ইতিহাস, ঐতিহ্য, সভ্যতা, সংস্কৃতি, পর্যটন ও দর্শনীয় স্থানগুলোতে গিয়ে ইত্যাদি ধারণের ধারাবাহিকতায় এবারের পর্ব ধারণ করা হচ্ছে নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডের অভ্যন্তরে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ইত্যাদির ধারণ শুরু হয়। চলে মধ্যরাত পর্যন্ত। এবারের ইত্যাদিতে প্রাধান্য পেয়েছে নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডের শ্রমিকরা। শ্রমিকরাই পরিবেশন করবেন গান ও নাচ। সেই সঙ্গে তাদের কাজের পরিধি তুলে ধরা হয়েছে। ইত্যাদির অনুষ্ঠান কেন্দ্র করে নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডকে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়। জানা যায়, এই অঞ্চলের মঙ্গা দূরীকরণের পদক্ষেপ হিসেবে ২১৩ দশমিক ৬৬ একর জমির ওপর ১৯৯৯ সালে ইপিজেড নির্মাণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০০১ সালের ২৮ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে এটির উদ্বোধন করা হয়। বর্তমানে ইপিজেডে ৩২ হাজার নারী-পুরুষ কাজ করছেন। এবারের ইত্যাদির মূল মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে উত্তরা ইপিজেডের অভ্যন্তরে। মঞ্চের সামনে ছয় হাজার দর্শক বসতে পারেন। উত্তরা ইপিজেডের শ্রমিকদের নিয়ে তৈরি হবে এবারের আয়োজন। পাশাপাশি তুলে ধরা হবে ব্রিটিশদের নীল চাষের ইতিহাস, নীল ফার্মার, নীল খামারি, নীলফামিংসহ নীলফামারীর উল্লেখযোগ্য স্থাপনা ও বৈশিষ্ট্য। উল্লেখ্য, দুইশ বছর আগে এই অঞ্চলে নীল চাষের খামার স্থাপন করে ইংরেজ নীলকরেরা। এখানের মাটি উর্বর ও নীল চাষের অনুক‚ল হওয়ায় দেশের অন্যান্য স্থানের তুলনায় নীলফামারীতে সবচেয়ে বেশি নীলকুঠি ও নীল খামার গড়ে ওঠে। উনবিংশ শতাব্দীর শুরুতে দুরাকুটি, ডিমলা, কিশোরীগঞ্জ ও টেঙ্গনমারী প্রভৃতি স্থানে নীলকুঠি স্থাপিত হয়। ওই সময় বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের মধ্যে নীলফামারীতে বেশি পরিমাণে শস্য উৎপাদিত হত। ফলে নীলকরদের ব্যাপক আগমন ঘটে এই অঞ্চলে। গড়ে ওঠে অসংখ্য নীল খামার। ইত্যাদি গ্রন্থনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। নির্মাণ করছেন ফাগুন অডিও ভিশন। এবারের পর্বটি আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে প্রচার করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন