মংলা বন্দরে আসা বিদেশি জাহাজে তল্লাশির নামে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে কাস্টমসের সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। বিদেশি এসব জাহাজের ক্যাপ্টেনদের কাছ থেকে মোটা অংকের ডলার হাতিয়ে নেয়ারও অভিযোগ উঠেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েক জন ক্যাপ্টেন জানান , তাদের বাণিজ্যিক জাহাজ মংলা বন্দরে ঢুকে নোঙর করার সঙ্গে সঙ্গেই কাস্টমস কর্মকর্তারা ডলার নেয়ার জন্য তাদের নানাভাবে হয়রানি করেন। ডলার পেলে কোন তল্লাশী করা হয়না আর না দিলে নানাভাবে হয়রানী করা হয় । এর মধ্যে বিদেশী জাহাজ এম ভি বিবিসি ওয়েসার, এম ভি ফরসিং এবং এমভি প্যানথেরাজ জাহাজও বাদ যায়নি । এসব জাহাজ থেকে তারা এক থেকে দেড় হাজার ডলার পর্যন্ত নিয়েছেন বলে ক্যাপ্টেনরা জানান। জাহাজে কোনও ধরনের তল্লাশি চালাতে হলে কাস্টমস হাউজের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার লিখিত অনুমতির বিধান রয়েছে। কিন্তু সে নিয়ম না মেনেই কাস্টমস হাউজের সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা আল মামুন, হানিফ, পাবেল রহমান ও মো. আশিক তল্লাশির নামে জাহাজের ক্যাপ্টেনদের কাছ থেকে ডলার নিয়ে নেন।
এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এমন অভিযোগ করেন বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের কয়েকজন সদস্য। এ ছাড়াও সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র তাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করেন। ওই কর্মকর্তা জানান, তাদের জন্য চট্টগ্রাম বন্দরের তুলনায় মংলা বন্দরে জাহাজ আসতে অতিরিক্ত টাকা গুণতে হয়। বিদেশি জাহাজের ক্যাপ্টেনদের তারা পদে পদে হয়রানি করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা পাবেল রহমান বলেন, ‘এসব বিষয়ে আমার ব্যক্তিগত নয়, আর এখানে হয়রানির কিছু নেই, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সবকিছু করা হয়েছে। তাও দুই মাস বা এক মাস পরে আমরা জাহাজে যাই। আপনারা এ বিষয়ে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘জাহাজে গিয়ে তল্লাশির বিষয়ে তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমতিপত্রের বিষয়টি আমার জানার বিষয় না।’
তল্লাশির নামে হয়রানির অভিযোগ মিথ্যা- দাবি করে আরেক সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা মো. আশিক বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে আমরা জাহাজে গিয়ে তল্লাশি চালাই।’
এ বিষয়ে মংলা কাস্টমস হাউজের কমিশনার (ভ্যাট) ওয়াহিদুল আলম বলেন, ‘এ বিষয়ে কোনও অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবো।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন