আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য বিএনপি-জামায়াত ক্যান্সারের মতো বিষফোঁড়া। দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে আমরা বিএনপি-জামায়াতকে চিরতরে উপড়ে ফেলতে চাই।
গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ জেলা, কক্সবাজার এবং তিন পার্বত্য জেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। তারেক রহমানকে যে কোনো মূল্যে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে জানিয়ে মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, লন্ডনে বসে ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ হবে না। দুর্নীতিবাজ তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে তার বিচারের রায় আমরা কার্যকর করব, ইনশাআল্লাহ। হানিফ বলেন, বিএনপি-জামায়াত হচ্ছে অশুভ শক্তি। এরা বাংলাদেশের রাজনীতিতে ক্যান্সারের মতো বিষফোঁড়া। মানুষের শরীরে যেমন ক্যান্সারের বিষফোঁড়া থাকলে, সেটা যতদিন অপসারণ করা না যায়, ততদিন তার জন্য ঝুঁকি থেকে যায়, বিএনপি-জামায়াতও যতদিন থাকবে বাংলাদেশের জন্য ঝুঁকি থাকবে। এরা যতদিন থাকবে ততদিন বাংলাদেশের অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করবে।
হানিফ বলেন, আজ সময় এসেছে। বাংলাদেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে আমরা বিএনপি-জামায়াতের মতো বিষফোঁড়াকে চিরতরে উপড়ে ফেলতে চাই। সেজন্য আমাদের তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত শক্তিশালী সংগঠন গড়ে তুলতে হবে। আওয়ামী লীগ শক্তিশালী হলে এই দেশ এগিয়ে যাবে। শেখ হাসিনা যতদিন ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন এই দেশ এগিয়ে যাবে। তিনি বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন কর্ণফুলী টানেল ও পদ্মা সেতু দিয়ে জনগণের কোনো লাভ হবে না।
তাদের লক্ষ্য হচ্ছে, দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা। তাদের মানসিকতাই উন্নয়নবিরোধী। ক্ষমতায় থেকে তারা দেশকে পিছিয়ে দিয়েছে। এখন বাইরে থেকে আঘাত করছে। দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা যত উন্নত হবে অর্থনীতি তত এগিয়ে যাবে। তিনি বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করেছে, তাই মামলা হয়েছে। তারা আওয়ামী লীগের নেতাদের যখন প্রকাশ্যে গুলি করল, বোমা মারলো, কুপিয়ে হত্যা করলো, তখন আপনার চোখের পানি কোথায় ছিল? ২১ আগস্ট নেত্রীর ওপর গ্রেনেড হামলা চালানো হলো। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বিশ্বে কোথাও এমন হামলা হয়নি। তখন আপনার চোখের পানি কোথায় ছিল?
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ভাড়া করা নেতাদের দিয়ে বিএনপি প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। বিএনপিতে কোনো আদর্শ নেই। তারা ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট, ভাড়া করা নেতাদের নিয়ে দল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ঐক্যফ্রন্টে ঐক্য নেই। ঐক্যফ্রন্টও ভেঙে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ থেকে অনুপ্রবেশকারী, সুবিধাবাদীদের বের করে দিতে হবে বলেও মন্তব্য করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দল থেকে অনুপ্রবেশকারী, সুবিধাবাদীদের বের করে দিতে হবে। এ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। সংগঠনে আদর্শের চর্চা করতে হবে।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ডিজিটাল ডাটাবেজ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে বলেও জানান হাছান মাহমুদ। বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু। বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়কারী ও পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, শিক্ষা উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিভাগের সাত সাংগঠনিক জেলা চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর জেলা, দক্ষিণ জেলা, কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলার নেতৃবৃন্দ।
এছাড়া সংসদ সদস্য এম এ লতিফ, নজরুল ইসলাম চৌধুরী, মাহফুজুর রহমান মিতা, সাইমুম সরওয়ার কমল, দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, সংসদ সদস্য ওয়াসিকা আয়শা খান, খাদিজাতুল আনোয়ার সনি, আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন