিথি হিসেবে ছাপা হয়। অথচ ঐ মিশনের পরিচালক আব্দুল কাদের মহিউদ্দিন সাবেক ছাত্র শিবির নেতা। তিনি সাতক্ষীরা সরকারী কলেজ হতে ১৯৯২ সালে ছাত্র সংসদের ছাত্র শিবিরে রহিম বুলবুল পরিষদে ক্রীড়া সম্পাদক পদে নির্বাচনে জয় লাভ করেন। স্থানীয় সূত্র জানায়, জামায়াত ইসলাম নিজেদেরকে ফোকাসে আনতে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের নাম ব্যবহার করে লাইম লাইটে আসার চেস্টা করছে। আর ব্যক্তি স্বার্থের কারণে অনেক নেতারাই তাদের ফাঁদে পা দিচ্ছে। এসব নেতাদের তালিকা তৈরী হচ্ছে বলে একটি গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে জানা যায়। এছাড়া এই আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের কারও কোন প্রচার প্রচারণা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। তবে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক মনছুর আহমেদ ও আশাশুনি উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এবিএম মোস্তাকিম মনোনয়ন চাইতে পারেন।
এ আসনে জামায়াতে ইসলামীর সম্ভাব্য প্রার্থী রবিউল বাশারও রাজনৈতিক মাঠে নেই। নির্বাচনী সমীকরণে দেবহাটা আশাশুনি নিয়ে গঠিত এ আসনটি একটি মর্যাদাপূর্ণ আসন। এ আসনের সাথে কালিগঞ্জের ৪টি ইউনিয়নের সংযোগ ছিল। কিন্তু সম্প্রতি ঐ ৪টি ইউনিয়ন সাতক্ষীরা ৪ আসনের সাথে সংযোগ হওয়ায় এ অঞ্চলের মানুষ তার প্রতিবাদে মিটিং মিছিল ও মানববন্ধন করেছে। তবে সীমারেখা যেভাবেই থাকুক না কেন এ আসনে আওয়ামীলীগের অবস্থান এই মুহুর্তে শক্ত। অবহেলিত এ অঞ্চলে ব্যাপক উন্নয়ন হওয়ায় দলমত নির্বিশেষে মানুষ ডা: আ ফ ম রুহুল হক এমপি’র প্রতি কৃতজ্ঞ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন